আমরা বর্তমানে এত অসুস্থ কেন?
ইসলামিক দৃষ্টি ভঙ্গিতে রোগের সমাধান এবং প্রতিরোধের উপায়
প্রতিবেদন ,ডাঃ ইয়ার আলী
(Dr.Year Ali
MBBS (WBUHS).
MD(ALTERNATIVE MEDICINE) IBAM,KOL
REGD.NO-68873(WBMC)
GDMO(WBHS)
Karnasubarna Hosital,Berhampore,Murshidabad.)
মহান আল্লাহ বলেন,
وَ مَا خَلَقۡتُ الۡجِنَّ وَ الۡاِنۡسَ اِلَّا لِیَعۡبُدُوۡ
আর জিন ও মানুষকে কেবল এজন্যই সৃষ্টি করেছি যে তারা আমার ইবাদাত করবে। ( সূরা যারিয়াত, ৫১ নং সূরার ৫৬ নং আয়াত)
মানুষ বা অন্য সকল মাখ্বলুকাত তাদের স্বীয় ফিৎরাতের গুণে কারোও না কারো উপাসনা করে৷ মানুষ ও জ্বিন জাতি ছাড়া অন্যসকল সৃষ্টিকূল আল্লাহরই ইবাদত করে৷ কিন্তূ, পরীক্ষা নেওয়ার জন্য মানুষ ও জ্বীনদের এই ইবাদতের ব্যাপারে স্বাধীনতার সুযোগ দিয়েছেন আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা৷কারণ, অফুরন্ত নিয়ামতে ভরপুর জান্নাত ও অফুরন্ত আযাবে ভরপুর জাহান্নাম মানুষ ও জ্বীনজাতির জন্যই সৃষ্টি করেছেন মহান মালিক আল্লাহ৷
“ইসলাম” অর্থ আল্লাহর বিধানের ও ইচ্ছার কাছে নিজেকে সঁপে ও সমর্পন করা ও পালন করার মাধ্যমে একমাত্র প্রাপ্তি শান্তি লাভ করা৷ সেই শান্তি শুধু ইহলোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, পরকালীন জীবনের জান্নাত পর্যন্ত বিস্তৃত! সেই শান্তি ইহকালের ছিটেফোটা হলেও ,পরকালে অফুরন্ত ,চিরস্থায়ী ও অনাবিল শান্তি৷
মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্যই হল— আল্লাহর ইবাদতের মধ্য দিয়ে জীবনের সর্বস্তরে,সর্বক্ষেত্রে,সর্বকালে শান্তি লাভ করা৷ এই ইবাদত শুধুমাত্র স্বলাতের নির্দিষ্ট নিয়মে দেহাঙ্গের চলনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এই ইবাদত রমাজানের সিয়াম,নিসাব-উর্ধ্ব যাকাতের আদায়,সামর্থ্যানুযায়ী হজ্ব সম্পাদনের মধ্যেই সম্পন্ন করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়৷ এগুলো ইসলামের অপরিহার্য তৌহিদে উলুহীয়াতের পাঠ৷ এই পাঠগুলি পুরো বিশ্বজুড়ে,পুরো মন জুড়ে,পুরো জাতি জুড়ে মনোনিবেশ সহ সম্পাদন করলে বাকী ছোট খাট পাঠগুলি ও টপিকগুলি স্ব-ধারাতেই সঠিক পথে চলতে থাকে৷
সূরা বাক্বারার মধ্যে বর্ণিত ঘটনাটি প্রায় প্রত্যেকই মুসলিমই শুনেছেন যে, আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা যখন আদম(আঃ)কে সকল কিছুর নাম ও জ্ঞান শিখালেন এবং জ্ঞানের পরিমাপে ফেরেস্তাদের তুলনায় বেশী এগিয়ে রাখলেন৷ তখন তিঁনি একটি মানুষকে তাঁর শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির মর্যাদা দিতে, সকল ফেরেস্তাদের নির্দেশ করলেন , আদম(আঃ) কে সিজদাবনত হয়ে সম্মান প্রদর্শন করতে৷ মানুষের ইবাদতের জন্য নয় কিন্তূ৷ এর এটা ছিল আল্লাহর সরাসরি হুকুম!!! আল্লাহর হুকুম কায়মনোবাক্যে মেনে নেওয়াই হল আল্লাহর আনুগত্য ও সবচেয়ে বড় ইবাদত৷ সকল ফেরাস্তাকূল যাঁরাই ঐ বিশাল সম্মেলনে হাজির ছিলেন সকলেই কোন রকম ওজর-আপত্তি ছাড়াই আল্লাহর প্রতি একান্ত আনুগত্যের প্রদর্শনে আদম (আঃ) কে সেজদা করলেন! কিন্তূ, ঐ দলে ঠাঁয় পাওয়া অত্যান্ত সম্মানী,মর্যাদাবান,প্রভাবশালী জ্বীন-আযাযিল (আঃ) বেঁকে বসলেন!!!
একা আল্লাহর একান্ত প্রিয় বান্দা হওয়া সত্বেও, জীবদ্দশাতেই জান্নাতে ভ্রমণ করা,আসমান ও মহাবিশ্বের অসংখ্য নিয়ামত দেখা এই আযাযিলের এহেন আচরনে আল্লাহ খুবই খুবই রাগান্বিত হলেন! আল্লাহ তা’লা আযাযিলকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিসে তোমাকে আমার হুকুম মানতে বাধা দিল??
আযাযিলের বিনম্র জবাব, আল্লাহু আজ্জে ওয়াজাল! আপনি আমাকে আগুন দিয়ে তৈরী করেছেন , আমি আগুনের তৈরী জ্বিন,যার উর্ধ্বমুখী গমণের স্বভাবজাত ধারা, আমি আপনার সর্বোচ্চ সম্মানীয় বান্দা , যার জন্য আমাকে আপনিই আকাশে জান্নাতে ফেরেস্তাদের সাথে স্থান দিয়েছেন—সেই আমি মাটির তৈরী মানুষ যার নিম্নমুখীতা যার গমণ ও স্বভাবগত ধারা,তাকে কীভাবে সম্মানার্থে সেজদা করতে পারি???
আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করা ,উপরন্তূ নিজের ভূলের উপর অটুট থাকতে যুক্তি প্রদর্শনে সামান্যতম ভীতি ও লজ্জার লেশ মাত্র না থাকা—আযাযিলের জন্য অভিশাপ হয়ে গেল! যে জ্বিনটা এতটাই আল্লাহর কাছাকাছি বান্দাতে পরিণত হয়েছিল যে, জান্নাত প্রায় ঢুকেই গেছিল!! জীবদ্দশাতেই জান্নাত দেখেছিল!! সে নিজেও ১০০% নিশ্চিৎ ছিল -সে জান্নাতে যাবেই৷ অথচ, তাক্বদীরের লেখাতে ঐ কয়েকটি গুরুতর অপরাধমূলক যুক্তি খাঢ়া করতে গিয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে গেল!!! সে অভিশপ্ত ইবলিশে পরিণত হল৷
ইবলিশ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হল, যে আদম জাতির জন্য আমার পরিণতি জাহান্নাম-তাদের প্রত্যেককে আমার সঙ্গী করে জাহান্নামে নিয়ে যাব!! কিন্তূ কীভাবে???
যাবতীয় ক্ষমতা,হায়াত মৃত্যুর মালিক, সবকিছুর উপর নিয়ন্ত্রন কারী তো শুধুমাত্র আল্লাহ রব্বুল আলামীন৷ অক্ষমার্হ পাপের নিশ্চিৎ পরিণতি জাহান্নাম বুঝে, ইবলিশ আল্লাহর কাছে কিয়ামত পর্যন্ত মানুষজাতিকে, আদম(আঃ) এর সন্তানদেরকে জাহান্নামে টেনে নিতে ,নিজের পথের পথিক বানাতে কতকগুলি ক্ষমতা চেয়ে নিল৷ কিয়ামত পর্যন্ত হায়াত, মহুর্তে পৃথিবী ভ্রমণ,মানুষের শিরায় শিরায় চলনের ক্ষমতা প্রদান করেন৷*
*{আল্লাহ যখন শয়তানকে জান্নাত থেকে বের করে দেন তখন সে চারটি বিষয়ের আবেদন করে। তা হলো-
১. আমাকে কিয়ামত পর্যন্ত জীবন লাভ। আল্লাহ তার এ প্রার্থনা কবুল করেন। আল্লাহর বাণী, ‘ইবলিস বলল, আমাকে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত সুযোগ দিন, আল্লাহ তাআলা বললেন, তুমি সুযোগপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা : আরাফ, আয়াত : ১৫)
২. আমার জীবিকার ব্যবস্থা করতে হবে। এ আবেদনও কবুল করা হয়।
৩. আমাকে মানুষের দৃষ্টিশক্তির অন্তরাল হওয়ার সুযোগ দিতে হবে। এটিও কবুল করা হয়।
৪. আমি যেন মানবদেহের শিরা-উপশিরায় চলাচল করতে পারি। এ দোয়াও কবুল করা হয়।
মহানবী (সা.) বলেন, ‘অবশ্যই শয়তান আদমসন্তানের শিরা-উপশিরায় বিচরণ করে।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৮৮; সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৭৪)}
ক্ষমতাগুলি পাওয়ার পর ইবলিশ আল্লাহর সাথে প্রকাশ্যে চ্যালেন্জ দিতে লাগল! অথচ, তিঁনিই তার মালিক৷ ইবলিশ বলল, হে আল্লাহ! আপনি যে মানুষকে আপনার অনুগত বান্দা হওয়ার অভিপ্রায়ে সৃষ্টি করলেন,তাদের অধিকাংশকে আমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা দিয়ে ‘ তোমার অনুগত বান্দা’ হওয়া থেকে বিরত রাখব৷ অতঃপর সকলকে আমার ঠিকানা জাহান্নামে পৌঁছাব!
আল্লাহ বললেন, তুমি তাদের কিছুই করতে পারবেনা,যারা আমি আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে৷
আল্লাহর প্রতি ঈমান মানে পুরো কুরআন ও হাদিসকে মান্য করা ও স্বীকার করা৷ এই ঈমানে যাদের অন্তর,জশবা,শরীর,কর্মকান্ড,নিয়ম নীতি,পরিবার,সমাজ,দেশ নিয়মিত অনুশীলনে পরিব্যাপ্ত থাকে,তাদের কাছে ইবলিশের পাতা ফাঁদগুলি, তার প্রতিটি ধোকাগুলি, তার প্রতিটি প্রলভনগুলি তাশের ঘরের মতই ভঙ্গুর!!!
তাহলে, মানুষের মূখ্য শত্রু ইবলিশ এবং একমাত্র হিদায়ত দানকারী ও রক্ষাকারী আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা৷
তাহলে, আমাদের জীবনের মূল লক্ষ্য হল— “শান্তি লাভ” ৷ ইহকালে মনের দিক থেকে, শরীরের দিক থেকে, স্ত্রী পরিবার থেকে, সন্তান সন্ততিদের থেকে, সমাজ থেকে, দেশ থেকে, প্রত্যেক আপন আপন পরিসরে শাসকের কাছ থেকে “শান্তি লাভ” ৷
আবার,পরকালেও এই শরীর ও মনের উপর অবিরত, অনবরত কঠিন অগ্নির দহণ,বিভিন্নরকম আযাব,যাবতীয় শাস্তি ও কঠোরতায় পরিপূর্ণ জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে, অনাবিল চিরস্থায়ী চরম সফলতা ও শান্তির আবাসস্থল জান্নাত লাভ করার মধ্যেও “শান্তি লাভ” ৷
যে শরীর ও মনের বা স্বাস্থ্যের উন্নতি বা অবনতির মাধ্যমে শান্তি বা শাস্তি লাভ করছে, সেই শরীর ও মন নিয়ে আল্লাহ রব্বুল আ’লামীন তাঁর প্রেরিত মানব- জীবন বিধান ” ইসলাম” এ আলোকপাত করেন নি—এ কথা আমি কক্ষনই বিশ্বাস করিনা৷
কারণ, আল্লাহ বলেছেন—
وَنُنَزِّلُ مِنَ الْقُرْآنِ مَا هُوَ شِفَاء وَرَحْمَةٌ لِّلْمُؤْمِنِينَ وَلاَ يَزِيدُ الظَّالِمِينَ إَلاَّ خَسَارًا
আমি কোরআনে এমন বিষয় নাযিল করি যা রোগের সুচিকিৎসা এবং মুমিনের জন্য রহমত। গোনাহগারদের তো এতে শুধু ক্ষতিই বৃদ্ধি পায়। ( সূরা বানি ইসরাইল, আয়াত নং-৮২) ৷
ইসলাম যেমন জীবনের সকল সমস্যার সমাধান,তেমনই জীবনের সবচেয়ে বড় সমস্যা ” স্বাস্থ্য সমস্যা” রও সমাধান৷
কিন্তূ, জীবনের একটি সবচেয়ে বড় দিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে ইবলিশ কী অবজ্ঞা ও কূটকুশলীহীন ভাবে বসে থাকবে? যেই স্বাস্থ্য এর ব্যাপারে ঈমানের অনেকগুলি বিষয় জড়িয়ে আছে৷ আল্লাহই রোগ দেন,আল্লাহই শেফা দেন, রোগ ডাক্তারের জন্য ভাল হল, রোগ মানব স্বাস্থ্যে একটি বড় বিপদ, প্রভৃতি নানা বিশ্বাস ও স্বাস্থ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত৷
আদম(আঃ) সৃষ্টির পর থেকে আজ অবধি বহু নবী রসুল, বহু শাসক,জালেম,বহু যুগ সভ্যতা অতিক্রান্ত হয়েছে৷ ১ লক্ষ ২৪ হাজার নবী রসুল এসেছেন৷ আদম (আঃ),নূহ (আঃ),মুসা( আঃ),ইব্রাহিম (আঃ),ইয়াকুব(আঃ), ইউসুফ(আঃ) , ঈসা (আঃ), মুহম্মদ (সঃ) ইত্যাদি প্রত্যেকেই নির্দিষ্ট হায়াতে পৃথিবীতে আল্লাহর ঈমানের দিকে মানুষকে আহ্বান করেছেন, প্রকাশ্য শত্রু ইবলিশ সম্পর্কে সচেতন করেছেন৷ সকলেই এই নশ্বর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন ৷ কিন্তূ, ইবলিশ???
