নিউজ ডেস্ক:- গোটা বিশ্বে আজ করোনার মহামরীতে ধরাশায়ী। চলছে মৃত্যুর মিছিল ।চলছে লক ডাউন বন্ধ কলকারখানা ,বন্ধ সব ধরণের কাজ। বাড়ছে অভাব ক্ষিদের যন্ত্রণা । করোনায় মৃত্যু মিছিল ঠেকাতে ভরসা লকডাউন। এদিকে ২১ দিনের লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু ঠিকা শ্রমিক। হাতে টাকা নেই। সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে না পারার কারণে । কতটা মর্মান্তিক হতে পারে, তার সাক্ষী থাকল যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য উত্তরপ্রদেশ। ক্ষুধার্ত সন্তানদের কান্না সহ্য করতে না পরে পাঁচ ছেলেমেয়েকে গঙ্গায় ‘বিসর্জন’ দিলেন মা। এই ঘটনা সামনে আসতেই স্তম্ভিত দেশবাসী। হতবাক আম জনতা ।
আতঙ্ক বাড়াচ্ছে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও। মহামারির কামড়ে ইতিমধ্যে তছনছ হয়ে গিয়েছে অংগঠিত ক্ষেত্র। কাজ হারিয়েছেন অসংখ্য মানুষ। সরকারি সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে ঠিকই, কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই সামান্য বলে অভিযোগ। উপরন্তু সরকারি প্রকল্পের সুবিধা তৃণমূলস্তর অবধি আদৌ এসে পৌঁছবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। ফলে লকডাউন করে যদিও বা করোনার মৃত্যু মিছিল রোখা যায়, অনাহারে মৃত্যু কি থামানো যাবে, উঠছে প্রশ্ন।
যোগী আদিত্যনাথের শাসিত রাজ্যের ভাদোহি জেলার জাহাঙ্গিরবাদের এই ঘটনা।
শনিবার মাঝরাতে পাঁচ
সন্তানকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে দেন এক মহিলা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাঝ রাতে মাছ ধরতে গঙ্গায় জাল পেতে বসেছিলেন কয়েকজন মৎস্যজীবী। তাঁরা দেখেন এক মহিলা তাঁর পাঁচ সন্তানকে গঙ্গায় ছুঁড়ে ফেলে দিচ্ছেন। ওই মহিলাকে ‘ডাইনি’ ভেবে চম্পট দেন। অভিযুক্ত মহিলা সারারাত গঙ্গার পাড়েই বসেছিলেন। সকালে পুলিশ স্টেশনে গিয়ে নিজের কৃতকর্মের কথা স্বীকার করে নেন। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ গঙ্গায় গিয়ে তল্লাশি চালায়। একমাত্র ১২ বছরের মেয়েটির দেহ উদ্ধার সম্ভব হয়। বাকি চারজনের হদিশ মেলেনি। জানা গিয়েছে, তাঁদের বয়স ৩ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।
পুলিশকে ওই মহিলা জানিয়েছেন, ঠিকা শ্রমিকের কাজ করতেন তিনি। লকডাউনের বাজারে কাজ হারিয়েছেন। ঘরে যা ছিল সব শেষ হয়ে গিয়েছে ফলে গত কয়েকদিন ধরে খিদের জ্বালায় কাঁদতে থাকা সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারেননি। এ নিয়ে তাঁর স্বামীর সঙ্গেও বচসা হয়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ওই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকি চারজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে তাঁরা। তবে ওই মহিলার মানসিক ভারসাম্যহীন কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আজ সত্যিই এই ভয়াবহ ঘটনা মনকে নাড়িয়ে দিয়েছে ,গোটা দেশের লোকের।