ওয়েব ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- রাজনীতিতে কি আবার অঘটন ঘটতে চলেছে,সব্যসাচী কি ঘাসফুল ছাড়তে চলেছে,এটাই এখন ঘাসফুল আর গেরুয়া শিবিরে জোর চলছে আলোচনা। কারণ, সোমবারই ফের বড় ধাক্কা লাগতে চলেছে ঘাসফুল শিবিরে। অর্জুনের পর এবার তাদের থেকে গেরুয়া শিবির ছিনিয়ে নিতে চলেছে সব্যসাচীকেও। সম্পর্কে যিনি।
বিধাননগর পুরসভার মেয়র সব্যসাচী দত্তর আগেই গেরুয়া শিবিরে নাম লেখানোর কথা ছিল। সূত্রের খবর, এই রাজ্যে গেরুয়া রাজনীতির ‘কৃষ্ণ’ মুকুল রায়ই তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন। কারণ, তখনও ভোট ঘোষণা হয়নি। যার ফলে আইনি মারপ্যাঁচে রাজ্য সরকার বিধাননগর পুরনিগম ভেঙে দিতে পারত। কিন্তু, এখন ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ায় রাজ্য সেই ক্ষমতা হারিয়েছে। যেমন ভাবে, ইচ্ছা থাকলেও অর্জুন সিংকে হেনস্থা করতে রাজ্য সরকার এখন ভাটপাড়া পুরসভাও ভাঙতে পারবে না। বসাতে পারবে না স্পেশ্যাল অফিসার। ঠিক তেমনই, ভাঙতে পারবে না বিধাননগর পুরনিগমও।
সূত্রের খবর, শুধু সব্যসাচীই নন, তাঁর হাত ধরে বিধাননগর পৌরনিগমের অধিকাংশ কাউন্সিলরও নাম লেখাবেন গেরুয়া শিবিরে। যার ফলে, ভাটপাড়া পুরসভার মতো বিধাননগর পুরনিগমও নীল-সাদা থেকে সাজতে চলেছে গেরুয়ায়। এই প্রসঙ্গে মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন, ‘তৃণমূলটা আমি তৈরি করেছিলাম। আমিই ভেঙে দিয়ে যাব।’ সেই ভাঙারই দ্বিতীয় স্তম্ভ যেন হতে চলেছেন বিধাননগর পুরনিগমের মেয়র। সূত্রের খবর, তাঁকে বারাসত লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষ দস্তিদারের বিপরীতে প্রার্থী করতে চলেছে বিজেপি। রাজনীতির ভাঙ্গা গড়ার খেলা বাংলায় বামফ্রন্ট কংগ্রেস যেমন সর্বশান্ত ঠিক তৃণমূলের ভাগ্যেই কি ঐ একই ঘটনা ঘটতে চলেছে।