বাসন্তী থেকে গ্রেপ্তার হলো অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকার
নিইজ ডেস্ক :- দক্ষিণ 24 পরগনা জেলার বাসন্তীর আমঝাড়া থেকে কয়েকদিন আগে গ্রেপ্তার হলো অনলাইন নিউজ পোর্টালের সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকার।তার বিরুদ্ধে মিথ্যা পকসো আইন অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট এন্ড অল এডিটর অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।মিথ্যা অভিযোগে সাংবাদিক গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে বাংলা তথা দেশ জুড়ে।সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকার সত্যিই কি অভিযুক্ত এর অন্তর তদন্তে যতটুকু উঠে এসেছে লিপির পক্ষ থেকে তা আমরা উপস্থাপনা করব।সংবাদ শিরোনামে যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তারাই আজ সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে কেন? নিজেদের দোষ ঢাকতে ব্যস্ত সর্বদা সবাই, যত দোষ নন্দ ঘোষ! পুলিশের উপরে দোষ দিতে ব্যস্ত সবাই। সাংবাদিক ও পুলিশের মধ্যে সাপ ও বেজির মতো লড়াই চলে সর্বদায়।পুলিশ সুযোগ পেলে সাংবাদিকদের জেলে পুরতে ব্যস্ত, এমনই উদাহরণ বাসন্তী থানার আমঝাড়া গ্রামে চন্দ্রশেখর সরকারের সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে প্রশ্ন উঠেছে দেশ ও বিদেশে। বাংলাদেশের অনলাইন পোর্টালের সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে তার নাম, তিনি সাংবাদিকতা মাত্র চার বছর শুরু করেছে।সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারের অপরাধ ছিল কি তাকে গ্রেপ্তার করতে হলো।পাড়ার সবাই মুখে এক কথায় প্রকাশ পাচ্ছে ছেলেটি ছিল অত্যন্ত সৎ ও নিষ্ঠাবান। তাহলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করল কেন? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে যতটুকু জানা সম্ভব হয়েছে সে কথাগুলো তুলে ধরছি! পুলিশ সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারকে গ্রেফতার করতে চায়নি, পুলিশ জানত সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু মিথ্যা পকসো আইনে তাকে গ্রেপ্তার করতে হলো কেনো তাহলে? আদালতের প্রেসারের ভয় পেয়ে গেছিলাম পুলিশ, সব সত্য জানার পরও তাদের জন্য হাত-পা বাঁধা হয়ে গেছিল। কেউতো আইনের ঊর্ধ্বে নয়। চন্দ্রশেখর সরকারের ছোটবেলায় থেকে অত্যন্ত দুঃখ কষ্টের সহিত জীবনযাপন করে বড় হয়েছে। পড়াশোনা শেষে সরকারি কোন চাকরির সুযোগ তিনি পাননি। তাঁর বাবা ছিলেন একজন ছুতোর মিস্ত্রি, এবং সরকারি বাউল শিল্পী মানিক সরকার। মানিক সরকারের নাম দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে ইসলামী গজল গায়ক হিসেবে। অত্যন্ত নম্র ভদ্র পরিবারের ছেলে চন্দ্রশেখর সরকার, তাহলে এমন মিথ্যা অভিযোগ হলো কেন এই প্রশ্ন সবার মনে জাগতে শুরু করেছে। কিসের কারণে পুলিশ আজও পর্যন্ত যে মহিলা অভিযোগ করেছে তার অভিযোগ গ্রহণ করলো না। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেতে বুঝতেই পারছেন, চন্দ্রশেখর সরকারের ভূমিকা ছিল অত্যন্ত নন্ম এবং ভদ্র ছিল। সর্বদা মানুষের সাহায্য করতে এগিয়ে আসতেন তিনি, যে মেয়েটি আজকেরে তার বিরুদ্ধে কোটে গোপন জবানবন্দি দিয়েছে ,ধর্ষণের অভিযোগ এনেছে, এর প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ প্রমাণ কিন্তু কিছু নেই। পুলিশ মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে কি দেখেছিলেন, মেয়েটা সত্যিকারে ধর্ষণ হয়েছিল কিনা। রাজনৈতিক প্রভাবে তাকে ফাঁসানো হয়েছে কেন জানেন, এমনই কথা উঠে আসছে ন চন্দ্রশেখর পরিবারের মুখ থেকে। এও জানা যায় চন্দ্রশেখর কাছ থেকে কয়েক বছর আগে, যে মেয়েটির পক শোকেসের অভিযোগ করেছে। সেই মেয়েটির বাবা 15000 টাকা ধার নিয়েছিল সাংবাদিক চন্দ্রশেখর সরকারের কাছ থেকে। সেই টাকাটা চাওয়াতে এত বড় বিপত্তি হলো তার। টাকা দেবে না বলে মেয়েকে সামনে রেখে মিথ্যা অভিযোগ আনল , পুলিশ কোডের চাপে পড়ে বাধ্য হয়ে গ্রেপ্তার করল চন্দ্রশেখর কে। তবে সমস্ত ঘটনা তদন্তকারী পুলিশ অফিসারের তদন্ত করে গ্রেপ্তার করা দরকার ছিল বলে মত প্রকাশ করছেন ইন্ডিয়ান জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি দেবাংশু চক্রবর্তী মহাশয় ।