এবার বাম কংগ্রেসের জোটে কি জট ?শুরু হয়েছে জল্পনা

Spread the love

 

 

নিউজ ডেস্ক –  বাম কংগ্রেসের জোটে কি জট লাগল ।  জোট তো হবে। কিন্তু সব দলেরই তো লাভ ক্ষতির হিসেব থাকে। বামেদের কাছে সেই হিসেব একরকমের। অন্যদিকে কংগ্রেসের কাছে সেই হিসেব আলাদা। যা নিয়েই বেধে গোল। পুজোর সময় থেকে বাম এবং কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে তিনদফা আলোচনা হলেও, আসন রফা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেনি তারা। সূত্রের আরও খবর জোট নিয়ে অধীর চৌধুরী কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলেন, কিন্তু তাতে সায় দেয়নি আলিমুদ্দিন।

আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করা নিয়ে সিপিআই (এম)’এর সঙ্গে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন মধ্যে দ্বন্দ্ব চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় কার্যত গোদের ওপর বিষ ফোঁড়া হয়ে দাঁড়াচ্ছে কংগ্রেস কর্মীদের অপ্রয়োজনীয় বক্তব্য। সম্প্রতি বিধান ভবনের কর্তারা দাবি করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে অধীর চৌধুরীকে  মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী করা হবে। একই সঙ্গে ১৫০টি আসনে হাত শিবির প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। যা নিয়ে আপত্তি তুলছেন সিপিআই (এম) নেতৃত্ব। প্রশ্ন উঠছে, কংগ্রেসের এমন মন্তব্যে জোটের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে না-তো?

মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী হিসাবে অধীর চৌধুরীকে  সামনে রেখে জোট এগোবে, এমনটাই মন্তব্য করছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই অবস্থায়, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, ‛কংগ্রেস একটা পৃথক দল। ওদের নিজেদের বক্তব্য থাকতেই পারে। এর মানে সেই বক্তব্যের সঙ্গে বামেরা সহমত, তা-নয়। ওদের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে।’

অধীর চৌধুরী পরিসংখ্যান দিয়ে বলেছেন ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে ৯০ টি আসনে লড়াই করে কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসন। অন্যদিকে বামগুলি ২০০ টি আসনে লড়াই করে মাত্র ৩২ টি আসন পেয়েছিল ২০১৬-র নির্বাচনে। ফলে ২৯৪ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধানসভায় বামেদের থেকে কংগ্রেস বেশি আসন পেয়েছিল। তিনি বলেছেন জোট নিয়ে বামেদের মধ্যে দ্বিমত সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতা হয়েছিল।

অন্যদিকে, অধীর চৌধুরী আরও বলেছেন, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে ৪২টি আসনের মধ্যে কংগ্রেস পেয়েছিল ২ টি আসন। বামেরা একটিও আসন পায়নি। একটি আসন বাদ দিয়ে বাকি আসনে বাম প্রার্থীদের জমানত জব্দও হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছিলেন তিনি।

জোট মুখ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, বামেরা কোনও দিনই কাউকে মুখ করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। তবে জ্যোতি বসু এবং বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের ক্ষেত্রে মানুষ ধরে নিত কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন। যদিও সিপিএম-এর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত নয় প্রদেশ কংগ্রেস। তারা বলছে, অধীর চৌধুরী লোকসভায় কংগ্রেস দলনেতা। তিনি মমতার বিকল্প হতেই পারেন। তাদের মত হল, যদি তা মেনে নেওয়া হয়, তাহলে রাজ্যে তৃতীয় বিকল্পের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা বাড়বে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.