নিউজ ডেস্ক: ছাগলের দাম ১ কোটি টাকা। ভাবতে পারছেন, একটা সাধারণ ছাগলের দাম ১ কোটি টাকা? তবে এমনটাই হয়েছে। মহারাষ্ট্রের বুলধনা জেলায় ‘টাইগার’ নামে একটি ছাগলের দাম ১ কোটি টাকা হাঁকিয়ে বসলেন তার মালিক। এই ছাগলের গল্প শুনে, এর গুণের বহার দেখতে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ ছুটে আসছেন। অনেকে কিনতেও চাইছেন, কিন্তু কিনতে গেলেই গুনতে হবে কড়কড়ে ১ কোটি টাকা।।
একটি ছাগলের দাম এক কোটি টাকা। বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু সত্যি। বকরি ইদের আগে মহারাষ্ট্রে বুলধানা জেলায় একটি ছাগলের দাম এক কোটি টাকা চাইলেন এক বিক্রেতা। ৫১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি ছিলেন ক্রেতা। কিন্তু তা পোষাল না বিক্রেতার। ছাগল বিক্রি না করে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন তিনি।
কেন এই ছাগলের এত দাম? জানা গিয়েছে, জন্ম থেকেই কিছু চিহ্ন রয়েছে তার শরীরে। আরবিক ভাষায় ‘আল্লা’ লিখলে যেমন দেখতে লাগে, তেমনই সেই চিহ্নগুলি। সেই কারণেই তার এত দাম। কুরবানির ইদের আগে আজমের থেকে মহারাষ্ট্রে এসেছিলেন গোপালরাও সোহেল ও তাঁর ছেলে কপিল। সঙ্গে এনেছিলেন টাইগার নামের ছাগলটিকে। ১ কোটি ৭৮৬ টাকায় টাইগারকে বিক্রি করতে চেয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু ৫১ লক্ষ টাকার বেশি উঠল না। তাই অগত্যা ফিরিয়েই নিয়ে গেলেন বিশেষ ছাগলটিকে।
গোপালরাও জানান, প্রথমে তিনি টাইগারের গুরুত্ব বুঝতে পারেননি। পরে এক মৌলানার কাছ থেকে নাকি এর বিশেষত্ব জানতে পারেন। তখনই ঠিক করেছিলেন উপযুক্ত দাম পেলে তবেই টাইগারকে হাতছাড়া করবেন। বকরি ইদের জন্য টাইগার ছাড়া আরও ৩০ ছাগল বিক্রির জন্য মহারাষ্ট্রে এনেছিলেন তাঁরা। সেগুলি ১৫ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন। ছাগলদের এতদূর আনতে ও দেখভাল করতে ৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছিল। আর ৩০টি ছাগল বিক্রি করে মোট সাড়ে ছয় লক্ষ টাকা লাভ হয়েছে বাবা ও ছেলের। ফেরার খরচ বাদ দিলে ৪৫ হাজার টাকা লাভ থাকবে তাঁদের। টাইগারের খদ্দের পাওয়া গেলে লাভের অঙ্ক অনেকটাই বেড়ে যেত। কিন্তু কম দামে নিজের ‘আল্লা ওয়ালা বখরা’ ছাড়তে নারাজ গোপালরাও।
টাইগারের বিশেষ গুণ হল এটি খুবই শক্তিশালী একটি ছাগল। যাকে সামলাতে দুজন শক্তিশালী মানুষের প্রয়োজন হয়। আর সবথেকে বড় কথা হল, এই টাইগারের গায়ে জন্ম থেকেই ‘আল্লাহ্’ লেখা রয়েছে। আর সেই কারণেই এই ছাগল এত জনপ্রিয় হয়েছে। সর্বশেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই ছাগলের শেষ দাম উঠেছে ৫১ লক্ষ টাকা।