ও তো এখনও বেঁচে আছে৷ এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে৷ ওর মূল লক্ষ্য মানুষকে তার সঙ্গী বানিয়ে, তার পদাঙ্কের অণুসরণ করিয়ে ‘আল্লাহর অনুগত বান্দা হতে প্রতিরোধ গড়ে তোলা’ এবং জাহান্নামী বানানো৷ তার লক্ষ্যে অবিচল থেকে যুগ,সভ্যতা,মানুষের জ্ঞান,বুদ্ধি, ধ্যান ধারনা ও বিশ্বাসের প্রগাঢ়তা অনুযায়ী বিভিন্ন যুগে,বিভিন্ন সভ্যতায় একেক রকমের ফিতনা বা হিউমান সাইকোলজি তৈরী করে, একেক রকমের ফাঁদ ও টোপ তৈরী করে খুবই দক্ষতার সাথে মানুষকে পথভ্রষ্ট বানিয়ে চলেছে৷ এখনও চলছে৷ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে৷
বর্তমানের যত চাকচিক্য ও নূরহীন প্রোপোগান্ডা, এজেন্ডা ইবলিশ সুচারুভাবে পৃথিবীতে বাস্তবায়িত করে নিজের পথে মানুষকে নিয়ে যাচ্ছে৷ প্রকাশ্য দুশমন ইবলিশ থেকে বাঁচতে গেলে এবং সফলতা পেতে হলে, আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস ও ইবলিশের শত্রুতার স্বরূপ ও স্ট্রাটেজি জানা আমাদের ভীষনই প্রয়োজন৷ শত্রুর দূর্বল পয়েন্টগুলি আঘাত না করলে, ইবলিশ ক্ষান্ত হবেনা৷ ইবলিশ সমুদ্রে তার সিংহাসনে উপবিষ্ট থেকে রাজনৈতিকভাবে,অর্থনৈতিকভাবে,যান্ত্রিকভাবে,শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে, নিফাকি আত্মার অনুকূল পরিবেশ তৈরী করে দাজ্জাল,বিভিন্ন গোপণ সংস্থা, কতকগুলি বিশ্ব সংস্থার ট্যাগ লাগিয়ে ইবলিশ সুকৌশলে আজও মানুষকে পথভ্রষ্টতার দিকে সম্মোহিত করে নিয়ে যাচ্ছে৷ ঈমানের মধ্যে নিফাকি,কুফরি,শিরকি থাকলে ব্যক্তিটি মহুর্তেই ইবলিশের ফাঁদে পা দিয়ে বিপথে যাবে-সেটা বলাই বাহুল্য৷ কারণ, আল্লাহর সাহায্য তখন কেটে যায়৷
এবার আসি আসল কথায়৷ আজ থেকে ১০০ বছর আগের পৃথিবীতে লোক সংখ্যার নিরিখে ডায়াবেটিস,হাইপ্রেসার,থাইরয়েড,বাত ব্যাথা, ওবেসিটি, লিভারের সমস্যা, প্রষ্টেটের সমস্যা, মহিলাদের সাদাস্রাব,সিস্ট,টিউমার,ব্রেষ্টের সমস্যা প্রভৃতি, হাঁপানি,ব্রঙ্কাইটিস, এলার্জি, এন্জাইটি,ডিপ্রেসন,ইনসমনিয়া, ডিমেনসিয়া, পারকিনসনস,গ্যাসের সমস্যা, ক্যান্সারের সমস্যা ইত্যাদি অনেক কম ছিল বা ছিলনা বললেই চলে৷
আর এখন?? প্রত্যেক মানুষই কোনও না কোন এমন অসুখে ভূগছে যার সুরাহা পাচ্ছেনা বা নির্মুল হচ্ছেনা৷ বর্তমান চিকিৎসা পদ্ধতিতে রোগের বা অসুবিধার উপশম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তূ নিরাময় হচ্ছেনা! অথচ, স্বাস্থ্য কেন্দ্র,হাসপাতাল,ডাক্তার,নার্স,ঔষধি,যন্ত্রপাতি,ইনভেষ্টিগেশন,নার্সিং হোম —চিকিৎসা ব্যবস্থাপণার সকল কিছুই এখন যে হারে ও যতটা আছে, তখন কিন্তূ খুবই নগন্যই ছিল৷ নন-কমিউনিকেবল ডিজিজগুলি আগেকার যুগে খুবই কম ছিল৷ তাহলে, বর্তমানে এত অসুখ কেন হচ্ছে?? কবে থেকে এই বিপর্যয় মানুষের উপর পড়ল?? কীভাবে পড়ল??
চলুন আমরা একটু ভেবে দেখি!
