নিউজ ডেস্ক: – সুপ্রিম কোর্টে EMI মামলায় আজও কোন ফায়সালা হল না। স্থথগিত EMI’র উপর ব্যাংকগুলি সুদ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে আজও ফয়সালা হল না সুপ্রিম কোর্টে। তবে গ্রাহকদের স্বস্তি দিতে বড় সিদ্ধান্তের কথা সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র। আগামী কাল, বুধবার এই মামলার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
এদিন, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাংকের তরফে সলিসিটার জেনারেল তুষার মেহতা, ঋণের মোরেটরিয়াম (Moratorium period) বা EMI আগামী দুবছর অবধি স্থগিত রাখার বিষয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তুষার মেহতা বলেন, “ঋণ শোধ করার মোরেটোরিয়াম বা EMI আগামী দুবছরের জন্য স্থগিত রাখা যেতে পারে। মহামারী পরিস্থিতিতে কোন কোন সেক্টর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সে বিষয়টা সরকার খতিয়ে দেখছে।” তবে এই সুবিধা যদি দু’বছর বাড়িয়েও দেওয়া হয়, তাহলে কি স্থগিত EMI-এর উপর সুদ চাপাবে না ব্যাংকগুলি? সে বিষয় অবশ্য বিস্তারিতভাবে আদালতে কিছুই জানাতে পারেনি কেন্দ্র। বুধবার এ বিষয়ে সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে বলে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, লকডাউনে মানুষের দুর্ভোগ কমাতে ব্যাংকগুলিতে বেশ কয়েকমাস ঋণের EMI স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্র। মার্চ মাসের ২৭ তারিখ EMI স্থগিত রাখার বিষয়টি সরকারিভাবে ঘোষণা করেন RBI-এর গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তিনি জানিয়েছিলেন, দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা করতে এবং আর্থিক বৃদ্ধি সচল রাখতে এই পদক্ষেপ করেছে রিজার্ভ ব্যাংক। এর ফলে লকডাউনের জেরে ঘরে বসে থাকা কোটি কোটি দেশবাসীকে স্বস্তি পাবেন। কিন্তু তাঁর ঘোষণার কিছুদিন পরই দেখা যায় স্থগিত হয়ে যাওয়া ওই EMI-এর উপর সুদ নেওয়া শুরু করেছে কিছু রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংক। যাতে দুর্ভোগ আরও বাড়ে ঋণগ্রহীতাদের। লকডাউন আবহে ঋণের মোরেটোরিয়ামে সুদের উপর সুদ নেওয়ার প্রতিবাদে মামলা হয় সুপ্রিম কোর্টে।
কিন্তু বেসরকারী সংস্থাগুলি ঋণদান ও সুদসহ ঋণ আদায় শুরু করেছে ।এই ঋণগ্রহীতারা কিস্তি দিতে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছে। এই নিয়ে দেখা যাচ্ছে অসন্তোষ ।