আগরতলা: বাংলার মাটিতে বড় সাফল্যের পরে লোকসভার লক্ষ্যে আসরে নেমেছে তৃণমূল। দিল্লিস অফরে গিয়েছেন নেত্রী মমতা। দেশ জুড়ে ‘খেলা হবে’ বলেও দাবি করেছেন তিনি। এরই মাঝে রাজ্যের বাইরেও খেলা শুরু করে দিলেন তৃণমূলের নেতানেত্রীরা।
তৃণমূলের যোগ দিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি। আর সেই ঘটনা ঘটল এমন একটি রাজ্যে যেখানে শাসন করছে বিজেপি। বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যের শাসনভার দখল করেছিল পদ্ম শিবির। সেই রাজ্যেই বড় সাফল্য পেল তৃণমূল। আলোচিত সেই রাজ্য হল- ত্রিপুরা। ২০১৮ সালে ওই রাজ্যে বাম শাসনের অবসান ঘটে এবং ক্ষমতা দখল করে বিজেপি।
আলোচিত ব্যক্তি হলেন সুবল ভৌমিক। যার রাজনৈতিক যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের মঞ্চে। বেশ রঙীন রাজনৈতিক জীবন সুবলের। হাত শিবিরের বিধায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৩ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের হয়ে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। তারপরে প্রগতিশীল গ্রামীণ কংগ্রেস নামক নয়া দল গঠন করেন। পরে সেই দল নিয়ে তৃণমূলে মিশে যান।
মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দিতেই ত্রিপুরায় মুছে যায় তৃণমূল। সেই সময়ে বিজেপিতে যোগ দেন সুবল ভৌমিক। প্রথমে পদ্ম শিবিরের সহ-সভাপতি এবং পরে সভাপতি হন তিনি। ২০১৮ সালে ওই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের সময়ে দলের সঙ্গে কোন্দল শুরু হয় তাঁর। পছন্দের আসনে প্রার্থী হতে না পেরে বসে যান। পরে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে সোনামুড়া কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। কিন্তু তাঁকে পরাজিত হতে হয়।
এরপরে ফের বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ করেন সুবল ভৌমিক। পুরনো দল কংগ্রেসের ঘরে ফিরে যান তিনি। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করেছিলেন এই সুবল। যদিও আবারও তাঁর জয় অধরা থেকে যায়। ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। অনেকেই মনে করেছিলেন যে রাজনৈতিক সন্ন্যাস নিয়েছেন তিনি। কিন্তু সেই ভুল ভাঙল বৃহসতিবার সন্ধ্যায়। ডেরেক ও’ব্রায়েন, ব্রাত্য বসুর হাত ধরে তৃণমূলে যোগদান করলেন সুবল। উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
প্রাক্তন কাউন্সিলর পান্না দে, প্রাক্তন মন্ত্রী প্রকাশ দাস, কংগ্রেস নেতা ইদ্রিস মিঞা সহ আরও অনেকে এদিন সুবল ভৌমিকের সঙ্গে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। ঘাস ফুলের পতাকা হাতে নেওয়ার পরে সুবল বলেছেন, “আমি তো তৃণমূলেই ছিলাম।” সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, “২০১৮ সালে বিজেপিকে ক্ষমতায় আনতে ১০০ শতাংশ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বিজেপিকে এনে ভুল হয়েছে। ২০২৩ সালে একই উপায়ে পরিশ্রম করব।” ত্রিপুরাতে তৃণমূলের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে বলেও এদিন দাবি করেছেন সুবল।
সৌজন্য :- কলকাতা সারাদিন