ওয়েবডেস্ক:- এখন গোটা বাংলা জুড়ে পঞ্চায়েতে পঞ্চায়েতে চলছে অবাধ দূণীর্তি । তার জেরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সুফল সাধারণ মানুষ পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে না। অনেকদিন ধরেই এই অভিযোগ আসছিল। তাই এই রোগের কী ওষুধ দেওয়া হবে তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই । সেইমতো পঞ্চায়েতের কাজে নজরদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য ।
নবান্ন সূত্রে খবর, সমস্যার সমাধানে প্রতিটি পঞ্চায়েতের জন্য নিয়োগ করা হবে একজন করে নোডাল অফিসার । এই মুহূর্তে রাজ্যে তিন হাজার ৩৫৪ টি পঞ্চায়েত রয়েছে । সূত্রের খবর, তার মধ্যে অনেক পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কাজে কাটমানি আদায়, তোলাবাজি, স্বজনপোষণ, নিম্নমানের কাজ, কাজ না করেই সরকারের টাকা তুলে নেওয়া সহ একাধিক অভিযোগ আসছিল নবান্নে । সেই সূত্রেই পঞ্চায়েত দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় করে নবান্নের শীর্ষস্তরে চলছিল আলোচনা । সেই আলোচনার ভিত্তিতেই সমস্ত পঞ্চায়েতে নোডাল অফিসার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।
নবান্ন সূত্রে খবর, প্রতিটি পঞ্চায়েতের জন্য বিডিও একজন করে সরকারি অফিসারকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করবেন । তিনি সরকার এবং পঞ্চায়েতের কাজের সমন্বয়ের বিষয়টি দেখবেন ।
পঞ্চায়েত দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পঞ্চায়েতের নিয়োগ করা নোডাল অফিসার নির্দিষ্ট সময়ে যেকোনও প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি নিয়ে বিডিও-র কাছে রিপোর্ট দেবেন । বিডিও সেই রিপোর্ট জেলাশাসকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দেবেন পঞ্চায়েত দপ্তরে ।
পঞ্চায়েতে দূর্ণীতির অবাধতার জন্য মানুষ তিতি বিরক্ত