নিউজ ডেস্ক:- কোচবিহারে যে গুলি চালনায় চার জনের হত্যার পর হূমকী দিলীপ ঘোষের । গোটা রাজ্য যখন এই বিষয়ে তোলপাড় ,তখন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের এ হেন মন্তব্য গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে মনে করছেন বুদ্ধিজীবি সম্প্রদায়ের মানুষ । শীতলকুচি কাণ্ডে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই পরিস্থিতিতে ফের হুমকি দিয়ে বিতর্কে জড়ালেন দিলীপ ঘোষ । বরানগরের সভা থেকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বললেন, “বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” বিজেপি সাংসদের এহেন আচরণে ক্ষোভে ফুঁসছে আমজনতা।
শনিবার ভোট দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলোপাথারি গুলিতে রক্তাক্ত হন বহু তৃণমূল কর্মী। আহতদের তড়িঘড়ি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা চার যুবককে মৃত বলে ঘোষণা করে। মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বিকেলেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পরিস্থিতি বিবেচনা করে কোচবিহার জেলায় রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাচন কমিশন । ফলে বাধ্য হয়ে রবিবার ভিডিও কলে মৃতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তৃণমূল নেত্রী। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছে সব মহল। বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। অমিত শাহের নির্দেশেই এই ‘গণহত্যা’ বলে দাবি করেছেন মমতা। এই পরিস্থিতিতেই বিস্ফোরক দিলীপ।
রবিবার বরাহনগরের সভা থেকে হুমকির সুরে দিলীপ ঘোষ বললেন, “সকলে ভোট দিতে যাবেন। কেউ যদি বাধা দেয়, কোনও কথা শুনবেন না। আমরা সব দেখে নেব। মাথায় রাখবেন কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।” বিজেপি সাংসদের এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্কের ঝড় উঠেছে। দিলীপ ঘোষের এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
গোটা রাজ্য জুড়ে চলছে নিন্দার ঝড় চলছে বাক বিতন্ডা ,প্রতিবাদ । এই রকম এক সময়ে দিলীপ ঘোষের এই বক্তব্য গণতন্ত্র কে কালিমালিপ্ত করে ।