বিষয়: কেন আমি সহ শিক্ষকতার ন্যায্য চাকরি পেলাম না ?
—————————————–
পাঠকের কলম ,অয়ন বাংলা (ABN NEWS):-
হাই কোর্টের নির্দেশ অনুসারে গত 8 জুলাই 2021 তারিখ পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের Not Qualified (Rejected) লিস্টে আমার Tet Weightage 22.7778 এবং Total Marks 60.7778। Remarks এ লেখা আছে Below Cut of Marks। আমার Tet Certificate এ marks আছে 51.25। অর্থাৎ 51.25 ×40 ÷90 = 22.7778। কেন আমি Not Qualified (Rejected) হলাম ?
আমি সুজিত কুমার দাস 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশনের (নর্দার্ন জোন) আপার প্রাইমারি ‘টেট’ কোয়ালিফাই করেছিলাম। এরপর স্কুল সার্ভিস কমিশনের ‘ওয়ার্ক এডুকেশন পাশ’ লিখিত পরীক্ষা কোয়ালিফাই করেছিলাম। তারপর ‘পার্সোনালিটি টেস্ট’ কোয়ালিফাই করেছিলাম। স্কুল সার্ভিস কমিশনের কমবাইন্ড মেরিট লিস্ট এ আমার পজিশন হয়েছিল 339। তবুও আমি সহ শিক্ষকতার চাকরিটি পেলাম না। আমার বয়স 52+। জন্ম তারিখ 17 সেপ্টেম্বর 1967। আমি তপশীলি জাতিভুক্ত।
আমি একজন মূকাভিনয় নাটক, আবৃত্তি, তবলা, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা শিল্পী এবং সৃজনশীল লেখক, বিশেষ শিক্ষক, সমাজসেবী। আমি নাটক বিষয়ে স্নাতকোত্তর এবং স্পেশাল এডুকেশন বিষয়ে বি.এড ডিগ্রি অর্জন করেছি। পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট ব্যক্তি, সরকারি আধিকারিক, জনপ্রতিনিধি ও বহু সংস্থার কাছ থেকে বহু শংসাপত্র, পুরস্কার ও সংবর্ধনা পেয়েছি। 1987 সালে ‘বঙ্গীয় সঙ্গীত পরিষদ’ থেকে তবলায় “সঙ্গীতশ্রী”, 1995 সালে ‘পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নৃত্য নাটক সংগীত ও দৃশ্যকলা আকাদেমি’ থেকে পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম নাট্যাভিনয়ে “শমীন্দ্রনাথ ঠাকুর স্মৃতি মেধা বৃত্তি”, 1996 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ছাত্র যুব উৎসবে “রাজ্য মূকাভিনয় প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় স্থান”, 2000 সালে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রক থেকে ‘ছৌ নৃত্য সঙ্গীত’ বিষয়ে “জাতীয় মেধাবৃত্তি”, 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মনোনয়নে মহামান্য রাজ্যপাল মহোদয়ের হাত থেকে “সারা রাজ্যে প্রতিবন্ধী কল্যাণে শ্রেষ্ঠ ব্যক্তির স্বর্ণ পদক” এবং 2014 সালে ‘কোলকাতা রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব’ থেকে সমাজসেবায় “প্রিয়দর্শী চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল পুরস্কার”এ ভূষিত হয়েছি। 2011 সাল থেকে 2015 সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ‘মুর্শিদাবাদ জেলা শিশু আদালত’এ “প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিসেট্রট মর্যাদা সম্পন্ন বিচারক সদস্য” হিসাবে নিযুক্ত ছিলাম। 2010 সালে জি বাংলার বিখ্যাত রিয়ালটি শো সৌরভ গাঙ্গুলীর “দাদাগিরি” তে অংশগ্রহণ করে মূকাভিনয় দেখিয়ে বহরমপুর তথা মুর্শিদাবাদ জেলা তথা সারা পশ্চিমবঙ্গে সকলের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করেছিলাম।লকডাউনের সময় একজন শিল্পী ও সমাজসেবী হিসাবে সামাজিক দায়বদ্ধতার দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নিজের উদ্যোগে ‘করোনা প্রতিরোধ’ বিষয়ে মানুষদের সচেতনতা প্রচার করতে নিজে গান লিখে, সুর দিয়ে বহরমপুর এলাকার রাস্তায় রাস্তায় গান গেয়েছি, পথ মূকাভিনয় ও পথ নাটক করেছি এবং নিজের শিশুকন্যাকে নিয়ে ইউটিউবে নাটক অভিনয় করে, গান গেয়ে প্রচার করেছি।
বিশ্বাস করুন, বর্তমানে আমি ভীষণ অর্থনৈতিক কষ্টে রয়েছি। আমার ওপর আমার বাহাত্তর বছর বয়সের বৃদ্ধা মা ‘শোভা রানী দাস’, আশি বছর বয়সের বাবা ‘সখা নাথ দাস’ এবং আমার স্ত্রী মানসী দাস,নয় মাসের শিশুপুত্র ‘ভূমধ্য কুমার দাস’, নয় বছরের শিশুকন্যা ‘ভূমিকা দাস’ নির্ভরশীল। কেন আমি আমার সহ শিক্ষকতার ন্যায্য চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলাম ? দয়া করে আমাকে আমার সহ শিক্ষকতার চাকরিটি পাওয়ার জন্য সংবাদটি প্রকাশ করলে ভীষণ বাধিত হবো। নমস্কার। গভীর শ্রদ্ধা সহ,
বিনীত,
সুজিত কুমার দাস
ঠিকানা: ক্যামেলিয়া অ্যাপার্টমেন্ট, ফ্ল্যাট নং 4/3, 46, কে. পি. চট্টরাজ রোড, গোরাবাজার, পোস্ট- বহরমপুর, জেলা- মুর্শিদাবাদ, পিনকোড- 742101, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।
মোবাইল ও হোয়াটসঅ্যাপ নং- 9434254674
ইমেল: [email protected]