কারণ, ইসলাম কিন্তূ সমাধান দিয়েছে অথচ সেই সুবিধা আমরা কাজে লাগাতে পারছিনা বা লাগাচ্ছিনা৷ আল্লাহর নবী মুহম্মদ (সঃ) বলেছেন,
” আল্লাহ এমন কোন রোগ পাঠান না, যার চিকিৎসা সঙ্গে পাঠান না৷ যখন রোগের সঠিক ঔষধ প্রযুক্ত হয়,তখন রোগটি আল্লাহর ইচ্ছায় দূরীভূত বা নিরাময় হয়ে যায়৷” হাদিসটি সহীহ সনদে মুসলিম ও বুখারী শরীফে এসেছে৷
হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী সকল রোগ নিরাময় সম্ভব (মৃত্যু ব্যতিক্রম) ৷ তবে শর্ত হল
*ঔষধ বা চিকিৎসা সামগ্রী আল্লাহ যমীনে ছড়িয়েই দিয়েছেন৷ সেগুলি চিন্তা-গবেষণা ও অনুসন্ধান করে সামনে আনতে হবে৷
* রোগ অনুযায়ী সঠিক ঔষধ প্রয়োগ ৷
* আল্লাহর ইচ্ছা৷
বর্তমানে যান চলাচল, পথ দূর্ঘটনা ,ভাইরাল এক্সপ্লোশন, প্যাথোজেন স্প্রেডিং প্রভৃতি কারণে এক্যুউট স্বাস্থ্য সমস্যা অনেক৷ এগুলির প্রায় সবগুলিই পরিপূর নিরাময় সম্ভব৷ যেমন, ম্যালেরিয়া,টাইফয়েড,টিবি,লেপ্রসি, এবসসেস,বয়েলস,চোট আঘাত,হাড় ভাঙ্গা প্রভৃতি৷
কিন্তূ, মূল সমস্যা হল দীর্ঘমেয়াদী ক্রনিক অসুখগুলি৷ যেমন—
• শারীরিক দুর্বলতা
• সাদাস্রাব
• এলার্জি
• চোখের নিচে কালি
• * Autoimmune Ds * Sugar Issues * Children’s Health * Cirrhosis *Eczema
* Constipation * Fatty Liver * Mystery Infertility * Dermatitis * Gout
* Food Allergy * IBS
* Gallbladder Issues * Gut Problems * Heart Palpitations * High Blood
Pressure * High Cholesterol * Hot Flashes * All Type of Joint Pain
* Insomnia * Psoriasis * Sinus Problem * Chronic Headache * Migraine
* Obesity
* মুখের মেচেতা
* ক্রনিক আমাশয়
* পেটের যে কোন সমস্যা
* থাইরয়েড প্রবলেম
* নার্ভ ও শিরার যন্ত্রণা
* শ্বাসকষ্ট
* ব্রংকাইটিস
* হাঁপানি
* দাদ
* চুল পড়া ও টাকের সমস্যা
* নখের সমস্যা
* গ্যাস
* অতিরিক্ত ঢেকুর
* মহিলাদের ওভারি সিস্ট
* ঘাড় ব্যথা ও কোমর ব্যথা
* ফ্রোজেন সোল্ডার
* হাত পা টান ধরা
* খিদে না হওয়া
* মুখের ঘা
* ক্রনিক টনসিল *কানের মধ্যে সাঁ সাঁ শব্দ প্রভৃতি৷
এগুলি সামনে যত আমরা এগুচ্ছি, আমাদের প্রজন্ম যত সামনে আসছে ততই উপরিউক্ত ক্রনিক অসুখগুলি বেশী বেশী মাত্রা ও সংখ্যা নিয়ে প্রায় প্রত্যেক বাড়িতেই অধিকাংশ মানুষের মনে ও দেহে বাসা বাঁধতে শুরু করছে৷ সামনের প্রজন্মগুলি অল্প বয়সেই বিভিন্ন ক্রনিক অসুখে আক্রান্ত হচ্ছে৷
উপরিউক্ত নানা অসুখগুলি নিরাময় করতে সচেষ্ট চিকিৎসককূল পেরেশান হচ্ছেন৷ অসুখগুলির মধ্যে পারস্পরিক রিলেশন অনুধাবন করতে পারছেন না৷ এটা অধিকাংশ লোকের ক্ষেত্রেই দেখবেন— যে মানুষটি গ্যাসের সমস্যায় ভূগছে আজ, কয়েক বছর পর ঐ লোকটিই পেটের অন্যান্য সমস্যায় ভূগছে৷ আরেকটু বয়স বাড়লে ফ্যাটি লিভার,ওবেসিটি, সাদাস্রাব, তলপেটের নানা সমস্যায় ভূগছে৷ আরেকটু বয়স হলে থাইরয়েড ও মায়েলজিয়া, ইডিমা, ফ্যাটিগ, নিউরোপ্যাথিতে ভূগছে৷ আবার কয়েক বছর পর সুগার বা প্রেসার বা দুটোই৷ আরো কয়েক বছর পর বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যাথা,ফোলা ও যন্ত্রনা বা বাতের সমস্যায় ভূগছে৷ মুটামুটি ৫০-৬০ বছর বয়স্ক রোগীটি প্রায়শঃ ডিসপেপসিয়া,কন্সটিপেশন,ওবেসিটি,এনার্জি ইস্যু, ঘুমের সমস্যা, থাইরয়েড,প্রেসার,বাত ব্যাথা প্রভৃতি সমস্যাতে একই সময়ে ভূগছেন৷ একবার যে রোগটি দেহে ঢুকেছে,সেটা আর নিরাময় বা দূর তো হয়ই নি,বরং বয়ঃবৃদ্ধির সাথে সাথে একের পর এক নতুন নতুন সমস্যা যুক্ত হয়ে জীবনটা গ্লানিময় করে তুলেছে৷ মানসিক ও শারিরীকভাবে বিধ্বস্ত মানুষটি আল্লাহর পরিপূর্ণ ইবাদতের পথে হাঁটতেই পারলনা৷
বরং তখন ভাতের থেকে মুড়ি মুরকীর মত ট্যাবলেটস,ক্যাপসুলস খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়৷ তথাপিও, সম্পূর্ণ নিরাময় না হয়ে শুধু উপশমটা হয়৷
কেন? তাহলে, হাদিসটি মিথ্যা?? মুহম্মদ (সঃ) এর জবানে বর্ণিত আল্লাহরই বাণী ও জ্ঞানটি মিথ্যা??
