আরামবাগ টিভির সম্পাদক ও সাংবাদিকদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি
গ্রেফতারের তীব্র নিন্দায় রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের
নিজস্ব সংবাদাতা অয়ন বাংলা:- রাতের অন্ধকারে ঘরের দরজা ভেঙে আরামবাগ টিভির সম্পাদক শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী আলিমা খাতুনএবং একই কায়দায় আরামবাগ টিভির সাংবাদিক সুরোজ আলী খানকে গ্রেফতার এর তীব্র নিন্দা জানান সংখ্যালঘু সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। অবিলম্বে তাদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক থেকে একাধিক সংগঠনের নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক নেতারা স্বাক্ষর সম্বলিত একটি প্রতিবাদ পত্র বের করেন। সেখানেই নেতাদের মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য গত ২৯ জুন ২০২০ গভীর রাতে আরামবাগ টিভি চ্যানেলের সম্মাদক শফিকুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও চ্যানেলের সাংবাদিক সুরজ আলী খানের বাড়িতে বাহিনী নিয়ে হাজির হন আরামবাগ থানার পুলিশ। বাড়ির জানলা দরজা ভেঙে গ্রেফতার করা হয় তাদের। ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শফিকুল ও আলিমার দুই সন্তানকে। যাদের বয়স ৫ ও ৩ বছর। সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রীকে যেভাবে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তা অত্যন্ত নিন্দনীয় বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের মতে, এ যেন কোনো সমাজবিরোধী বা সন্ত্রাসীকে তার গোপন ডেরায় সামরিক অভিযান চালিয়ে পাকড়াও করা হচ্ছে।
মধ্যরাতে অভিযোগ দায়ের হয়ে , ভোর রাতে অপারেশন চালানোর মত পদ্ধতিতে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার করা তীব্র নিন্দা জানান বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তাদের তিনজনই এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। শিশু দুটিকে বাড়িতে রেখে মা এখন পুলিশ হেফাজতে।
প্রতিবাদ পত্রে স্বাক্ষর করা বিশিষ্ট ব্যক্তিরা জানান,পরিবার সূত্রে জানানো হয়েছে সাংবাদিক শফিকুল আম্ফান পরবর্তী ত্রাণে কথিত দূর্নীতির বিরুদ্ধে খবর করেছিলেন। তাই, তাদের মুখ বন্ধ করতে এই পুলিশী আচরণ । সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক শাসনে এ জাতীয় স্বৈরাচারী অতিসক্রিয়তা অতিনিন্দনীয়। আমরা তীব্র ভাষায় এ জাতীয় পুলিশী আচরণের নিন্দা করছি।
একই সঙ্গে সরকারের কাছে তারা দাবি জানিয়েছেন,
ধৃত তিন সাংবাদিকদের জামিনে দ্রুত মুক্তি দেওয়া হোক। বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রকৃত সত্য দ্রুত উন্মোচন করা হোক। রাজনৈতিক বিরোধী, সমাজকর্মী ও সাংবাদিকদের স্বাধীন ও মুক্ত পরিবেশে কাজ করার অধিকার সুনিশ্চিত করা হোক।
যেসব বিশিষ্ট মানুষ এই প্রতিবাদ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন, অধ্যাপক ডক্টর নুরুল ইসলাম সভাপতি, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। ডক্টর আব্দুল মাতিন, অধ্যাপক, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। ডক্টর সাইফুল্লাহ, অধ্যাপক, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ।মাওলানা কামরুজ্জামান, রাজ্য সম্পাদক, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন। ইসরারুল হক, সভাপতি, বেঙ্গল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম।
শাহ আলম, সভাপতি, মুসলিম থিঙ্ক ট্যাংক। ড. নাজিবুর রহমান, অধ্যক্ষ, কালিয়াচক কলেজ।আলমগীর সরদার, সম্পাদক, জমিয়তে আহলে হাদিস পশ্চিমবঙ্গ। রাকিব হক, সম্পাদক, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন। মাওলানা আকতার হোসেন, সম্পাদক, সারা বাংলা ইমাম মুয়াজ্জিন কাউন্সিল। সাজিদুর রহমান, সভাপতি, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা ছাত্র ইউনিয়ন। অধ্যাপক আয়াতুল্লাহ ফারুক, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়।