নিউজ ডেস্ক:- রাজ্যের অনুৃমোদন ছাড়া তাদের মামলায় সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না , সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে রাজ্যগুলির অনুৃমোদন ছাড়া তাদের আওতায় থাকা কোনো মামলায় সিবিআই তদন্ত করতে পারবে না। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। রাজ্যের অধীনে থাকা কোনো মামলায় কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই-কে তদন্ত করতে বলতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে শীর্ষ আদালত দিল্লি স্পেশাল পুলিস এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্টের (ডি এস পি ই) ৫ ও ৬ নম্বর ধারার উল্লেখ করে। ওই দুটি ধারায় সিবিআই-এর কার্যবিধি বর্ণনা করা হয়েছে। বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বি আর গাভাইকে নিয়ে গঠিত একটি বেঞ্চ বলে, ডিএসপিই আইনের ৬ নম্বর ধারা স্পষ্ট বলছে যে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য সরকারের বিনা অনুমতিতে রাজ্যের অধীন কোনো মামলায় সিবিআইকে তদন্ত করতে বলতে পারে না।
বিজেপি শাসিত নয় এমন আটটি রাজ্য সম্প্রতি তাদের অধীনে থাকা যে কোনো মামলা নতুন করে সিবিআই-এর হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে অভিমত প্রকাশ করেছে। এই আটটি রাজ্য হল- কেরালা, মহারাষ্ট্র, ঝাড়খন্ড, রাজস্থান, পাঞ্জাব, ছত্তিসগড়, পশ্চিমবঙ্গ ও মিজোরাম। এই প্রসঙ্গে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ বলেছে, ডিএসপিই আইনের ধারাটি সংবিধানে বর্ণিত আমাদের দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই বিষয়টি আমাদের সংবিধানের অন্যতম ভিত্তিও বটে।
দুর্নীতির দায়ে যাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে এমন কয়েকজন ব্যক্তি সুপ্রিম কোর্টে একটি অ্যাপিলের মামলা করেছিলেন। সেই মামলার শুনানি চলাকালীন সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেছে। মামলার আবেদনে অভিযুক্তরা বলেন যে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাটির সিবিআই তদন্ত করার আগে রাজ্যগুলির অনুমতি নেওয়া হয়নি। মামলাটিতে অভিযুক্তদের মধ্যে দু’জন সরকারি কর্মচারী, বাকিরা তা নন।
তাঁদের অ্যাপিল খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত বলেছে, ডিএসপিই-তে উল্লিখিত সিবিআই- এর এক্তিয়ার তাদের রাজ্যর সর্বত্র দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী বজায় রাখার জন্য উত্তরপ্রদেশ ১৯৮৯ সালে সম্মত হয়। তবে সে সময়েও বলা হয় যে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইন অনুযায়ী কোনো মামলা রুজু হয়ে থাকলে আগে রাজ্য সরকারের অনুমতি নিয়ে তবে সেই মামলার তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। তবে যারা রাজ্য সরকারি কর্মচারী নয় তাদের ক্ষেত্রে এরকম বিধিনিষেধ থাকবে না। তাদের বিরুদ্ধে এফ আই আর করার আগে রাজ্য সরকারের অনুৃমোদন লাগবে না। তবে নির্দিষ্ট মামলাটির শুনানি নেবার সময়ে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ মন্তব্য করে যে দুই সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে তদন্ত করার আগে রাজ্য সরকারের অনুৃমোদন না নেওয়ায় তাঁদের সম্পর্কে কী ভুল ধারণা সৃষ্টি হয়েছে অ্যাপিলে কোথাও তা বলা হয়নি।