নিজস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা, নদীয়া: নদীয়া জেলার বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার শুক্রবার বিকেল চারটে থেকে রবিবার বিকেল চারটে পর্যন্ত ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না৷ মহুয়া মৈত্রের অভিযোগের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত৷ কৃষ্ণনগরে একটি জনসভা করে বিজেপি৷ তাতে বক্তব্য রাখেন নদীয়া উত্তরের জেলা বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকার৷ ওই সভায় মহুয়া মৈত্রকে সরাসরি আক্রমণ করেন তিনি৷ তাঁকে ‘সুন্দরী রমণী’ বলে উল্লেখ করেন মহাদেব সরকার৷ তিনি বলেন, ‘‘সৌন্দর্য্যে ভর করেই ভোট বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা করছে শাসক দল৷’’ মহুয়া মৈত্রের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বিদেশে পড়ায় ভারতীয় সংস্কৃতি ভুলে গিয়েছেন আপনি৷ লজ্জাই নারীর ভূষণ৷ কিন্তু আপনি তা মানেন না৷ আপনি রঙিন জল পান করেন৷ আপনাকে ভারতীয় নারীরা মেনে নেবে না৷’’কুরুচিকর আক্রমণের অভিযোগে সরব হন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী৷ এই অভিযোগে সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন মহুয়া মৈত্র। গোটা ঘটনা জানিয়ে তিনি আবেদন করেন, অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের সব মিছিল, জনসভা, রোড শো ও প্রচার কমপক্ষে তিনদিন অর্থাৎ ৭২ ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হোক। বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়৷ সেই মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন কমিশনকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়৷ সেই অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নদিয়া জেলা বিজেপি সভাপতি মহাদেব সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচার বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে৷ উত্তরপ্রদেশে ইতিমধ্যেই যোগী আদিত্যনাথ, মায়াবতীর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ তবে বাংলায় এই প্রথমবার কোনও নেতার নির্বাচনী প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি হল৷ এমন কড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে রীতিমতো নজির গড়ল নির্বাচন কমিশনে৷ ভোটের আগে এই নির্দেশে গেরুয়া শিবির যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য৷