মাদ্রাসাগুলির বিভিন্ন দাবী দাওয়া নিয়ে WBTMTA এর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফার আলোচনা জেলা শিক্ষা আধিকারিকের সঙ্গে

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :-  মুর্শিদাবাদ জেলার ডি আই (সেকেন্ডারি) কে জেলার মাদ্রাসাগুলির বিভিন্ন দাবী-দাওয়া নিয়ে WBTMTA এর পক্ষ থেকে দ্বিতীয় দফার আলোচনা করা হয়। সংগঠনের পক্ষ থেকে এদিনের আলোচনায় জনাব আনসার আলি, মনিরুদ্দিন খান, আলবিরুনী মামুন, মোবিন হোসেন, মহেন্দ্র ভট্টাচার্য্য প্রমুখ নেতৃত্বগণ উপস্থিত ছিলেন।  বিগত পূজার ছুটির আগে সেপ্টেম্বর মাসে এই দাবীগুলি নিয়ে ডি আই সাহেবের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা করা হয়েছিল। দাবীগুলি ছিল-

১. জেলায় সুপ্রীম কোর্টের অর্ডারের ভিত্তিতে দু’বছর আগে যে সমস্ত শিক্ষক/শিক্ষিকা শিক্ষকতার কাজে যোগদান করেছিলেন, তাদের approval এ প্রভিশনাল কথাটি উল্লেখ ছিল। কোর্টের সর্বশেষ রায়ে তাদের নিয়োগ বৈধ ঘোষিত হওয়ায় তাদের দ্রুততার সঙ্গে পার্মানেন্ট approval যাতে দেওয়া হয় এবং রিটেনশন করে দেওয়া হয়।

ডি আই সাহেব আগেই জানিয়েছিলেন যে সেপ্টেম্বর মাসের মাঝামাঝি থেকেই তাদের কাগজপত্র জমা নেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে। এদিন আরো বলেন, যাদের কাগজপত্র এখনো জমা পড়েনি তারা যাতে শীঘ্র তা অফিসে জমা করেন। তাড়াতাড়িই তাদের সমস্যার সমাধান করা হবে।

২. ডি.এম. ই-র অর্ডার থাকা সত্বেও মাদ্রাসাগুলিকে এখনো বাংলার শিক্ষা পোর্টালে অন্তর্ভুক্ত না করায় ভর্তিসহ নানা ধরণের সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধানে মাননীয় ডি আই কে WBTMTA এর পক্ষ থেকে তৎপর হতে অনুরোধ জানানো হয়। তিনি বিষয়টি নিয়ে তৎক্ষনাৎ ফোন মারফত ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানান যে মাদ্রাসা দপ্তরের সঙ্গে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের অর্ডারের সামান্য টেকনিক্যাল মিসম্যাচ থাকায় বিষয়টি ঝুলে আছে। দুই দপ্তরের উদ্যোগে সমস্যাটি মিটিয়ে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।

৩. শিক্ষক/শিক্ষিকাদের জেনারেল ট্রান্সফারের ও সব মাদ্রাসায় প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা যাতে স্বচ্ছতার সঙ্গে করা হয় ডি আই সাহেব যেন সেদিকে নজর রাখেন। সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী নভেম্বর মাসে ট্রান্সফারের কাজ শুরু হলে ভ্যাকান্সি বিষয়ে শিক্ষক/শিক্ষিকাদের যাতে কোনো অসুবিধা না হয় এবং তাদের নতুন approval ও profile transfer যাতে দ্রুততার সঙ্গে করে দেওয়া হয়, সে বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়।

৪. দাবী জানানো হয়, Non-B.ed সহ অন্যান্য এরিয়ার বিলগুলি দ্রুততার সঙ্গে ছাড়তে হবে।

৫. অপশন-ফিক্সেশনের কাগজ যারা এখনো পাননি, তাদের সেই কাগজ অবিলম্বে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।

৬. জেলার ডি আই অফিসে কিছু কিছু কর্মচারী মাদ্রাসাগুলির নানা সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে যে অসহযোগিতাপূর্ণ মানসিকতা দেখান ডি আই- এর পক্ষ থেকে তাদের সতর্ক করে দিতে হবে। অন্যথায় সংগঠন বড়োসড়ো আন্দোলনের পথে যাবে।

এদিনের দীর্ঘ আলোচনা শেষে মাননীয় ডি আই সাহেব মাদ্রাসাগুলির এইসব নানা সমস্যা সমাধানে তৎপর হবেন বলে আশ্বস্ত করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.