দেশ থেকে শকুন বিলুপ্তির পথে

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদন ,অয়ন বাংলা :- বিগত তিন দশকে,শকুনের সংখ্যা,, দেশে মোট ৯৯.৯৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। আশির
দশকে গোটা দেশে, শকুনের সংখ্যা ছিলো-
চার কোটির ও বেশী। কিন্তু বর্তমানে গোটা দেশে মোট ১৯ হাজার শকুন অবশিষ্ট রয়েছে। গত শুক্রবার সংসদে কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী।

সাহিত্য ,এবং বিভিন্ন কাহিনীতে শকুন-কে
ভিলেন হিসাবে দেখা হলেও,, প্রকৃতপক্ষে
এরা প্রকৃতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য, রিয়েল হিরো হিসাবে কাজ করে থাকে।
এরা মৃত জীবজন্তু ভক্ষণ করে, প্রকৃতি
তথা বায়ুমণ্ডল-কে দূষণমুক্ত রাখতে সাহায্য
করে।

দুঃখজনক হলেও সত্য,, এরা আগামী
কয়েক বছরের মধ্যেই, দেশ থেকে বিলুপ্ত
হয়ে যাবে।

নব্বই এর দশক থেকেই, লক্ষ্য করা গেছে,
শকুনের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে
শুরু করেছে। কিন্তু সরকারের গড়িমসির
কারণে, এদের বিলুপ্তির কারণ, আজ ও
অজানাই রয়ে গেছে।এদের সংরক্ষনের
উপায় বের করার আগেই,, হয়তো, এরা
চিরতরে হারিয়ে যাবে।

আজকাল রোগাক্রান্ত পশুকে, বিভিন্ন
হাই-পাওয়ার ঔষধ দেওয়া হয়ে থাকে।
ঐ ঔষধ সেবন করা পশু মারা গেলে,
তাদের শরীরে একপ্রকার বিষক্রিয়া
তৈরী হয়। আর, মৃত ঐ পশুটির মাংস
ভক্ষণের কারনে,, শকুন বিভিন্ন প্রকার
রোগে আক্রান্ত হয়ে, অপঘাতে মারা
যায়।।

পশুদের জন্য ব্যাবহৃত কিছু ওষুধ
নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু
আফসোস, এদেশের আইন কেবল
খাতা-কলমে থেকে যায়,, বাস্তবায়ন
করার কোনো প্রচেষ্টা দেখা যায় না।

না আছে সরকারের সদিচ্ছা,,
না রয়েছে জনসচেতনতা।।

ইকোসিস্টেম থেকে , শকুনের বিদায়
নেওয়ার ফল,, আমরা হাতে-নাতে
পেয়ে চলেছি।। রাস্তা ঘাটে মৃত পশুর
শব পচে গলে পড়ে থাকে।।এই ক্ষতিকারক
পশু-দেহ, আশপাশের প্রকৃতি এবং পরিবেশ দূষিত করে চলেছে,,অহরহ।

শকুনের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার মূল্য,,
আমাদের চোকাতেই হবে। অথচ,,
সামান্য সরকারি সদিচ্ছা,, এবং জনগণের
সচেতনতা থাকলে,, আমরা এই বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়ে যেতাম।।

যেটা হয়ে গেছে,, আর ফিরে পাওয়া
যাবেনা। এখন সরকারের উচিত,
যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে, প্রকৃতি-বন্ধু
শকুনদের রক্ষা করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.