নিউজ ডেস্ক:- আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী ,অমিত শাহের হাত ধরে বিজেপি দলে ঢুকে আবার কংগ্রেস করে পুনরায় তৃণমূলে যোগ দিলেন।বহরমপুরের এক সভায় প্রায় চার কর্মী ও সদস্য নিয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন । যোগ দিয়ে তিনি বলেন এবার মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূলে শক্তি কাকে বলে সেটা কংগ্রেস দেখবে এবং একুশে বাইশে বাইশ টা তৃণমুল কংগ্রেস জিতবে বলে তিনি জানান ।
তৃণমূলকে হারানোর জন্য অধীর চৌধুরীকে সহযোগিতা করার জন্য অধীর বাবু আবার হুমায়ুন কবীরকে 2016 সালে তাকে নিজের দলে টেনে নেন। হুমায়ুন কবীর আবার কংগ্রেসে ফিরে আসেন।
2018 সালে মুকুল রায়ের আহ্বানে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। জাঁকজমকভাবে উৎসব করে সারা রাজ্য ও দিল্লিতে ঘন্টা বাজিয়ে কৈলাশ বিজয় বর্গীর হাত ধরে হুমায়ুন গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নেন।
বিজেপিতে যোগদান করায় পুরস্কৃত হন তিনি। 2019 এ লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ কেন্দ্র থেকে তাকে বিজেপি প্রাথী করে। মুর্শিদাবাদ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি হয়ে দাঁড়ালেও তিনি তেমন কোন সুবিধে করতে পারেননি। কট্টর হিন্দুত্বের তকমা লাগিয়ে তিনি বেশিদিন বিজেপির সঙ্গে ঘর করতে পারেননি। অবশেষে তিনি বিজেপিকে গুডবাই জানিয়ে দেন।
বিজেপি দলকে গুডবাই জানিয়ে তিনি দরগা শরীফ শান্তির জন্য চলে যান। সেখানে তিনি মনস্থির করেন যে তিনি তার রাজনৈতিক ভুল শুধরে নিয়ে তিনি তার পুরনো দলে ফিরে যাবেন।
হুমায়ুন কবীর জানান যে তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি আমার নেত্রী তাই যতদিন বাঁচবো তৃণমূল করবো আর দলের জন্য কাজ করব। তাদের দলে ফিরে আসাতে মুর্শিদাবাদ তৃণমূলে খুশির হওয়া। হুমায়ুন কবীরের তৃণমূলে যোগদান বিজেপির পক্ষে বড় ভাঙ্গন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও মুর্শিদাবাদে একের পর এক ভাঙ্গন ধরিয়ে চলেছেন তৃণমূলের নেতারা। সৌমিক হোসেনের হাত ধরে ঈদের আগে বিজেপি এবং কংগ্রেস থেকে হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে যোগদান দেন। এরপর হুমায়ুন কবিরের আজ তৃনমূলে যোগদান বিজেপির পক্ষে বিশাল বড় ধাক্কা বলে মনে করা হচ্ছে।