yদু’কোটি মানুষ বাদ যায় যাক, বাংলায় এনআরসি করতেই হবে! দৃঢ়প্রতিজ্ঞ দিলীপ ঘোষ
অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- দু কোটি চার কোটি যত লোক বাদ যায় যাক ,বাংলায় এন আর সি হবেই ,হূশিয়ারী দিলীপ ঘোষের । অসমে লাগু হওয়া এনআরসি নিয়ে বিজেপি যতই চাপে থাক, বঙ্গে এই এনআরসিকে ব্যবহার করেই মেরুকরণের ঝড় তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির। স্মৃতি ইরানির পর সাফ দিলীপ ঘোষ। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগেই দলের মনোভাবে স্পষ্ট করে দিলেন রাজ্যের গেরুয়া নেতৃত্বের সভাপতি। একই সঙ্গে দৃপ্ত কণ্ঠে জানালেন, বঙ্গে এনআরসি হলে সেই তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কমপক্ষে দু’কোটি মানুষের। কিন্তু এই অবস্থান থেকে সরে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই ভারতীয় জনতা পার্টির।
বাংলায় হারগিজ এনআরসি লাগু করার পক্ষপাতী নন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রস্তাবে তিনি পাশে পেয়েছেন বাম-কংগ্রেসকেও। বিধানসভায় এনআরসি বিরোধী প্রস্তাব আনা হয়েছে। কিন্তু বিজেপি শিবির এসবকে তোয়াক্কা করছে না, বুঝিয়ে দিয়েছেন দিলীপ। তিনি জানাচ্ছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গেও অসমের কায়দায় এনআরসি হবে। তাতে প্রায় দু’কোটি মানুষ বাদ যাবে। বিদেশি নাগরিকেরা এসে রাজ্য তথা দেশের সম্পদ নষ্ট করবে সেটা মেনে নেওয়া যায় না। সেই কারণে বঙ্গে এনআরসি প্রয়োজন।’ অন্যদিকে এদিন এনআরসির বিরোধিতা জানিয়ে পথে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে দিলীপ বলেন, ‘কিছু হলেই রাস্তায় নেমে পড়া মুখ্যমন্ত্রীর পুরনো স্বভাব। সেই অভ্যাস বজায় রাখতেই রাস্তায় নামছেন। ২০২১ সালের পরে তো রাস্তাতেই নামতে হবে। যেই রাস্তায় নামুক, পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবেই।’
মনে করিয়ে দেই, ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের প্রচারে যখনই পশ্চিমবঙ্গে অমিত শাহ পা রেখেছেন, তখনই এনআরসি প্রসঙ্গ টেনেছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দু-একবার একই ইস্যু উস্কেছেন। সুফলও মিলেছে। একধাক্কায় ২ থেকে ১৮ আসনে পৌঁছেছে বিজেপি। এই অবস্থায় এনআরসি মন্ত্রেই ভরসা রাখছেন অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে বৈঠকে তিনি সাফ করে দিয়েছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এনআরসিকেই পাখির চোখ করে এগিয়ে যেতে। তবে বলে রাখা ভাল, বঙ্গে এনআরসি হলে দিলীপের অনুমান অনুযায়ী তালিকা বহির্ভূত জনগণের সংখ্যা দু’কোটির বদলে চার কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা অবশ্য বলছেন, মুখে এনআরসিকে হাতিয়ার করলেও পশ্চিমবঙ্গে তা লাগু করলে যে হিতে বিপরিত হতে পারে তা জানে বিজেপি। সেই কারণে এই নিয়ে কোনও তাড়াহুড়ো করা হবে না এখনই।