নিউজ ডেস্ক: – আবারোও ফেসবুকের দিকে অভিযোগ । এবার কেন্দ্রীয় সরকারের এক মন্ত্রী অভিযোগ করলেন । ফের রাজনৈতিক নিশানায় ফেসবুক । এতদিন ধরে মার্ক জুকারবার্গের এই সোস্যাল মিডিয়ার বিরুদ্ধে বিজেপির হয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠছিল। এবার পালটা অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ । ফেসবুকের কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে গালিগালাজ করেন বলেও অভিযোগ তাঁর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ চিঠিতে লিখেছেন, ভারতে সামাজিক বিভেদ ও অভ্যন্তরীণ বিভাজন ঘটানোর জন্য ফেসবুক ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৯ সাল ভোটের আগে দক্ষিণপন্থী আদর্শে বিশ্বাসী অনেক ফেসবুক পেজ ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে বলে মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ এসেছে। এই নিয়ে ফেসবুকের কাছে কোনও অভিযোগ করেও সুরাহা হয়নি বলে মন্ত্রীর দাবি। মন্ত্রীর কথায়, ফেসবুকের উচিত প্রতি দেশের জন্য আলাদা গাইডলাইনস দেওয়া ও নিরপেক্ষ ভাবে কাজ করা।
মন্ত্রী রবিশংকর আরও অভিযোগ, ফেসবুকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর থেকে অন্যান্য বরিষ্ঠ কর্তারা বিশেষ এক রাজনৈতিক আদর্শে বিশ্বাস করেন। সেই অনুযায়ী ভারতে ফেসবুক পরিচালিত হয়। মার্ক জুকারবার্গকে লেখা চিঠিতে মন্ত্রী নালিশ করেছেন, ফেসবুকের কর্মীরা মোদীকে গালিগালাজ করে। নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রবিশংকর বলেন, একটি আদর্শ যারা নির্বাচনী রাজনীতিতে ক্রমশই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে, তারা গুজব ছড়িয়ে ভারতের রাজনীতিতে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছে। এই প্রচেষ্টা নিন্দনীয় বলেও দবি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
সম্প্রতি ফেসবুক ইন্ডিয়ার কার্যকলাপ নিয়ে সরগরম হয় দিল্লির রাজনীতি। ভারতে কেন বিজেপিকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে? কেন বিদ্বেষমূলক মন্তব্য ছড়াতে দেওয়া হল, তা নিয়ে সম্পূর্ণ তদন্তের দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস। সরব হয়েছিল বিরোধীরাও। এই প্রসঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ তিন পাতার এক চিঠি পাঠানো হয় মার্ক জুকারবার্গের সংস্থাকে। সেই চিঠিতে ফেসবুক ইন্ডিয়া পরিচালনার জন্য নতুন টিম নিয়োগের পরামর্শ দেন এআইসিসি সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল। এমন পরিস্থিতিতে এবার ফেসবুকের বিরুদ্ধে সরব হল বিজেপিও। যা চাপ এড়ানোর কৌশল হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
এখন ফেসবুক নিয়ে রাজনীতি এক নতুন মাত্রা এনেছে ।