অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- অপরাধ অপরাধই ,দোষী দোষীই ।অপরাধীর কোব জাত হয় না। অপরাধ যেই করুক না কেন, আইন সবার জন্য এক। আর কেউ দোষ করলে যেন তাঁর সম্প্রদায় না দেখেই কঠোর শাস্তি দেওয়া হয়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের উদ্দেশ্যে এই বার্তাবহ এক চিঠি দিয়েছেন বুদ্ধিজীবী মুসলিমরা। অপরাধের ক্ষেত্রে যে কোনও ভাবেই অপরাধীর সম্প্রদায় না দেখা হয়, সেই অনুরোধই জানানো হয়েছে এই চিঠির মাধ্যমে। ইদানীংকালে এনআরএস হাসপাতাল সহ রাতের শহরে মডেল হেনস্থার মতো যে ঘটনা ঘটেছে, তাতে অভিযুক্ত হিসেবে নাম জড়িয়েছে সংখ্যালঘুদের।
কিন্তু সরকারের বিরুদ্ধে একাংশের অভিযোগ, অভিযুক্তরা নিজেদের সম্প্রদায়ের কারণেই কমের উপর দিয়ে ছাড় পেয়ে যাচ্ছেন। অথবা ধরা পড়লেও, খুব কম সংখ্যকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাচক্রে রাজ্যে বিজেপি যেভাবে শক্তি বাড়িয়েছে, তাতে এই দুই ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ মিশে যেতেও সময় লাগবে না। যার ফলে ক্ষতিটা আখেরে হবে শাসকদলেরই। সেই কারণে ওই চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক সময়ে শহরে ঘটে যাওয়া একাধিক ঘটনায় আমরা চিন্তিত, ব্যথিত এবং লজ্জিত। দুটি ঘটনার সঙ্গেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা জড়িত রয়েছে। সংবিধানে অপরাধের কোনও ধর্ম হয় না। কাজেই শুধুমাত্র এই দুটি ঘটনা নয়, যে কোনও ঘটনাতেই যদি মুসলিমরা জড়িত থাকেন তাঁদের উপযুক্ত সাজা প্রাপ্য।’
এনআরএস হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনার পরই দিলীপ ঘোষ ইঙ্গিত করেছিলেন, অভিযুক্তরা সংখ্যালঘু বলেই তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। এরই মধ্যে সোমবার রাতে শহরে প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স উষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থা করে একদল বাইক আরোহী। যাদবপুর এলাকার বাসিন্দা ওই যুবকরা সকলেই ছিল মুসলিম সম্প্রদায়ের। নবান্নে পাঠানো এই চিঠিতে ওই দুই ঘটনার প্রসঙ্গ লেখা হয় ডাক্তারদের উপর হামলা ও উষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থা নিয়ে তাঁরা অত্যন্ত মর্মাহত ও অপ্রস্তুত। সেখানে কার্যত তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সাবধানবাণীর মতো করে লেখা হয়েছে, আজকাল মানুষ যেমনটা ভাবছেন তা যেন কখনও না হয়। মুসলিম বলে যেন কেউ ছাড় না পান। তাতে কিন্তু জনগণের মনে ধারণা সৃষ্টি হবে যে একটি গোষ্ঠীকে আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে।
তোষণ দোষীদের শাস্তুি দেওয়স হোক অপরাধ দেখে। সে জাতের যে ধর্মেরই হোক না কেন।