মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাতে সুযোগ পেয়েও কার্ডিওলজি বা নিউরোলজি নিয়ে পড়ায় লক্ষ্য কান্দীর অঙ্গনের
রাজেন্দ্র নাথ দত্ত :মুর্শিদাবাদ :
ইতিহাসের মাটি মুর্শিদাবাদ। জেলার কান্দী শহরের আদর্শ ছেলে! তার আত্মবিশ্বাসের আলোয় ফের একবার আলোকিত হল কান্দী শহরের শিক্ষা জগৎ।সেন্ট্রাল ফর এক্সিলেন্স ইন বেসিক সায়েন্স (সিইবিএস মুম্বাই)।এ সুযোগ পেয়েও ভর্তি হয়েছিল(ভর্তির শেষ তারিখ ছিল ১২ অক্টোবর) অঙ্গন মন্ডল । কান্দী রাজ উচচ বিদ্যাসালয়ের এই মেধাবী ছাত্র নিট(National Eligibility Cum Entrance Test) পরীক্ষায় ৭২০’র মধ্যে ৬৮৬।যে কোন AIIMS মেডিক্যাল কলেজ পড়ে চিকিৎসক হয়ে গবেষণা করার স্বপ্ন পূরণ করা তার লক্ষ্য । ১ লা নভেম্বর রেজাল্ট বের হওয়ার পর দেখা যায়, ৬৮৬ -ই পেয়েছে অঙ্গন। তার সর্বভারতীয় র্যাঙ্ক হয়েছে ৫৭০।মুর্শিদাবাদ জেলায় সম্ভাব্য প্রথম অঙ্গন ভবিষ্যতে কার্ডিওলজি বা নিউরোলজি নিয়ে পড়তে চায়। উদ্দেশ্য সাধারণ মানুষের সেবা করা।পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালবাসে অঙ্গন। বাবা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক সুজন রঞ্জন মন্ডল পিঠ চাপড়ে দিয়ে ছেলেকে জানিয়েছেন,মনে মনে আমার স্বপ্ন ছিল ছেলেকে চিকিৎসক করে তুলব। প্রথম থেকেই ছেলেকে চিকিৎসক হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার কথা বলতাম। আজ আমার সেই স্বপ্ন সফল হতে চলেছে। ভালো এমসে আশা করছি সুযোগ পেয়ে যাবি। এহেন আত্মবিশ্বাসী ছেলে যে মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয় ও আইআইটি তে পড়ার সুযোগ পেয়েও ছেড়ে দেওয়ার সাহস দেখিয়েছে এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে!প্রথম থেকেই অত্যন্ত মেধাবী কান্দী রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ছাত্র। ভালো ফল করেছিল মাধ্যমিকেও। ৭০০’র মধ্যে ৬৭৩ পেয়েছিল সে। আর, উচ্চ মাধ্যমিকেও দুর্দান্ত রেজাল্ট করেছে অনির্বাণ। পেয়েছে ৪৮৫ (৫০০’র মধ্যে)। বিদ্যালয়ে প্রথম হয়েছিল সে। WBJEE এবং
কেভিপিওয়াই তেও ভালো র্যাঙ্ক করেছে অঙ্গন । তবে, লক্ষ্য ছিল একটাই, ‘নিট’ এ ভালো র্যাঙ্ক করে চিকিৎসক হওয়া। আর, স্বপ্ন ছিল এমস থেকেই এমবিবিএস পড়ার! সেই লক্ষ্যেই নিমগ্ন থেকে পড়াশোনা করেছে আদ্যন্ত মেধাবী ও মনোযোগী এই ছাত্র। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক বাবা তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন পড়াশোনার উপর নজর দিয়েছেন, পাশে থেকেছেন, ভালো রেজাল্ট করার জন্য যা যা ছেলের দরকার সব কিছুর ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।সময় আর সাহচর্য দিয়েছেন মা কৃষ্ণা মন্ডল।বাবা একবাক্যে স্বীকার করলেন,
ছেলের এই সাফল্যে সর্বাধিক কৃতিত্ব প্রত্যেকেরই!এও বললেন, কয়েকজন গৃহ শিক্ষকের অবদান অনস্বীকার্য। ওকে আপাদমস্তক তৈরি করেছেন পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও জীববিজ্ঞানের গৃহ শিক্ষকরাই।বাবা,-মা’র অনুপ্রেরণা নিয়েই, একজন মানব দরদী চিকিৎসক হয়ে উঠতে চায় অঙ্গন। কান্দীর এই তেজস্বী ছেলের সেই স্বপ্নপূরণের আলোকে একদিন আলোকিত হবেই চিকিৎসা জগৎ, বলছেন এই শহরের সমগ্র শিক্ষা জগৎ।