গতকালের বিক্ষোভের পর এ বার দ্বিতীয় দিনের অবস্থান বিক্ষোভে আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা

Spread the love

নিউজ ডেস্ক :-   প্রায় সাত বছর আগে ২০১৪ সালে উচ্চ প্রাথমিকের টেট পরীক্ষার নোটিফিকেশন হয়। এরপর পরীক্ষা হয় ২০১৫ সালে। ২০১৬ সালে ফল বেরোয়। ২০১৯ সালের ৪ অক্টোবর প্রভিশোনাল মেধাতালিকা প্রকাশের পরে এখনও নিয়োগ হচ্ছে না। ফলে এবার বাধ্য হয়ে দ্রুত নিয়োগের দাবিতে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা। গতকাল থেকে শুরু করে রাত গড়িয়ে আবার সকালে দ্বিতীয় দিনের অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন আপার প্রাইমারি চাকরি প্রার্থীরা।

দীর্ঘ সাত বছরের অপেক্ষা! প্রভিশোনাল মেরিট লিস্টে নাম ওঠা সত্ত্বেও মিলছে না চাকরি। এই অভিযোগে ও অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে মঙ্গলবার থেকে আচার্য সদনের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন এসএসসি আপার প্রাইমারীর চাকরি প্রার্থীরা। কখনও এসএসসি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি, কখনও বা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের চাকরিতে নিয়োগের দাবি। রাজ্যে এসএসসির শিক্ষক নিয়োগে জট অব্যাহত। এসএসসির টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল ২০১৪ সালে। মাঝে পার হয়ে গেছে প্রায় সাত বছর। এখনও চাকরিতে নিয়োগের ডাক পাননি চাকরি প্রার্থীরা। চাকরিতে অবিলম্বে নিয়োগের দাবিতে কলকাতা আচার্য সদনের সামনে আমরণ অনশনে বসলেন তাঁরা।

মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে অনশন। আজ অনশনের দ্বিতীয় দিন। কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থী এই আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। আজ জমায়েত আরও বাড়তে পারে। শীঘ্রই চাকরিতে নিয়োগ করা না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তাঁরা। চাকরি প্রার্থীদের দাবি, যতক্ষন না পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন কাউন্সেলিংয়ের অর্ডার দিচ্ছে তাঁরা অনশন আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

প্রকাশ থাকে যে গতকাল ধর্মতলা চত্বর এই আন্দোলনকে ঘিরে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে।

মঙ্গলবার ‘আনএডেড’ মাদ্রাসাগুলির উন্নয়নের দাবিতে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ‘ওয়েস্টবেঙ্গল রেকগনাইজড আন এইডেড মাদ্রাসা টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন’। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সকালে মাদ্রাসা শিক্ষকদের কয়েকটি মিছিল ধর্মতলায় জড়ো হয়। কথা ছিল, মিছিলগুলি গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়ে সকলে একসঙ্গে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাবেন। অনেক আগে থেকেই এই কর্মসূচি ঠিক করে রাখা ছিল। সংগঠন সেনার অনুমতিও নিয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশের অনুমতি ছিল না। তাতেই বাধে বিপত্তি। মিছিল শুরু হতেই পুলিশ  বাধা দেয়। মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে পুলিশকর্মীদের ধ্বস্তাধস্তি শুরু হয়। কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষকনেতা রাজপথে শুয়ে পড়েন।

অভিযোগ, এরপরই কড়া পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের অনেককে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কয়েকজনের উপর লাঠিচার্জ করা হয় বলেও অভিযোগ। সংগঠনের সভাপতি জাভেদ মিয়াঁদাদ সংবাদমাধ্যমে দাবি করেছেন, “সংখ্যালঘুদের উপর এই সরকার অত্যাচার করছে। এই সরকারের মানসিকতা সংখ্যালঘুদের দাবিগুলিকে দাবিয়ে রাখা।” আন্দোলনকারী এক শিক্ষক বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গান্ধী মূর্তির দিকে এগোচ্ছিলাম। হঠাৎ পুলিশ আক্রমণ করে। আমাদের কয়েকজনকে মেরে রক্তাক্ত করা হয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.