ওয়েব ডেস্ক :- আজ সারা দেশ জুড়ে মোদীর কুশপুত্তলিকা দাহ আগামী ৮ ই ডিসেম্বর ভারত বনধ। দেশ জুড়ে চলছে কৃষকদের আন্দোলন। দিল্লির রাজপথে কৃষকদের জমায়েতে রুদ্ধশ্বাস অবস্থা কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে এবার দেশজুড়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন কৃষক সংগঠনগুলো। আগামী ৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। শুক্রবার নিষ্ফলা বৈঠকের পর সন্ধের দিকে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি ঘোষণা করে, ৮ তারিখ তাঁরা ভারত বন্ধ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আজ প্রতিবাদ স্থলে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচিও রয়েছে কৃষকদের। ৮ তারিখ তাঁদের ডাকা বন্ধকে সমর্থন জানিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও। এই অবস্থায় সমাধানের রাস্তা বেরল করার আশা নিয়ে আজ ফের তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে কেন্দ্র।পাশাপাশি ওই দিন কেন্দ্রীয় সরকারের নয়া চিকিৎসা নীতির বিরুদ্ধে ১২ ঘন্টার কর্মবিরতি ডাক দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের তীব্র আন্দোলনের মুখে তিনটি বিতর্কিত কৃষি আইন সংশোধনের জন্য রাজি হয়েছে মোদি সরকার। সরকার পক্ষের সঙ্গে প্রায় সাত ঘন্টা বৈঠকের পর এ কথা জানান কৃষক নেতারা।
কিন্তু সংশোধনে সন্তুষ্ট নন দেশের কৃষকরা, তারা এই আইনগুলো পুরোপুরি প্রত্যাহারের জন্য দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরকারপক্ষের সাথে কৃষকদের সাত ঘণ্টার ম্যারাথন বৈঠক হয়। চতুর্থ ধাপের সমঝোতা আলোচনায়ও হয়নি দফারফা। ঠিক হয়েছে- আজ শনিবার আবারও কৃষক প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করবে সরকারপক্ষ। সেখানেই চূড়ান্ত সমাধান আসবে- এমনটা প্রত্যাশা কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের। সেপ্টেম্বরে পাস হওয়া ৩টি বিতর্কিত কৃষি আইনে- সরাসরি পণ্য বিক্রির সুযোগ পেতো কৃষকরা। কিন্তু কৃষকদের অভিযোগ এর ফলে সরকারের দেওয়া ন্যূনতম সহায়ক মূল্য হারাতে হতো কৃষকদের। আর এ সুযোগেই লাভবান হতো মুনাফাখোরেরা।
শুক্রবার নিষ্ফলা বৈঠকের পর সন্ধের দিকে আন্দোলনরত কৃষক সংগঠনগুলি ঘোষণা করে, ৮ তারিখ তাঁরা ভারত বন্ধ কর্মসূচি পালন করা হবে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি, আজ প্রতিবাদ স্থলে প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল পোড়ানোর কর্মসূচিও রয়েছে কৃষকদের। ৮ তারিখ তাঁদের ডাকা বন্ধকে সমর্থন জানিয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে অন্যান্য রাজনৈতিক দলও। এই অবস্থায় সমাধানের রাস্তা বেরল করার আশা নিয়ে আজ ফের তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসছে কেন্দ্র।
চলতি সপ্তাহেই কয়েকদফা বৈঠক, আলোচনার পরও বেরয়নি সমাধানসূত্র। কৃষকদের দাবি একটাই, প্রত্যাহার করে নিতে হবে নতুন তিনটি কৃষি আইন। কারণ, তা সম্পূর্ণ কৃষক বিরোধী বলে মনে করছেন তাঁরা। বিশেষত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (MSP) তুলে নেওয়ার বিষয়টি একেবারেই না-পসন্দ তাঁদের। এই চাপে পড়ে আগের বৈঠকে অবশ্য MSP নিয়ে সরকার আশ্বাস দিয়েছিল। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের আশ্বাস ছিল, এমএসপি-তে হাত দেওয়া হবে না। আদালতে যাওয়ার দাবিও বিবেচনার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কৃষিমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এমএসপি নতুন কৃষি আইনের অংশ নয়। তাই বিষয়টিতে কোনও পরিবর্তন করা হবে না। বরং সরকার এমএসপিগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য কাজ করবে। তাতেও আশ্বস্ত হননি কৃষকরা। আইন প্রত্যাহারের দাবিতেই অনড় তাঁরা।