*উইঘুর মুসলিমদের বিষয়ে নীরবতা ভঙ্গ করুন*
আন্তজার্তিক ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- চীনের তুর্কিস্তানী মুসলিম বা অন্যান্য সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের উপর চীন অমানবিক অত্যাচার প্রকাশ্যে চালাচ্ছে এবং মানবাধিকার হরণ করছে। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান ই আবু বকর আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ, মানবাধিকার সংগঠন এবং বিশ্বের সকল মুসলিম সম্প্রদায়কে চীনের মুসলিমদের বিষয়ে নীরবতা ভঙ্গ করার আবেদন জানান।
চীন থেকে এক হতবাক করা সংবাদ পাওয়া যাচ্ছে যে, পূর্ব তুর্কিস্তান থেকে মুসলিম সম্প্রদায় বিশেষ করে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎখাত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তাদেরকে এমন জীবন যাপনে বাধ্য করা হচ্ছে যাতে কোন ধরণের স্বাধীনতা নেই। তারা যদি মদ পান থেকে বিরত থাকে তাহলে তাদেরকে বন্দি শালাতে পাঠানো হচ্ছে। তাদের মাতৃ ভাষাতে কথা বলার কারণেও এমনটা করা হচ্ছে। ধর্মের সঙ্গে সম্পৃক্ত কোন কাজ করলেই এমন আচরন করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে, প্রায় ২০ লক্ষ মুসলিমকে এমন বন্দিশালাতে আবদ্ধ রাখা হয়েছে যেটা নাজি জামানার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এই ক্যাম্পগুলির নাম দেওয়া হয়েছে “পেশাগত প্রশিক্ষণ কেন্দ্র”। এখানে মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্ন করার সময় অমানবিক অত্যাচারের শিকার হতে হয়। বন্দিদের অবস্থা সম্পর্কে কোন সংবাদ মিডিয়া এমনকি তাদের পরিবারকেও দেওয়া হয় না। মৃত্যুর পরেও তাদের শবদেহ পরিবারের নিকট পাঠানো হয় না। চীনের চাপে অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতৃবৃন্দ ও প্রতিবেশী মুসলিম দেশের নেতা সকলেই এই বিষয়ে নীরব হয়ে আছে। যখনই চীনের উইঘুর মুসলিমদের উপর অত্যাচারের কথা আসে তখন আমরিকা ও তার সঙ্গী পশ্চিমী দেশগুলি চীনের উপর কোন ধরনের অবরোধ চাপাতে ভয় পায়। এমনকি অন্যান্য মুসলিম দেশের সমস্যা নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলা দেশ পাকিস্তানও তার সুকৌশলী বন্ধু দেশ চীনকে সন্তষ্ট করার জন্য এই অন্যায় বিষয়ে নীরবতা পালন করছে। পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান সমগ্র বিশ্বের মামবতাপ্রেমী ও স্বাধীনতার অধিকারের সম্মানকারী জনগণকে চীনের সংখ্যালঘুদের উপর এই অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করার আহবান জানান। সেই সাথে সাথে চীনের পর্দাফাঁস করার ক্ষেত্রে ভারতের নাগরিক স্বাধীনতাকামী আন্দোলন ও বামপন্থী রাজনৈতিক দলের নীরবতার উপর প্রশ্ন তুলেছেন।