ওয়েব ডেস্ক :- সর্বহারার দল,মেহনতী মানুষের দল ,ক্ষমতায় না থেকে এখনও.বড়লোকের দল । গত দশ বছরে হাতছাড়া হয়েছে দুই রাজ্য। লাল পতাকার ক্ষমতা এখন শুধু কেরলেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু সিপিএমের সম্পত্তি এখনও সমীহ আদায় করার মতোই।
প্রত্যেক বছরই দেশের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে আয়, ব্যয়, সম্পত্তির হিসাব জমা দিতে হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। সব দলেরই শেষ হিসাব জমা পড়েছে ২০১৯-২০ সালের। কমিশন প্রকাশিত সেই অডিট রিপোর্ট অনুযায়ী সিপিএমের সম্পত্তি বেড়ে হয়েছে ৫৬৯ কোটি টাকার। বাংলার ক্ষমতায় থাকা তৃণমূলের সম্পত্তি এর অর্ধেকেরও অনেক কম। তাদের সম্পত্তির পরিমাণ ২৪৭ কোটি টাকার।কমিশনে জমা দেওয়া নথিতে স্থায়ী সম্পত্তি, বিশেষ খাতে জমা পুঁজির উল্লেখ করেছে দুই দলই। বাজারে বিনিয়োগও রয়েছে তাদের। ৭২ কোটি টাকার বেশি ঋণ রয়েছে সিপিএমের। তৃণমূলের ঋণের পরিমাণ ১ কোটি টাকার আশেপাশে।
দেশে কোণঠাসা, তবু আয়ে মমতার থেকে এগিয়ে সিপিএম, তবে ব্যয়ে এগিয়ে তৃণমূল
এর আগে, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত সম্পত্তির যে হিসেব দিয়েছিল সিপিএম, তাতে ৫১০ কোটি ৭১ লক্ষের সম্পত্তি দেখিয়েছিল তারা। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে তাদের সম্পত্তি বেড়েছে ৫৮ কোটি টাকার।
অন্য দিকে, ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের শেষে ২১০ কোটি ১৯ লক্ষের কাছাকাছি সম্পত্তি রয়েছে বলে জানিয়েছিল তৃণমূল। এক বছরে তাদের সম্পত্তি বেড়েছে ৩৭ কোটি টাকার বেশি।
শুধু সম্পত্তির নিরিখেই নয়, বার্ষিক রোজগারেও তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিএম। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে তাদের আয় ছিল ১৫৮ কোটি ৬২ লক্ষ টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ১৪৩ কোটি ৬৭ লক্ষ টাকা।
বার্ষিক আয়ের মতো সম্পত্তির পরিমাণেও কেউ ধারেকাছে নেই বিজেপি-র। ২০১৯-২০ সালে তাদের আয় ছিল ৩,৬২৩ কোটি টাকা। আর ওই বছরের শেষে তাদের সম্পত্তি দাঁড়ায় ৪,৮৪৯ কোটি টাকার। একই সময়ে কংগ্রেসের সম্পত্তি ৫৮৮ কোটি টাকার, যা সিপিএমের থেকে সামান্য বেশি।
সৌজন্যে :- আনন্দ বাজার পত্রিকা