নিজস্ব সংবাদদাতা,বারাসাত:- উওর ২৪ পরগনার সদর শহর বারাসাতে র কাজীপাড়ায় বিজ্ঞান পড়ুয়াদের ডাক্তার করে তোলার জন্য ২০০৮ সালে আর এইচ অ্যাকাডেমির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শেখ নাফিসা। অ্যাকাডেমিরমেন্টর হিসেবে বিশিষ্ট শিক্ষক মো:হাবিব আলি মোল্লা পড়ুয়াদের সেবা দিয়ে চলেছেন। মেডিক্যাল প্রবেশিকা পরীক্ষায় কীভাবে উন্নত প্রশিক্ষণ নিলে সফল হওয়া যায় তার যাবতীয় সুলুক সন্ধান দিতে থাকেন। দীর্ঘ সময় পর ২০২১-২২ শিক্ষা বর্ষে থেকে এই অ্যকাডেমি আবাসিক এবং অনাবাসিক উভয় ভাবেই পরিচালিত হয়ে আসছে। অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও নিট-এ ভাল সাফল্য পেয়েছে,এই দাবি করেন হাবিব মোল্লা।তিনি আর ও জানান ২০২২-২৩ শিক্ষা বর্ষে থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।সেটি হল একাদশ শ্রেণী থেকে বোর্ড এবং নিট এর কোচিং একসাথে দেওয়া হবে।তিনি জানান ,এখানে সম্পূর্ণ ঘরোয়া পরিবেশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উপযুক্ত শিক্ষক মন্ডলী দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
সময়ের সাথে সাথে আর এইচ অ্যকাডেমি আর ও উন্নত হয়েছে,যার ফলস্বরূপ নিট- এ এ বছর বেশি সাফল্য পেয়েছে।
হাবিব মোল্লা জানান উওর ২৪ পরগনার দেগঙগার কলসুরের বাসিন্দা সুমিত মনডল আর এইচ অ্যকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে পেয়েছে ৬৪০।কলসুর হাই স্কুল এর ছাদে সুমিত এর সর্বভারতীয় রাঙ্ক হয়েছে ৬৮৮৬। সুমিত জানিয়েছে,তাদের গ্রামে কোনো ডাকতারনেই।তার জন্য বহু মানুষের মৃত্যু হয় চিকিৎসা র অভাবে।সেই জন্য ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করার ইচ্ছা তার তিনি জানান, দওপুকুরের নিম দাড়িয়ার পাচুড়িয়া গ্রামে র বাসিন্দা মোহাম্মদ মোহাফিজ আলম এ বছর নিট – এ ৬৩৯ নম্বর পেয়েছে।নেবাধাই হাই স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নিট এর জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে আর এইচ অ্যকাডেমি তে। শুধু গরিব মানুষের সেবা করাই তার ইচ্ছা নয় বরং প্রতিবন্ধীদের সাহায্য ও সে নিবেদিত প্রাণ হতে চায়।
অশোক নগরের বাসিন্দা নীতিশ ঠাকুর কল্যানী পাবলিক স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নিট এর জন্য প্রস্তুতি নেয়। আর এইচ অ্যকাডেমি তে।তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৩৬।তার স্বপ্ন বড় চিকিৎসক হয়ে গরিব মানুষের সেবা করা।
রইস – উল- হক বাদুড়িয়ার ডি কে এম ইনস্টিটিউট থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে নিট এর জন্য প্রস্তুতি নেয় আর এইচ অ্যকাডেমি তে। সেখানে কোচিং নিয়ে ৬০৭ নম্বর পেয়েছে। ডাক্তার হওয়াই তার স্বপ্ন ছিল।সেই স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে বারাসাত এর মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এর ছাএ অভ্র জিত শর্মা আর এইচ অ্যকাডেমি থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৫৯৬ নম্বর পেয়েছে।
ঢাকুরিয়া হাই স্কুল এর ছাত্র অনীশ কুন্ডু নিট প্রস্তুতি র জন্য বেছে নিয়েছিল আর এইচ অ্যকাডেমি।তার নম্বর ৫৯১ ।
উওর ২৪ পরগনার বোদায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র সোনাডাঙ্গা র বাসিন্দা মহম্মদ নুরুল হাসান।২০১৯সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর পরিবারের অথৈনৈতিক দুর্বলতার জন্য তাকে শ্রমিক এর কাজে ভিন রাজ্যে যেতেহয়। কিন্তু ২০২১ সালে গ্রামে ফিরে আর এইচ অ্যকাডেমি তে নিট এর প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হয়।এ বছর নিট – এ ৫৬৪ নম্বর পেয়েছে ।
বাঁকুড়া র কামারবেরার
বাসিন্দা আরিফ মীর ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে আর এইচ অ্যকাডেমি তে নিট এর প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হয়।নিট এ সে৫৫৬ নম্বর পেয়েছে ।
বারাসাত এর কালীকৃষঞ গার্লস স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর ঐশ্বর্য দাস নিট এর প্রশিক্ষণ নিতে ভর্তি হয় আর এইচ অ্যকাডেমি তে। ঐশ্বর্য জানায়, ইচ্ছা ছিল ডাক্তার হওয়ার। ডাক্তার হয়ে আশেপাশের গ্রাম এর গরিব মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা করা। ঐশ্বর্য র নম্বর ৫৫৩, পত্যকেই আর এইচ অ্যকাডেমি কে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।