আমাবস্যার রাতে চাঁদ উঠে গেলেও, আম গাছে জাম ফুটলেও অসম্ভব সম্ভব হয়ে উঠে৷ মিরাকল হলেও হতে পারে!! কিন্তূ, সহীহ মানের হাদীসটি ভাষ্য কক্ষনই মিথ্যা হবেনা৷
তাহলে, এত চিকিৎসার পরও মানুষ ঐ সকল ক্রনিক রোগগুলি থেকে নিরাময় পাচ্ছেনা কেন? তবে,চিকিৎসা মিথ্যা??
না,তাও নয়!!!
বরং মূল বিষয়টি অতি সুকৌশলে সবার দৃষ্টির অগোচরে সুনিপুনভাবে লুকিয়ে রেখে দেওয়া হয়েছে৷ মন ভোলানো ও সামন্জস্যপূর্ণ, চাকচিক্যপূর্ণ কতকগুলি তত্ব,বিশ্লেষণ ও প্রোপোগান্ডা দিয়ে মূল কারণটিকে ধামা চাপা দেওয়া হয়েছে৷ এবং এটি করেছেই ইবলিশ!!! তার অনুগত বান্দা দাজ্জাল ও দোসররা৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অন্যান্য বহু বিশ্ব সংস্থার মতই এমন একটি প্লাটফর্ম যেখান থেকে স্বাস্থ্য বিষয়টাকে ধীরে ধীরে সফলতার দিক থেকে বিফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে!!! বিশ্ব মানুষকে ক্রনিক পয়জনড ও অতঃপর মানসিক ,শারিরীক প্রতিবন্ধী করার এজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে বিংশ শতাব্দির শুরুতে (১৯০৫) চাষাবাদে রাসায়নিক ফার্টিলাইজার, কেমিক্যালস, পেষ্টিসাইড,ফাংগিসাইডস, ইনসেক্টিসাইডস প্রভৃতি ব্যবহারের প্রচলন হয়৷ এবং এই বিষ ওরাই পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ,প্রোডাকশন করেছে ও এখনও করছে৷
তারও আগে ১৭৫০-১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের মাঝে গোটা বিশ্ব ব্যাপি শিল্প কারখানা ব্যাপকতা লাভ করে৷ আমাদের ব্যক্তিগত,পরিবারে ব্যবহৃত সকল জিনিষপত্র, কাপড় চোপড়, হাঁড়ি বাসন, যন্ত্রপাতি প্রভৃতি শিল্প কারখানাতে ব্যাপক তৈরী হতে লাগল৷ ইন্ডাষ্ট্রিয়াল ওয়েস্টম্যাটারস ও প্রোডাক্টে থাকা ক্যামিক্যাল, হেভি মেটালসগুলি আমাদের ত্বক দিয়ে শোষণের মাধ্যমে,নাক দিয়ে প্রশ্বাসের মাধ্যমে, খাদ্যে ও পাণীয়ে গ্রহণের মাধ্যমে সেই তখন থেকে এখনও আমাদের দেহে,রক্তে ঢুকছে৷ আবার, কৃষিতে ব্যবহৃত,মৎস্য চাষে ব্যবহৃত ক্যেমিক্যালসগুলি অধিকাংশ পরিমাণে মার্কারি,কপার,এলুমিনিয়াম,নিকেল,ক্যাডমিয়াম,আর্সেনিক, লেড প্রভৃতি দ্বারা প্রস্তূত হয়৷ জমিতে ফসলে ছিটিয়ে দেওয়া বিষগুলি আমাদের খাদ্যকণার সাথে পেটে ঢুকছে৷ মাটিতে মিশে যাওয়া বিষগুলি জলের স্তরে মিশে গিয়ে আমাদের পাণীয়কেও বিষাক্ত করছে৷ প্রথমদিকে DDT ব্যবহৃত হত যা প্রচন্ড হেপাটো এন্ড নিউরোটক্সিক৷ রক্তে ও পেটে প্রবিষ্ট বিষগুলির ক্ষতিকর প্রভাব নষ্ট করতে লিভার সেগুলিকে ডিসআর্মিং করে দেয়৷ কিছুটা পিত্ত দিয়ে বের হতে পারে৷ কিন্তূ হেভি মেটালস এক্যুমুলেটিভ৷ লিভারে একবার ঠাঁয় পেলে সহজে আর বেরোতে চায়না৷ এইভাবে প্রতিদিন ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র পরিমাণে লিভারে পুন্জীভূত হচ্ছে বিষগুলি৷ লিভার যেমন কার্বোহাইড্রেট, এমাইনোএসিড,ফ্যাটিএসিড, মিনারেলস,ভিটামিনস জমা রাখে তেমনি বিষগুলিও জমিয়ে রাখছে৷ লিভার বেশী বেশী লোডেড হচ্ছে৷ নিউট্রিশনগুলি রিসাইকল প্রক্রিয়াতে জমছে,ব্যবহার হচ্ছে৷ কিন্তূ,বিষগুলির জায়গা স্থায়ীভাবে দখল হচ্ছে৷ যত বেশী বেশী পরিমাণে বিষ লিভারে জমবে, তত কম পরিমাণে ফ্যাটি এসিড,কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, মিনারলস,ভিটামিনস জমার সুযোগ পাবে৷ ফলে, নিউট্রিশনাল ডেফিসিয়েন্সি সমস্যাগুলি দেহে আসতে শুরু করবে৷ যার যত বয়স বেশী হবে, তার ক্ষেত্রে ততই বেশী হবে৷ ওবেসিটি,লিভারের সমস্যা,পেটের সমস্যা প্রভৃতি দেহে আসতে শুরু করবে৷ এই বিষগুলি লিভার কে বাইপাস করে ব্রেনে,কিডনিতে,মাংসতে,নার্ভে জমলে টক্সিক ইনজ্যুরি হবে৷ আনুসঙ্গিক নানাবিধ সমস্যা দেখা দিবে৷
১৯০০ খ্রীষ্টাব্দের দিকে একটা ভাইরাল এক্সপ্লোশন হয়েছিল৷ এপসটেইন বার ভাইরাস৷ যেটি বর্তমানে ৯৯% লোকের দেহে বিভিন্ন স্ট্রেইনে বা স্টেজে অবস্থান করছে৷ সিন্জলস, HHV ,HPV, Streptococci প্রভৃতি প্যাথোজেনগুলি দেহের ইমিউনিটির উপর নির্ভর করে এবং লিভারে সন্চিত হেভিঅমেটালের তারতম্যে, মাত্রাতে মানব দেহে নানাবিধ সমস্যা তৈরী করে৷
১৯৪০ খ্রীষ্টাব্দের সময়কালে মানুষের মধ্যে কতকগুলি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করল, যেগুলি আগে চিকিৎসা বিজ্ঞানে জানায় ছিলনা!!
