স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে চারিদিকে যখন অভিযোগে উত্তাল, সেখানে ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কোনও রোগীকেই ফেরাচ্ছে না হসপিটাল ও নার্সিং হোম, দাবি তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর শেফালী প্রামাণিকের
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : বেসরকারি হসপিটাল ও নার্সিং হোম থেকে যখন চারিদিকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী রোগীকে ফেরানো নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগে উত্তাল কলকাতা থেকে গ্রাম-গ্রামাঞ্চল। ঠিক সেই সময়েই জোকার ১৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর শেফালী প্রামাণিকের দাবি, তার ওয়ার্ডের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডধারী কোনও রোগীকে এখনও পর্যন্ত ফিরিয়ে দেয়নি কোনও হসপিটাল কিংবা নার্সিং হোম। এমনকি বড় বড় হসপিটাল ও নার্সিং হোমে তার ওয়ার্ডের বহু রোগীই এই কার্ডে এখনও চিকিৎসা পরিষেবার সুযোগ পাচ্ছেন বলেই জানালেন তিনি।
শেফালী প্রামাণিক বলেন, ঠাকুরপুকুরে ডি.এম হসপিটাল, স্বদেশ বসু হসপিটাল, বেহালায় বালানন্দ হসপিটাল, নিউঅালিপুরে পোদ্দার হসপিটাল, একবালপুরে ক্যালকাটা হসপিটাল, বি এম বিড়লা হার্ট রিসার্চ সেন্টার…. এইসব বড় বড় হসপিটালে তার ওয়ার্ডের রোগীরা স্বাস্থ্যসাথী-তে চিকিৎসা পরিষেবা পাচ্ছেন। সম্প্রতি বি এম বিড়লা হসপিটালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে তারই ওয়ার্ডের ২ জন রোগী হার্ট অপারেশন করিয়েছেন বলে জানান তিনি। তা সত্বেও তিনি বলেন, তার ওয়ার্ডের কেউ যদি স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ভর্তি হতে না পারেন, সেটা তাকে জানালেই তিনি ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবেন। তাহলে শুধু শুধু এত অভিযোগ কেন…. এমনই প্রশ্ন তার।
শেফালী প্রামাণিকের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে বহু মানুষই বলছেন, প্রতিটা ওয়ার্ডে শেফালী প্রামাণিকের মতো সক্রিয় হয়ে অন্যান্য কো-অর্ডিনেটরেরাও যদি এই ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারতেন, তবে স্বাস্থ্যসাথী-তে কোনও কোনো ব্যর্থতা ও অভিযোগ থাকার কথা ছিলনা। কিন্তু কিছু নিষ্ক্রিয কো-অর্ডিনেটর ও নেতার জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প “স্বাস্থ্যসাথী” এখন ধাক্কা খাচ্ছে বলে অভিযোগ। কারণ স্বাস্থ্যসাথী-তে ভর্তি হতে না পেরে কো-অর্ডিনেটরদের কাছে গেলেই একশ্রেণীর কো-অর্ডিনেটররা রোগীর পরিবারকে সহযোগিতার পরিবর্তে উপেক্ষা করছেন বলেই অভিযোগ বহু মানুষের।