যৌবনের উত্তাল ঢেউ ডি.ওয়াই.এফ.আই মিছিলে! পুলিশের ব্যারিকেড বাঁধা
তুষার কান্তি খা, বহরমপুর
শরতের মুর্শিদাবাদের বুকে এখন শ্বেত পতাকার আভায় যেন আগাম আগাম বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে। গ্রাম-নগর-মাঠ থেকে আসা যৌবনের প্রতিবাদী মিছিলে, দাবি অধিকার আদায়ের সভা-সমাবেশে শ্বেত পতাকার ঢেউ আজ উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি করল সারা বহরমপুর শহরে। অনেক বাধা-আক্রমনকে মোকাবিলা করে,রক্তাক্ত লড়াইয়ে সঞ্চিত অভিজ্ঞতা নিয়ে বামপন্থী ছাত্র -যুবরা পথকেই একমাত্র পথ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। আসছে বাধা, থেমে নেই আক্রমণ। তবুও লড়াই আন্দোলন জারি রেখে আগামীর পথ তৈরিতে সক্রিয় বাম ছাত্র-যুবরা।
সরকারি দপ্তর গুলোতে শূন্যপদে স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে, যুবক যুবতীদের জন্য স্থায়ী কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা, সমস্ত মানুষকে দ্রুত বিনামূল্যে ভ্যাকসিনপ্রদান, অবিলম্বে লোকাল ট্রেন চালু প্রভৃতি মোট এগারো দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশন মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির ডাকে এক বিশাল মিছিল, ডেপুটেশন ও সভায় শামিল হয় সংগঠনের সদস্যরা।
প্রথমে বেকা বারোটার থেকে সভা শুরু হয় রবীন্দ্র সদনে। সেখানে থিক থিক করছিল ভিড়। বসার জায়গা নেই, তাই বাধ্য হয়েই বাইরে থেকে শুনতে হয়েছিল সভা অনেককে। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক সায়ন দীপ মিত্র, মীনাক্ষী মুখার্জি, জেলা সম্পাদক ধ্রুবজ্যোতি সাহা। সভাপতিত্ব করেন আনোয়ার শাহাদাত হোসেন।বক্তব্য রাখতে গিয়ে নেতৃত্বরা দেশ বাঁচাতে বিজেপি রাজ্য বাঁচাতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখার কথা বলেন। তাদের কথায় উঠে আসে দুর্নীতিবাজ দুই সরকারের কথা, বেকার যুবকদের কাজের কথা।
সভা শেষে এক বিশাল মিছিল শুরু হয় রবীন্দ্র সদন থেকে। উদ্দেশ্য ছিল ডেপুটেশন দেওয়া। কিন্তু মিছিল শুরু হতেই পতাকায় দলদাস পুলিশ। শান্তিপুর শান্তিপূর্ণ মিছিলের ওপর হয় লাঠিচার্জ। যুবদের মুখে তখন স্লোগান”পুলিশ তুমি উর্দি ছাড়ো, তৃণমূলের ঝাণ্ডা ধরো। “পুলিশ পদ আটকালে সেখানে একটি গাড়িকে ট্যাবলো করে বক্তব্য রাখতে শুরু করেন যুবনেতা শায়ন দীপ মিত্র, নেত্রী মীনাক্ষী মুখার্জি। যুবরা রাস্তায় বসে পড়ে। তিনজনের এক প্রতিনিধি দল ডিএমকে ডেপুটেশন দিতে যায়।