কালবৈশাখীর ঝড়ের তান্ডবে উড়ে গেল একাধিক বাড়ির চাল, ভেঙে পড়ল শত শত গাছ কান্দির মোতড়া গ্রামে
রঙ্গিলা খাতুন, কান্দি
নব্বইয়ের দশকের কালবৈশাখীর ঝড়ের তান্ডবের অনেকটাই স্মৃতি ফিরিয়ে দিল সোমবার রাত্রি সাতটার পর। কালবৈশাখীর ঝড়ের উড়ে গেল একাধিক বাড়ির চাল শুধু তাই নয় ইটের তৈরি পাঁকা কংক্রিটের দেওয়াল উপড়ে পড়েছে। ছোট্ট থেকে বড়ো একাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে এমনকি গোড়া থেকে উপড়ে গেছে গেছে প্রাচীন বৃক্ষ যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে গ্রামবাসীর। যদিও হতাহতের কোনো খবর নেই।
প্রসঙ্গত মুর্শিদাবাদের কান্দি থানার গোকর্ণ দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অন্তর্গত মোতড়া গ্রামে অনেকেরই মাটির বাড়ি টিনের ছাউনি। গত পরশু কালবৈশাখীর এই তান্ডবের ফলে মোতড়া গ্রামের প্রায় ১২ টির বেশি বাড়ির চাল গেছে উড়ে। চাল ছাইতে না পেরে অসহায় পরিবার এই বৃষ্টির মধ্যে আশ্রয় গ্রহণ করেছে অন্যের বাড়িতে।
আশ্রয়হীন মোমিন সেখ বলেন “আমাদের একমাত্র এই মাটির বাড়িতে স্ত্রী ছেলে মেয়ে নিয়ে বাস করি কিন্তু হটাৎ চাল উড়ে যাওয়ায় অন্যের বাড়িতে আপাতত রয়েছে। আর্থিক অবস্থায় ভালো নয়, সরকারের কাছে আবেদন করছি যদি কিছু সাহায্য করে তাহলে খুব উপকার হয়। ”
মোতড়া গ্রামের বাসিন্দা তানজিলা বেওয়া বলেন ‘ আমাকে দেখায় কেউ নেই, বাড়ি মেরামতের টাকা নেই মেম্বার প্রধানকে বলেও একটা বাড়ি করে দেয়নি খুব অসুবিধা হচ্ছে চাল কী করে মেরামত করব? খুব চিন্তা হচ্ছে। ”
এ বিষয়ে কান্দির বিডিও নীলাঞ্জন মন্ডলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ” আমাদের কাছে সেই রাতেই খবর আসে ঝড়ের ফলে একাধিক গাছ রাস্তার উপায় ভেঙে পড়েছিল ফলে রাস্তা যানজটের সৃষ্টি হয়। আমরা ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে উপস্থিত থেকে তৎক্ষণাৎ সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করি। তাছাড়া অনেকেরই বাড়ির ক্ষতি হয়েছে, অফিসিয়াল আবেদন করলে সেগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হবে। ”
মোতড়া গ্রামের অতিরিক্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলো হল – জামিরুন হক, রাজিউল হক, মানবেন্দ্র মন্ডল, আমজেদ সেখ, ভানাতোন বেওয়া, জাহাঙ্গীর সেখ, আমিরুল সেখ।
উল্লেখ্য ঝড়ের রাতে একাধিক গাছ মোতড়ার মোড় থেকে গোকর্ণ রাস্তার উপরে ভেঙে পড়ার ফলে কান্দি বহরমপুর রাজ্য সরকার যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছিল। ব্লক প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে তৎপরতায় গাছগুলো সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছিল। এই উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষ।