আগামীকালই মানবশরীরে ট্রায়াল হবে COVID-19 ভ্যাকসিন, আশা দেখাচ্ছে অক্সফ্রোর্ড
আয়ন বাংলা, আলমগীর মন্ডল,: ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এই মারণ ভাইরাস থেকে মুক্ত হওয়ার কোনও আশা নেই। এমনটাই বলেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান। বিশ্বে করোনার থাবা বসানোর পর থেকেই টিকা আবিষ্কারের পথ খুঁজতে শুরু করে দিয়েছিলেন দেশ ও বিদেশের বিজ্ঞানীরা। ইতোমধ্যেই, আগামী ২৩ এপ্রিল থেকেই করোনাভাইরাস রুখতে মানব শরীরে ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শুরু করে দিতে চলেছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এমনটাই জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার। আর সেই ভ্যাকসিনের সাফল্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে ভারত-সহ সার বিশ্ব ৷
মঙ্গলবার, ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। তিনি জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস মোকাবিলায় এই সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাহায্যের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়েক সরকার ২ কোটি পাউন্ড দেবে। পাশাপাশি লন্ডনের ইম্পোরিয়াল কলেজের ৫০০ গবেষককে দেওয়া হবে ২.১৩ কোটি পাউন্ড।
তবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা জানিয়েছিলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁরা দ্রুত কোভিড১৯ টিকা আনতে চলেছেন। সেই ভ্যাকসিনের কাজ প্রায় সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এতটা সময় আর অপেক্ষা করতে হল না। এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, গবেষকরা ট্রায়ালের কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়ে এসেছেন। এ বিষয়ে মেডিসিন অ্যান্ড হেল্ফকেয়ার রেগুলেটরি এজেন্সির অনুমতি পাওয়া গিয়েছে। তাই বৃহস্পতিবারই মানব শরীরের ট্রায়াল দেওয়া যাবে।
প্রসঙ্গত, জেন্না ইনস্টিটিউট ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে তৈরি করা হচ্ছে করোনা প্রতিরোধকারী এই ভ্যাকসিন। এখনও পর্যন্ত এই ভ্যাকসিনের নাম দেওয়া হয়েছে ChAdOx1 nCoV-19। ১০ জানুয়ারি থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী ভ্যাকসিনের কাজ শুরু করেছে অক্সফোর্ড। মার্চেই প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়েরই কাজ চলছে বর্তমানে।
ইংল্যান্ডের থেমস ভ্যালিতে চলবে এই ভ্যাকসিনের ট্রায়াল পর্ব। ভ্যাকসিনের ট্রায়ালের জন্য ১৮ থেকে ৫৫বছর বয়সী পর্যন্ত ৫১২ জন পুরুষ ও মহিলার স্ক্রিনিং চলছে।
এই যুগান্তকারী ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও গবেষনার নেতৃত্বে রয়েছেন অধ্যাপক-বিজ্ঞানী সারা গিলবার্ট। যিনি ইবোলা মহামারী প্রতিরোধকারী ভ্যাকসিন তৈরির দিশা দেখিয়েছিলেন। এছাড়া রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল ও ড স্যান্ডি ডগলাস। তাঁদের দাবি, এই ভেক্টর ভ্যাকসিন ইবোলার মতোই নষ্ট করে দেবে সার্স কভ-২ আরএনএ ভাইরাল স্ট্রেইনকে।