যেমন—বডি হিট হয়ে যাওয়া, বুক ধড়পড় করা, সাদাস্রাব, এন্জাইটি,ডিপ্রেশন, লেথার্জি প্রভৃতি৷ চিকিৎসকগণ অভিনব সব সিম্পটমস নিয়ে গবেষণা করতে লাগলেন৷ ঠিক এই মহুর্তে হেভি মেটালসকে কারণ দর্শাতে ভাবনা চিন্তা চলছে৷ এই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হাত ধরে ইবলিশ ঐ সকল নানাবিধ অসুখের প্রকৃত ব্যাখ্যা না দিতে পেরে Autoimmunity and Genetic Theory মেডিক্যাল সিস্টেমে ইনপুট করে৷ ঐ সময় থেকেই বর্তমানের সকল ক্রনিক রোগগুলি পরিলক্ষিত হতে লাগল৷ এবং দিন দিন বাড়তেই থাকল৷ আশ্চর্যজনক ভাবে, এরকম প্রায় প্রতিটা রোগের কারণেই জেনেটিক,অটোইমিউনিটি তত্বকে পাঁঠার বলি করা হল৷ মানুষ কৃষি ও শিল্প বিপ্লবের জন্য সরাসরি শারিরীক ও মানসিকভাবে হেভি মেটালের জন্য বিপদগ্রস্ত ও সমস্যার সম্মুখীন—তা এক্বেবারেই ভূলে গেল৷
অটোইমিনিটি ও জেনেটিককে আরও বিস্তৃত ও ব্যাখ্যা বিশ্লেষণে মনরন্জক করতে প্রচুর ইনভেষ্টমেন্ট,গবেষণা ও আর্টিকল হল৷ তথাপিও, সুরাহা আর হল না৷
তর্কের খাতিরে অটোইমিউনিটি ও জেনেটিক তত্ব চূড়ান্ত সত্য হলে—এই দুটি তত্বের বিশ্বাসে গড়ে উঠা চিকিৎসা ব্যবস্থা কেন মানুষকে আজও
ডায়াবেটিস,প্রেসার,থাইরয়েড,এলার্জি,বাত ব্যাথা, প্রভৃতি থেকে মুক্তি দিতে পারিনি??
বলবেন—আল্লাহর ইচ্ছা!!!
আল্লাহর ইচ্ছা কারোর জন্যই হল না?? অথচ আল্লাহ বলছেন রোগের সঠিক ঔষধ প্রয়োগ হলে রোগটি নিরাময় হবে৷ এমন একটি থাইরয়েড,প্রেসার বা ডায়াবেটিসের রোগী নেই, যিনি আল্লাহর বান্দা এবং আল্লাহ তার নিরাময়ের ইচ্ছা করেন৷ এমন একটি রেকর্ডও নেই যে, একজন ডায়াবেটিস রোগী সম্পূর্ণ নিরাময় পেয়ে গেছেন!!! তাহলে, সমস্যাটা কোথায়??
সমস্যাটা হল— রোগ নির্ণয়ে ভ্রান্তি ও সঠিক ঔষধ প্রয়োগে অসফলতা!!!
লিভার যখন জীবাণু ও বিষে অল্প বিস্তর স্তূপীকৃত, তখনই এল রেডিয়েশনের বহুল ব্যবহার৷ প্লেন,টাউয়ার,মোবাইল,ইন্টারনেট , সিটি স্কান, এক্স রে প্রভৃতি একবিংশ শতাব্দিতে এসে দূর্বল লিভারের ইমিনিটিকে আরও ভঙ্গুর করে দিল৷ বিভিন্ন কোষের ইনজ্যুরি করতে লাগল৷ শুরু হল আরও বহুবিধ সমস্যা৷ তারপরই মানুষ শুরু করল প্যাকেজিং প্রসেসিং ফুডস, সাদাতেলের একচেটিয়া ব্যবহার,লাইফ স্টাইলে প্রচন্ড স্ট্রেস, ফল মূলে মানুষের অনীহা, এলোপ্যাথিক সিন্থেটিক ড্রাগের উপর অতি নির্ভরশীলতা প্রভৃতি যেগুলির প্রত্যেকটাই মানুষের দেহকে ঐ প্যাথোজেনসমূহ, হেভি মেটালসমূহের জন্য উপযুক্ত করে তুলে৷ বিষ ও জীবাণুর যৌথ হানায় মানুষের দেহের ইমিউনিটি,লিভার,কিডনি,থাইরয়েড,ফুসফুস,হার্ট,পেট,মাংশপেশী,নার্ভ,ব্রেন,জয়েন্ট,যৌনাঙ্গ,প্রজনন তন্ত্র প্রভৃতি ক্ষত বিক্ষত হতে শুরু করে৷
ক্ষতের জায়গা,মাত্রা, শক্তি অনুযায়ী দেহের মধ্যে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন সমস্যা একটার পর একটা আসতেই থাকল৷
বলা বাহুল্য যে, হেভি মেটালগুলি যেখানেই জমবে সেখানেই ডেমেজ করবেই৷ DNA damage করাটা কোন ব্যাপারই নয়৷ জেনিটিক তত্বের কারণ এখানে লুকায়িত৷ ভাইরাল ইনজ্যুরিতে এন্টিবডি পাওয়া যাবে৷ যেটা ভূলবশতঃ অটো এন্টিভডি হিসাবে গণ্য করা হচ্ছে৷
কুরআনের আলোকে অটোইমিঅনিটি ও জেনেটিক তত্ব মিথ্যা৷ কারণ,
@@@আপনি কি জানেন, মানবদেহ ,গোটা বিশ্বব্রম্বান্ডের একক সৃষ্টিকর্তার সর্বোৎকৃষ্ট, সুনিপুণ, ত্রুটিহীন সৃষ্টি?
