মুর্শিদাবাদের রাণীনগরের ৭২টি বাড়ির বাথরুমের নিচে কথিত বাঙ্কার: পুলিশ রিপোর্ট
নিউজ ডেস্ক :- : আল-কায়েদা সন্দেহে মুর্শিদাবাদের রাণীনগর থেকে ধৃত আবু সুফিয়ানের বাড়ির বাঙ্কার বা সুরঙ্গ কিংবা শৌচালয় সেফটি ট্যাংক নিয়ে মুর্শিদাবাদ পুলিশের একটি বিশেষ দল অনুসন্ধান শুরু করে। সারাদিন তারা তদন্ত তল্লাশি করল আবু সুফিয়ানের গ্রাম রাণীনগরে, আবু সুফিয়ানের বাড়ির এক কিলোমিটারের মধ্যে অবস্থিত প্রতিটি বাড়িতে পুলিশ সদস্য যায় এবং এরকম বাঙ্কার বা সুড়ঙ্গ কার কার বাড়িতে আছে খোঁজ নেয় পুলিশ। আশ্চর্যের হলেও শুধু রাণীনগরে আবু সুফিয়ানের বাড়ির মতো বাঙ্কার বা সুরঙ্গ ৭২টি বাড়িতে রয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। খোঁজ পেয়ে যেগুলো নিয়ে রাজ্য সরকারকে রিপোর্টও পাঠিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে এলাকায় ছোট ছোট জমিতে বাড়ি তৈরি হওয়ায়, বাড়ির ভিতরেই সেপটিক ট্যাংক তৈরি করা করে তার উপরে স্নানঘর ও শৌচালয় নির্মাণ করা হয়। আগে মাটি খুঁড়ে শৌচালয়ের চেম্বার তৈরি করে কংক্রিট ঢালাই হয় উপরেও কংক্রিট ঢালাই ঢাকনা দেওয়া হয়। ঠিক এইভাবে স্নানালয় ও শৌচালয় নিচে চেম্বারে উপর বাথরুম পাওয়া গিয়েছে কমপক্ষে ৭২ টা বাড়িতে। আবু সুফিয়ানের বাড়িতে এটি তৈরি হলে সংখ্যাটা দাঁড়াতো ৭৩। তবে আবু সুফিয়ানের বাথরুমটি সম্পূর্ণ ছিল।
জেলা পুলিশের এক শীর্ষকর্তা জানিয়েছেন এনআইএ প্রথম দিন আবু সুফিয়ানকে গ্রেপ্তারের সময় তার বাড়ি তল্লাশি করে তন্নতন্ন করে সব দেখে। এই কথিত বাঙ্কার বা সুরঙ্গ নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেনি। অথচ একদিন পর থেকে বাংলার বৈদ্যুতিন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় এটা নিয়ে এত বেশী সময় নিউজপ্রিন্ট করেছে যে যা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসে দাঁড়িয়েছে, পুলিশকে তদন্ত করে আলাদা রিপোর্ট করতে হয়েছে।
সৌজন্যে: পুবের কলম