বিশ্বের বৃহত্তম কৃষক আন্দোলন ৯৬ হাজার ট্রাক্টরে ৬ মাসের খাদ্য খোরাক নিয়ে ৯ লক্ষ কৃষক রাজপথে,এবার পথে নামার হূমকী ট্যাক্সি ইউনিয়নের

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :-   গত ছদিন ধরে দেশের রাজধানী দিল্লির উত্তর প্রান্তে এক বিশাল এলাকা কার্যত পাঞ্জাব হরিয়ানা থেকে আসা লক্ষ লক্ষ কৃষকদেরর দখলে। তাদের সঙ্গে সাত দিয়েছে উত্তর প্রদেশ রাজস্থানের কৃষকরা। কার্যত কৃষকদের ঘেরাটোপে বন্দি দিল্লি শহর।

বিশেষজ্ঞ মহলের ধারণা কৃষকদের এই বিদ্রোহ বিশ্বের বৃহত্তম কৃষক বিদ্রোহ। যেখানে ৯৬ হাজার ট্রাক্টর-টলিতে করে এ মাসের খাদ্য খোরাক নিয়ে ৯ লক্ষ কৃষক এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। কোন রকম শর্ত ছাড়াই তারা সরকারকে কৃষকবিরোধী কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে দিল্লি হরিয়ানার বিভিন্ন গুরুদোয়ার ও মসজিদ থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।

 

কৃষকদের আন্দোলনে এ বার নৈতিক সমর্থন জানাল অল ইন্ডিয়া ট্যাক্সি ইউনিয়ন। শুধু সমর্থনে থেমে না থেকে কেন্দ্রের উদ্দেশে সোমবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠন। দু-দিনের মধ্যে কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে দেশজোড়া ধর্মঘটের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

 

কৃষকদের আন্দোলনে এ বার নৈতিক সমর্থন জানাল অল ইন্ডিয়া ট্যাক্সি ইউনিয়ন। শুধু সমর্থনে থেমে না থেকে কেন্দ্রের উদ্দেশে সোমবার হুঁশিয়ারিও দিয়েছে ট্যাক্সি সংগঠন। দু-দিনের মধ্যে কৃষকদের দাবি মেনে না নিলে, ট্যাক্সি সংগঠনের তরফে দেশজোড়া ধর্মঘটের হুমকিও দেওয়া হয়েছে।

সারা ভারত ট্যাক্সি সংগঠনের সভাপতি বলবন্ত সিং ভুল্লর সোমবার জানান, আন্দোলনরত কৃষকদের দাবিদাওয়া পূরণের জন্য তাঁরা কেন্দ্রকে দু-দিন সময় দিচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কৃষিমন্ত্রীর কাছে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি, নয়া কৃষি আইনগুলি প্রত্যাহার করে নিন। কর্পোরেট সেক্টরগুলি আমাদের ক্ষতি করছে।’ এর পরেই সুর চড়িয়ে বলবন্ত বলেন, ‘যদি কেন্দ্র এই কৃষি আইনগুলি দু-দিনের মধ্যে প্রত্যাহার না করে, তা হলে রাস্তা থেকে আমরা ট্যাক্সি তুলে নেব।’ ট্যাক্সি চালকদের উদ্দেশে তিনি অনুরোধের সুরে বলেন, ‘চালক বন্ধুদের অনুগ্রহ করে বলছি, আপনারা ৩ ডিসেম্বর থেকে ট্যাক্সি বন্ধ রাখুন।’

হরিয়ানা ও দিল্লির বর্ডার সিঙ্ঘু ও টিকরি সীমানায় বিগত পাঁচ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকেরা। অধিকাংশই পঞ্জাব ও হরিয়ানার কৃষক। তবে, মধ্যপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কৃষকরাও দল দলে শামিল হচ্ছেন। পঞ্জাবের একাধিক কৃষক সংগঠনের ডাকা দিল্লি চলো অভিযান ভেস্তে দিতে দিল্লি পুলিশের পাশাপাশি হরিয়ানা পুলিশও তত্‍‌পর হয়েছিল। ১৪৪ ধারা জারি করে, ব্যারিকেড দিয়ে, কাঁটাতার বিছিয়ে, জলকামান দিয়ে, লাঠিচার্জ করে নান ভাবে কৃষকদের গতিপথ রুদ্ধ করার চেষ্টা হয়েছে।

কিন্তু, এসব বাধা উপেক্ষা করে কৃষকরা শেষ পর্যন্ত দিল্লি সীমানায় এসে উপস্থিত হন। তাঁদের নাছোড় মনোভাবের কাছে পরাস্ত হয়ে পুলিশ কৃষকদের দিল্লিতে ঢুকতে দেয়। বুরারির ময়দান বিক্ষোভকারীদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া। কিন্তু, কৃষকরা সেখানে যেতে অস্বীকার করেন। বিশেষত, অমিত শাহ আলোচনায় বসতে শর্ত আরোপ করায়। কৃষক সংগঠনের নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মুখের উপর সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।

মৌসম ভবন জানাচ্ছে, ৭১ বছরের মধ্যে শীতলতম নভেম্বরের সাক্ষী দিল্লিবাসী। এই ঠান্ডার মধ্যেই দিল্লি সীমানায় জাতীয় সড়ক-সহ অন্যান্য রাস্তায় জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার কৃষক। দীর্ঘ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়েই তাঁরা এসেছেন। রাস্তার ধারেই চলছে রান্না। আন্দোলনকারীরা নিজেরা খাচ্ছেন। সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদেরও বসিয়ে খাওয়াচ্ছেন।

। এর আগে ঠিক ছিল ৩ ডিসেম্বর এই বৈঠক হবে। কিন্তু, কৃষকরা ঠান্ডার মধ্যে যে ভাবে আন্দোলন করছেন, তাতে আরও ২দিন অপেক্ষা না করে, বৈঠকের দিন এগিয়ে আনেন কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। আজ, মঙ্গলবার বেলা ৩টেয় বিজ্ঞানী ভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু, কাজের কাজ কী হবে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পর্যবেক্ষরা। কারণ, কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত কৃষি আইন নিয়ে মনোভাব পরিবর্তন করেননি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দাবি, নতুন আইনে কৃষকরা লাভবান হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.