ওয়েব ডেস্ক :- নন্দীগ্রামের ভোটে প্রথমে জয় মমতা ব্যানার্জী পরে হেরে যান ,জয়ের রাজটিকা পান শুভেন্দু অধিকারী । এর পর মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী কলকাতা হাইকোর্ট এই বিষয়ে মামলা করেন । নন্দীগ্রাম ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ সংক্রান্ত মামলা অন্য রাজ্যে সরানোর জন্য শুভেন্দু অধিকারীর আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের শুক্রবারের এই সিদ্ধান্তের ফলে কলকাতা হাই কোর্টে নীলবাড়ির লড়াই-পর্বে নন্দীগ্রামের ভোটগণনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনের দ্রুত শুনানির আর কোনও বাধা রইল না।
কলকাতা হাই কোর্ট থেকে নন্দীগ্রামে ভোট গণনা মামলা অন্যত্র সরানোর আবেদন জানিয়ে জুলাই মাসে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু। তাঁর দাবি ছিল, কলকাতা হাই কোর্টে ওই মামলার নিরপেক্ষ বিচার পাওয়া যাবে না। তাই দেশের অন্য যে কোনও হাই কোর্টে এই মামলা সরানোর দাবিতে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় এবং বিচারপতি হিমা কোহলীর বেঞ্চ শুক্রবার শুভেন্দুর সেই আবেদন খারিজ করে জানায়, ওই মামলা অন্য আদালতে স্থানান্তরিত করা হলে হাই কোর্টের প্রতি মানুষের আস্থা কমবে।
এর আগে ২০২১-এর বিধানসভা ভোটের গণনায় নন্দীগ্রাম কেন্দ্রে কারচুপির অভিযোগ তুলে এবং পুনর্গণনার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে ইলেকশন পিটিশন দাখিল করেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী মমতা। তাঁর অভিযোগ ছিল মূলত শুভেন্দুর বিরুদ্ধে। প্রথমে ওই মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দের বেঞ্চে যায়। বিচারপতি চন্দের সঙ্গে বিজেপির পূর্ব যোগ রয়েছে, এই অভিযোগ তুলে ‘নিরপেক্ষ’ বিচারের জন্য ওই বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোর আর্জি জানান মমতা। মমতার সেই আর্জি মেনে মামলা থেকে অব্যাহতি নেন বিচারপতি চন্দ। মামলাটি ওঠে বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
জুলাইয়ে সেই মামলার শুনানিও শুরু হয়েছিল। কিন্তু তার পরেই মামলাটি রাজ্যের বাইরে নিয়ে যাওয়ার আবেদন করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই মর্মে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালতের সিদ্ধান্ত শুভেন্দুর কাছে ‘ধাক্কা’ বলেই মনে করা হচ্ছে।
সৌজন্য :- আনন্দ বাজার পত্রিকা অনলাইন