সমবায় সমিতি ব্যাঙ্কের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থিত প্রার্থীরা জয়ী,কারচুপির অভিযোগ বিরোধীদের
নিজস্ব সংবাদদাতা,বহরমপুর:- তৃণমূল কংগ্রেসের বড় জয়, বিরোধী দলের পরাজয়। মুর্শিদাবাদ জেলার বহরমপুর ব্লকের হাতীনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জানমহম্মদপুর – হিকমপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিঃ ব্যাঙ্কের নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস এবার শক্তিশালী উপস্থিতি প্রমাণ করেছে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে ভোট হওয়ার পর গণনায় দেখা যায়, তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সমিতির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে তাতে ভীষণভাবে খুশি বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি, বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোঃ আইজুদ্দিন মন্ডল, বহরমপুর ব্লক সহ-সভাপতি বুলবুল সেখ, হাতিনগর অঞ্চল সভাপতি সুজাম্মেল সেখ, তৃণমূল কংগ্রেস দল কর্মী ভূপেন মন্ডল, বাবু মোল্লা সেখ, বিজন মন্ডল এছাড়া হাতিনগর অঞ্চল নেতৃত্ববৃন্দ।
এই নির্বাচনে মোট মোট আসন সংখ্যা ১৩ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে ১২ টি আসনে জয়লাভ করেছে। বিরোধী দলগুলি, বিশেষত কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে।
নির্বাচনে জয়লাভের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বলেন, “এই জয় জনগণের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতার প্রমাণ। আমরা আগামী দিনে আরও উন্নয়নের জন্য কাজ করব।”
অন্যদিকে, বিরোধী দলের নেতারা নির্বাচনে পরাজয়ের জন্য প্রশাসনিক কারচুপি ও তৃণমূলের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেছেন।
নির্বাচন কমিশনের মতে, ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বহরমপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখার্জি বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা এবং গ্রামীণ এলাকায় তাদের সাংগঠনিক শক্তি এই জয়ের পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান মোঃ আইজুদ্দিন মন্ডল বলেন, এই সমবায় সমিতি কৃষি উন্নয়নের জন্য করা হয়েছে, কিন্তু কৃষকরা কৃষি লোন পায়নি এবং বিভিন্ন দুর্নীতিগ্রস্ত হয়েছে। আজ তার অবসান ঘটেছে। এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসের জয়, এই জয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়, এই জয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয়।
অন্যদিকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি ইসরাইল সেখ বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের কিছু গুন্ডা বাহিনী বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোট করেছে এবং তাঁদের প্রতিনিধিদের মারপিট করে জখম করে দিয়েছে এবং তাঁদের মধ্যে দুজন সাব্বির সেখ ও জৈনুদ্দিন সেখ বহরমপুর মেডিকেল কলেজ ও হসপিটালে চিকিৎসাধীন। বিরোধী দল কর্মীরা তীব্র ধিক্কার জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের এইভাবে গুন্ডামি করে নির্বাচনের জয়কে এবং পুলিশ প্রশাসনের নীরবতা পালনকে।
সমবায় সমিতি ব্যাঙ্কের এই জয় তৃণমূল কংগ্রেসকে স্থানীয় স্তরে আরও শক্তিশালী করবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন।