সুপ্রিম-নির্দেশে বাড়ল স্বস্তি, ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত EMI থেকে রেহাই ব্যাংক গ্রাহকদের
নিউজ ডেস্ক:- গোটা দেশ আর্থিক সংকটে জর্জরিত ,জি ডি পি তলানিতে এই রকম কঠিন পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন সংস্থার কিস্তি শোধ আমজনতার এক দুরহ ব্যাপার । ই রকম এক পরিস্থিতিতে সুপ্রিমকোর্টে এই বিষয়ে এই মামলার শুনানী। করোনা ও লকডাউনের প্রভাবে বিপর্যস্ত ব্যাংক গ্রাহকদের আরও কিছুদিনের জন্য স্বস্তির খরব। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণের উপরে মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ কার্যত বাড়িয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট।
চলতি অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ঋণ গ্রাহকদের স্বস্তি দেওয়ার জন্য ছ’মাসের মোরাটোরিয়াম ঘোষণা করেছিল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI)। মোরাটোরিয়ামের সময়ে কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ঋণের কিস্তি মেটাতে না পারলেও ঋণখেলাপির তকমা থেকে রেহাই পায়। গত ৩১ অগস্ট RBI ঘোষিত মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও গ্রাহকের থেকে স্বাভাবিক নিয়মে ফের ঋণের বকেয়া কিস্তি নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর পথ খোলা ছিল ব্যাংকগুলির জন্য। বকেয়া ঋণের কিস্তি মেটাতে না পারলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের কপালে জুটত ঋণখেলাপি তকমা।
এদিকে, মোরাটোরিয়াম পর্বে মূল ঋণের উপর সুদ এবং কিস্তি না দেওয়ার কারণে ব্যাংকগুলি যে সুদের উপর সুদ চাইছে তা মকুবের আর্জি জানিয়ে এর আগে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক মামলা দায়ের হয়েছে। সেইসঙ্গে মোরাটোরিয়ামের মেয়াদ বৃদ্ধির আর্জিও জমা পড়ে। সেই মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ আদালত তাদের আগের দিনের অন্তর্বর্তী আদেশ পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল রাখে।
এদিন সর্বোচ্চ আদালতের তিন বিচারপতির বেঞ্চ তার রায়ে জানিয়েছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকগুলি কোনও অ্যাকাউন্টকে নতুন করে নন-পারফর্মিং অ্যাসেট (NPA) বা ঋণখেলাপি হিসেবে ঘোষণা করতে পারবে না। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরের শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।
ব্যাংকের EMI দিতে না পারলেও ঋণখেলাপি তকমা নয়, অন্তর্বর্তী সুপ্রিম-নির্দেশ
এদিকে, মোরাটোরিয়াম পর্বে না দেওয়া ঋণের কিস্তির উপর ব্যাংকগুলির সুদ নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অর্থ মন্ত্রকের এই পদক্ষেপের বিষয়টি সরকার পক্ষ আদালতে জানায়। কেন্দ্রের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, মামলায় আবেদনকারীরা যে সমস্ত বিষয় উত্থাপন করেছেন কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ স্তরে সেগুলি বিবেচনা করছে। সরকার দু’সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলেও তিনি আদালতকে আশ্বস্ত করেন তিনি।
যার পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বিষয়টি নিয়ে লিখিতভাবে সিদ্ধান্ত জানাতে দু’সপ্তাহ সময় মঞ্জুর করে।
এখন সুপ্রিম কোর্ট কি রায় দেয় সেটাই আমজনতা অধীর আগ্রহে ।
সৌজন্য :-Ei samay