অয়ন বাংলা ,নিউজ ডিস্ক :-ভাটপাড়া মানেই অর্জুন সিংহ ,নামে বেনামে ভাটপাড়ার মালিক বকলমে সেই অর্জুন সিংহ ,অতএব এলাকা দখলের লড়াইয়ের মুল হোতা তো বাপ বেটাই। লোকসভা ভোটের পর থেকেই অশান্ত ভাটপাড়া। দিন নেই রাত নেই, কেবলই বোমা পড়ছে। বারুদের গন্ধ বাতাসে। এর জেরে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসীর জীবনও। গোটা ঘটনায় একাধিকবার রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট দেখে চক্ষু চড়ক খোদ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের। কারণ সেখানে এই অশান্তির জন্য দায়ী করা হয়েছে সাংসদ অর্জুন সিংকে। যদিও কেন্দ্রীয় স্তরে শীর্ষ নেতাদের তরফে এই রিপোর্টকে বিশেষ আমল হয়েছে। অমিত শাহদের দাবি, শাসকদলই সন্ত্রাস চালাচ্ছে ভাটপাড়ায়। তবে এতে যে পদ্মশিবিরের অন্দরে অস্বস্তি বেড়েছে তা আলাদাভাবে বলার বাকি রাখে না।
লোকসভা ভোটের আগেই নিজের রাজনীতির জার্সি বদল করেন অর্জুন সিং। কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে দু’বারের সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়েও দেন। কিন্তু তাঁরই ভাটপাড়া অশান্ত তারপর থেকেই।
মোট কথায় নিজের এলাকার শান্তি বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। অর্জুন শিবিরের যদিও অভিযোগ, শাসকদলের দুষ্কৃতীরাই এই অবাধ সন্ত্রাস করাচ্ছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আইবির রিপোর্ট অন্য কথা বলছে। সেই রিপোর্টের সত্যতা বিজেপির তরফে স্বীকার না করা হলেও গেরুয়া নেতৃত্বের মাথাব্যথা বাড়িয়েছে। বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও চোখ এড়িয়ে যায়নি। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংসদদের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে অর্জুনের কাছে এই বিষয়টি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদী। এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে একটি জনপ্রিয় বাংলা দৈনিকের মাধ্যমে।
যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে প্রকাশিত এই রিপোর্টের কপি সংবাদ মাধ্যমের হাতে আসে না। তাই এর সত্যতা যাচাই সম্ভব নয়। ঘরে যাতে আগুন না লাগে তাই রিপোর্টের সত্যতাও স্বীকার করেছে না বিজেপি শিবির। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্জুন বিরোধী শিবিরের এক বিজেপি নেতা বলছেন, ‘এটা তো ঠিক অর্জুনবাবুর দলবদলের পর থেকেই ভাটপাড়ায় অরাজকতা চলছে। আগে ছিল না। তাই শুধু তৃণমূলকে দোষ দিলে হবে না। নিজেদেরও নিয়ন্ত্রিত হতে হবে। সাংসদ হয়ে কেউ যদি ভাবেই সাপের পাঁচ পা দেখে নিয়েছেন তবে সেটা ঠিক নয়।’
সূত্রের খবর, ভাটপাড়ায় চলতে থাকা অশান্তি নিয়ে দলের তরফে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে অর্জুনের কাছেও। কারণ গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ভোটের পর থেকে ভাটপাড়ায় বোমা, গুলির আমদানি বেড়েছে। যার নেপথ্যে নাকি অর্জুন ও তাঁর অনুগামীরাই রয়েছেন বলে দাবি। এমনকী খোদ নরেন্দ্র মোদী অর্জুনকে আলাদাভাবে ডেকে বুঝিয়ে দিয়েছেন অশান্তি বন্ধ করতে। যা অবশ্য মুখে স্বীকার করেননি ব্যারাকপুরের সাংসদ। তবে এত রক্ত ঝরার পর ও খোদ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপের ভাটপাড়া শান্ত হয় কিনা সেটাই দেখার। এখন দেখার কেন্দ্রীয় সরকার কি ভূমিকা নেই।