তাহলে, আমরা কীভাবে বিশ্বাস করব যে, আপনার জীন, আপনার ইমিউনিটি আপনার বিরুদ্ধে গিয়ে আপনার দেহকেই ধ্বংশ করে দেয় বা দিচ্ছে৷
সৃষ্টিকর্তার একমাত্র ও চূড়ান্ত প্রেরিত বাণীর কীতাব পবিত্র ও সমস্তরকম ত্রুটিমুক্ত আল কুরআনের আয়াতসমূহ লক্ষ্য করুণ—
সুরা মুরসালাত- ৭৭ নং সুরার ২৩ নং আয়াত:
” আমি একে গঠণ করেছি পরিমিতভাবে, অতএব আমি কত নিপুণ নিরুপণকারী”৷
সুরা ত্বীন- ৯৫ নং সুরার ৪ নং আয়াত:
“আমি অবশ্যই সৃষ্টি করেছি মানুষকে সুন্দরতম গঠণে”৷
সুরা ইনফিতার-৮২ নং সুরার ৭ এবং ৮ নং আয়াত:
” যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন,অতঃপর তোমাকে সুঠাম করেছেন, এবং তৎপর সুবিন্যস্ত করেছেন৷”
” যে আকৃতিতে চেয়েছেন, তিনি তোমাকে সংযোজিত করেছেন৷”
সুরা বাকারাহ-২ নং সুরার ২নং আয়াত:
” এটা( আল কুরআন) ঐ গ্রন্থ যার মধ্যে কোনরূপ সন্দেহ নাই—“৷
সূরা আন’আম ,৬নং সূরার ৪৯ নং আয়াতে আল্লাহ বলছেন—
“আর যারা আমার আয়াত ও নিদর্শনসমূহকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে,তাদের উপর তাদের নিজেদের ফাসিকীর কারণে শাস্তি আপতিত হবে৷”
আল্লাহ তাআলা আরও বলেন,
“***জলে ও স্থলে মানুষের কৃতকর্মের দরুণ বিপর্যয় ছড়িয়ে পড়েছে। আল্লাহ তাআলা তাদের কর্মের শাস্তি আস্বাদন করাতে চান, যাতে তারা ফিরে আসে।” (সুরা রূম : ৪১)
এ আয়াতের ব্যাখ্যায় তাফসীরে রূহুল মাআনীতে বলা হয়েছে, “‘বিপর্যয়’ বলে দুর্ভিক্ষ, মহামারি, অগ্নিকান্ড, পানিতে নিমজ্জিত হওয়ার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়া, সব কিছু থেকে বরকত উঠে যাওয়া, উপকারী বস্তুর উপকার কম হওয়া এবং ক্ষতি বেশি হওয়া ইত্যাদি বিপদাপদ বুঝানো হয়েছে।” (আল্লামা আলুসী, রূহুল মাআনী, খ.-২১, পৃ.-৬৩) আর বর্তমানে ঘটছেও তাই।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“***তোমাদেরকে যেসব বিপদাপদ স্পর্শ করে, সেগুলো তোমাদেরই কৃতকর্মের কারণে। আর অনেক গুনাহ তিনি (আল্লাহ) ক্ষমা করে দেন।” (সুরা শুরা : ৩০)
আল্লাহ তাআলা বলেন,
“পৃথিবীতে এবং তোমাদের ব্যক্তিগতভাবে যে বিপদ আসে তা আমার জগত সৃষ্টির পূর্বেই কিতাবে লিপিবদ্ধ। নিশ্চয় এটা আল্লাহর পক্ষে সহজ। আর এটা এজন্য যে, যাতে তোমরা যা হারাও তার জন্য দুঃখিত না হও এবং তিনি তোমাদের যা দেন তার জন্য উল্লসিত না হও। আর আল্লাহ তাআলা কোনো উদ্ধত অহংকারীকে পছন্দ করেন না।” (সুরা হাদীদ : ২২,২৩)
‘কে আছে অসহায় ও বিপন্নের ডাকে সাড়া দেয় যখন সে ডাকে এবং কষ্ট ও বিপদ দূরীভ‚ত করে দেয়?’ (সূরা নামল:৬২)।
আল্লাহ ছাড়া যেমন, মানুষের কোনো সাহায্যকারী নেই। তেমনি দুনিয়া এমন কোনো রোগ নেই, যে রোগের ঔষধ বা প্রতিষেধক সম্পর্কে আল্লাহ মানুষকে জ্ঞান দান করেন নাই।
*** হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা এমন কোনো রোগ অবতীর্ণ করেননি। যার নিরাময়ের উপকরণ তিনি সৃষ্টি করেননি।’ (বোখারি: ৫২৭৬)।
ত্রাযা কিছু মানুষের জন্য কল্যাণকর, আল্লাহ তায়ালা বান্দাদের তা দান করে থাকেন। আল্লাহ তায়ালা রোগ-বালাইর মধ্যেও মানুষের জন্য কল্যাণ রেখেছেন। দুনিয়াতে আল্লাহ যা কিছু সৃষ্টি করেছেন, সবকিছুই মানুষের উপকারার্থে। এজন্যে পানি, বৃক্ষ- লতা, রোদ-বৃষ্টি ও ফলফলাদি থেকে শুরু করে সবকিছুর মাঝেই ঔষধি গুণ ক্ষমতা রয়েছে। যখন মানুষের মধ্যে বালা-মুসিবতের আগমণ ঘটে। তখন আল্লাহ তায়ালা বালা-মুসিবতের পাশাপাশি বান্দার জন্য কল্যাণও পাঠিয়ে দেন।
হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, হযরত রাসূল (সা.) এরশাদ করেছেন.‘মুসলমানের উপর যেসব বিপদ-আপদ ও বালা-মুসিবত পতিত হয় এর দ্বারা আল্লাহ তার গোনাহ মাফ করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয় এর দ্বারাও তার গোনাহ মাফ হয়।’ (বোখারি:৫২৩৮)।
সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – ﻭَﻳَﺸۡﻒِ
ﺻُﺪُﻭۡﺭَ ﻗَﻮۡﻡٍ
ﻣُّﺆۡﻣِﻨِﻴۡﻦَۙ
(মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন)
