অয়ন বাংলা ,ওয়েবডেস্ক:: ব্যাঙ্ক লোন পতে আর দৌড়াদোড়ি নয় ,হাতের কাছে মোবাইল ফোনে একটা এস এম এস ব্যাস লোন হাতের মুঠোয় এমনই আজ বাজেটে ঘোষণা হল। আর ব্যাঙ্কের ঝঞ্ঝাট পোহাতে হবে না আপনাকে৷ ব্যাঙ্ক কর্মচারীর হাজারো প্রশ্নর উত্তর দিয়ে নাজেহাল হওয়ার দিন শেষ৷ দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসে ব্যাঙ্ক ঋণ পাওয়া অনেক সহজ করে দিয়েছে মোদী সরকার৷ নির্ধারিত কেন্দ্রীয় সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে কিছু প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলেই মিলবে মাত্র এক ঘন্টার মধ্যে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ৷ স্বাধীন ভারতে এই প্রথম সরকারি ঋণ পাওয়ার এমন সহজ রাস্তা তৈরি করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাই দামোদরদাস মোদী৷ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশের আগে এমন ব্যবস্থা করলেন তিনি৷ সেইসঙ্গে তাঁর আশা অনেক সহজে আবেদনকারীরা ঋণ পাবেন৷ এই ব্যবস্থার সুবিধে নিতে গেলে এমএস এমই(বড় হাতের এই শব্দগুলি টাইপ করতে হবে৷ উল্লেখ্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পরে কথা ভেবেই এই কেন্দ্রীয় ