অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন এ্যান্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন মুর্শিদাবাদ জেলা সচেতন মূলক সভা অনুষ্ঠিত হইলো
নিজস্ব সংবাদদাতা ,বহরমপুর :- আজ ৩ রা নভেম্বর, ২০২২ বৃহস্পতিবার, অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটির ব্যবস্থাপনায় জেলা কনভেনশন ও সমাজ সচেতনতা মূলক সভার আয়োজন করা হলো
সংগঠনের সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক মুর্শিদাবাদ জেলা সাধারণ সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ নাজমুল হক ফেডারেশনের সম্পাদক কামরুজ্জামান সাহেবেরা বলেন
আপনারা সকলে অবগত আছেন যে অল ইন্ডিয়া ইমাম মুয়াজ্জিন এন্ড সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন একটি সমাজ সেবামূলক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, যে সংগঠন সমাজের পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করে দীর্ঘদিন ধরে নিরবিচ্ছিন্নভাবে সমাজের কাজ করে যাচ্ছে। ইমাম মুয়াজ্জিন সাহেবগণ তারা তাদের সীমিত ক্ষমতার মধ্য থেকে সারা বছর ধরেই কোন না কোন সমাজ সেবামূলক কাজ করে থাকেন- যেমন রক্তদান শিবির, বাল্যবিবাহ রোধ, শিশু পাচার রোধ, পালস পোলিও টিকা করন, ডেঙ্গু প্রতিরোধ বিষয়ক, সম্প্রীতি সভা করে থাকেন।
*আজকের সভায় সাংগঠন পক্ষ থেকে যে সমস্ত দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয় তাহা হইলো।*
(১) ইমাম সাহেবগন ওয়াকাফ বোর্ড থেকে যে টাকা পায় তাহা অতি সামান্য ইমাম সাহেবগন যাতে দশ হাজার টাকা ও মোয়াজ্জিন গন আট হাজার টাকা ভাতা তার দাবি করেন।
২) ওয়াকফ বোর্ডের আয় বৃদ্ধি করণের লক্ষ্যে বে -দখল ওয়াকাফ সম্পত্তির উদ্ধার সহ যেসব ওয়াকফ সম্পত্তি এখনো ওয়াক বোর্ডের অধীনে রেজিস্ট্রি ভুক্ত নয় সেগুলো বোর্ডের অধীনে অবিলম্বে নথিভূক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা
৩) সংখ্যালঘু দরিদ্র ও দুঃস্থ, ইমাম-মুয়াজ্জিন সাহেবদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা করানোর জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করা।
৪) ইমাম মোয়াজ্জিন সাহেবগণ বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজকর্ম করে থাকেন তাদেরকে আরও বেশি সক্রিয় করার জন্য ইমাম মোয়াজ্জিন সাহেবসহ মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্য থেকে কমপক্ষে দুই জনকে পঞ্চায়েত, ব্লক, মহকুমা ও জেলা স্তরের প্রতিটি বিভাগের এডভাইসোরি কমিটিতে মনোনীত সদস্য হিসেবে নিযুক্ত করা।
৫) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দারিদ্র সীমার নিচে বসবাসকারী শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতীরা জামিনদার এর অভাবে WBMDFC থেকে লোন পাচ্ছে না ফলে ছোট খাটো ব্যবসা-বাণিজ্য করে তারা স্বনির্ভর হতে পারছে না, এমতাবস্থায় দুই লক্ষ টাকা পর্যন্ত জামিনদার প্রথা মুকুব করা।
৬) মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়নে M.S.K. গুলিকে মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আনয়ন করা এবং শিক্ষকদের বেতন কাঠামো নির্ধারণ সহ শূণ্য পদে শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা।
৭) প্রতিটি জেলায় ওয়াকফ বোর্ডের মাধ্যমে একটি করে Class-1 থেকে Class XII (ফাজিল) পর্যন্ত মাদ্রাসা স্থাপন করা প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে মাদ্রাসা বোর্ডের অনুমোদন নিয়ে Un-Aided মাদরাসা হিসেবে ও পরিচালনা করা যেতে পারে।
প্রোগ্রাম সমাপ্তির পূর্বের সকলে দেশ জাতীয়করণের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করা অঙ্গীকার করেন