২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, – ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٌ
ﻟِّﻤَﺎ ﻓِﻰ ﺍﻟﺼُّﺪُﻭۡﺭِۙ
ﻭَﻫُﺪًﻯ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲ ۡﻥَ
( অন্তরের রোগের নিরাময়,
হেদায়েত ও রহমত
মুসলমানদের জন্য)
৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াত, – ﻓِﻴۡﻪِ
ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻟِّﻠﻨَّﺎﺱِ
(তাতে মানুষের জন্য রয়েছে
রোগমুক্তি)
৪. সুরা বনী ইস্রাঈলের ৮২ নং আয়াত,
– ﻭَﻧُﻨَﺰِّﻝُ ﻣِﻦَ
ﺍﻟۡـﻘُﺮۡﺍٰﻥِ ﻣَﺎ ﻫُﻮَ ﺷِﻔَﺎٓﺀٌ ﻭَّﺭَﺣۡﻤَﺔٌ ﻟِّـﻠۡﻤُﺆۡﻣِﻨِﻲ ۡﻥَ
(আমি কুরআনে এমন বিষয় নাযিল করি
যা রোগের
সুচিকিৎসা এবং মুমিনদের জন্য রহমত)
৫***. সুরা আশ্-শোয়ারার ৮০ নং আয়াত,
– ﻭَﺍِﺫَﺍ ﻣَﺮِﺿۡﺖُ
ﻓَﻬُﻮَ ﻳَﺸۡﻔِﻴۡﻦِ
এবং
(যখন আমি রোগাক্রান্ত হই, তখন
তিনিই আরোগ্য দান
করেন)
৬. সুরা হা-মীম এর ৪৪ নং আয়াত – ﻗُﻞۡ
ﻫُﻮَ ﻟِﻠَّﺬِﻳۡﻦَ ﺍٰﻣَﻨُﻮۡﺍ
ﻫُﺪًﻯ ﻭَﺷِﻔَﺎٓﺀٌ
(বলুন, এটা বিশ্বাসীদের জন্য
হেদায়েত ও
রোগের প্রতিকার)
উপরোক্ত প্রতিটি আয়াতেই কুরআনে
মুমিনদের
জন্য ‘শেফা’, ‘রহমত’ প্রভৃতির কথা
উল্লেখিত
হয়েছে।
১৯০৫ সালে ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থা (আইএআরআই) স্থাপিত হয়। এই সংস্থায় ***১৯৭০-এর দশকে ভারতীয় সবুজ বিপ্লবের জন্য দায়ী। ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদ (আইসিএআর) দেশের কৃষি ও গবেষণা ও শিক্ষা সহ কৃষি-সহায়ক ক্ষেত্রগুলির সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা।[২০] কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী আইসিএআর-এর সভাপতি। ভারতীয় কৃষি পরিসংখ্যান গবেষণা সংস্থা কৃষিক্ষেত্রে নানান প্রযুক্তিগত পরীক্ষনিরীক্ষা চালায়, কৃষি পরিসংখ্যান প্রস্তুত করে এবং পশুপালন ও বাগিচানির্মানের পরিসংখ্যানও প্রস্তুত করে। কৃষি ঋণ নিয়ন্ত্রিত হয় জাতীয় কৃষি ও গ্রামোন্নয়ন ব্যাংক বা নাবার্ডের মাধ্যমে। নাবার্ড দেশের গ্রামোন্নয়নের সর্বোচ্চ বিধিবদ্ধ সংস্থা৷
পরিশেষে, দৃঢ়বিশ্বাসে এটা বলা যায় যে,
আমরা দাজ্বাল,ইবলিশের প্রতারণাতে জীবন ও সভ্যতার চাকচিক্য বাড়াতে গিয়ে বিভিন্ন ইনঅর্গানিক কেমিক্যালস, হেভি মেটালস গত ১০০ বছরের কিছু কম বা বেশী সময় ধরে অনবরত দেহের মধ্যে জমিয়ে চলেছি নিজেদের অজান্তেই৷ জমা বিষগুলি রক্তের মধ্যে ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় মাতৃগর্ভে শিশুর রক্তে মিশেছে৷ প্রজন্মের পর প্রজন্ম এই ধারা জারি থাকছে৷ উপরন্তূ, ভাইরাল এক্সপ্লোশন, রিডিয়েশন আমাদের এই সমূহ বিপর্যয়ে আরও ঘৃতাহুতি দিয়েছে৷ ক্রনিক লো গ্রেডে আমরা প্রত্যেকে বিষাক্ততার ছোবলে আক্রান্ত৷ বিষাক্ততার বহিঃপ্রকাশ তার পরিমাণ,মাত্রা,প্রকার ও দেহের মধ্যে ইমিউনিটি,লিভার ইমিউনিটি,বিদ্যমান বিভিন্ন প্যাথোজেনের সক্রিয়তার উপর নির্ভর করে৷
আমাদের বর্তমান যুগে এত ডাক্তার,স্বাস্থ্য পরিষেবা, চিকিৎসা বিজ্ঞান অজান্তে বিষয়গুলি এড়িয়ে গিয়েছে৷ বা সমীক্ষা ও তথ্যের উপর অতি নির্ভরশীল হতে গিয়ে আজও বর্তমানের এত ক্রনিক অসুখগুলির পিছনে গূঢ় রহস্য উদ্ঘাটন করতে পরিপূর্ণ সক্ষম হয়নি৷
আমি নিজ অভিজ্ঞতা, চিন্তাশীলতা,গবেষণা ও পরীক্ষা-ফলাফলের ভিত্তিতে যা দীর্ঘ ৩-৪ বছর ধরে লাগাতার চলছে, আমার চিকিৎসা জগতের অভিনব অথচ সত্য নিষ্ঠ প্রস্তাবনা যা কুরআন ও হাদিস দ্বারা সত্যায়িত৷ ইসলাম জীবনের স্বাস্থ্য সমস্যারও সমাধান-সে ব্যাপারে আমার ক্ষুদ্র পরিসরে আল্লাহ প্রদত্ত সামান্য জ্ঞানে প্রমাণ করার বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা করেছি৷ খুবই আশানুরূপ ফলও পেয়েছি৷ সমস্ত রোগ নিরাময় সম্ভব যদি চিকিৎসা বিজ্ঞান ইসলামের ছায়াতে পুষ্ট হয়—সেটা প্রমাণ করার চেষ্টা করছি৷
আল্লাহ আমার এই আমল ও নেক নিয়াত কবুল কর৷ আল্লাহ এর প্রতিদানে তুমি আমার দুই কালের সর্বোচ্চ সফলতা শান্তি দান কর৷ এই তথ্য ও তত্বের ক্লিনিক্যাল স্টাডি,ট্রায়াল ও গবেষণা আগামী করার ইচ্ছা পোষণ করছি৷ আল্লাহ তুমি কবুল কর ৷ আমীন৷