বেহালা-ঠাকুরপুকুর ও জোকায় অধিকাংশ বুথেই এজেন্ট দিতে পারলো না বিজেপি, জিততে চলেছে তৃনমূল
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : ভোটের দিন কিছু কিছু বিক্ষিপ্ত ঘটনা বাদ দিলে রবিবার (১৯ ডিসেম্বর) কলকাতা পুর নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভাবেই সম্পন্ন হয়েছে বলে শাসক দল তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বেহালা-ঠাকুরপুকুর ও জোকায় অধিকাংশ বুথেই এজেন্ট দিতে পারলো না বিজেপি। যার ফলে ভোট হলো একতরফা। বেশিরভাগ বুথেই কতৃত্ব করেছে শাসক দলের এজেন্টরা। স্বাভাবিক কারণেই এখানে জিততে চলেছে তৃনমূল।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের আভিযোগ, তৃনমূলের চোখ রাঙানিতে তাদের বহু এজেন্টই বুথে বসতে সাহস পায়নি। তাই তাদের পর্যাপ্ত কর্মী থাকা সত্ত্বেও বুথে অশান্তির ভয়ে তারা ১০০ শতাংশ বুথে এজেন্ট দিতে পারেন নি। অপরদিকে তৃনমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, “বিধানসভা ভোটে শোচনীয় পরাজয়ের পর বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। ওদের কর্মীরা সব বিজেপি ছেড়ে পালিয়েছে। প্রচার করা থেকে শুরু করে বুথে এজেন্ট বসানোর মতো কর্মী নেই এখন ওদের দলে।”
শাসক ও বিরোধীদের নানা চাপান-উতরের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো কলকাতার পুর নির্বাচন। তবে বেহালা-ঠাকুরপুকুর ও জোকায় এবিএন নিউজের পক্ষ থেকে বুথ ফেরৎ এক সমীক্ষায় দেখা গেল, বেহালা পুর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১১টি ওয়ার্ড এবং বেহালা পশ্চিম বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ১০টি ওয়ার্ডে বিজেপি শতকরা মাত্র ৪০% বুথে এজেন্ট দিতে পেরেছে, বাকি ৬০% বুথে এজেন্টই দিতে পারেনি।
বিজেপি কর্মীদের একাংশের আভিযোগ, “দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রার্থীদের যে টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেই টাকার অধিকাংশ টাকাই প্রার্থীরা খরচ করেননি। এই পুরভোটে নির্বাচনের প্রাক্কালে দিন-রাত প্রচারের কাজে খেটেও বহু কর্মী টাকা-পয়সা পায়নি। যার ফলে বিজেপির কর্মীরা অনেকেই বসে গিয়েছেন। তাই ভোটের দিন বুথে বসার মতো পর্যাপ্ত কর্মী পাওয়া যায়নি। তাই ভোটের দিন ফাঁকা ময়দানে কতৃত্ব করল তৃণমূল…।”
বিজেপি বনাম তৃনমূলের বাদ প্রতিবাদ যাইহোক না কেন — এবিএন নিউজের ভোট ফেরৎ সমীক্ষায় স্পষ্ট হয়েছে, এখানে মোট ২১টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূলের সঙ্গে বিজেপির এবং ১২৭ ও ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূলের সঙ্গে সিপিএমের তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। এখানে লড়াই ৫০% — ৫০% । বাকি ১৮ ওয়ার্ডেই নিশ্চিত ভাবে জয়ী হতে চলেছেন তৃনমূল প্রার্থীরা।
—————————————-
এর পরবর্তী খবরে চোখ রাখুন…. কে কে হচ্ছেন তৃনমূলের বরো চেয়ারম্যান ?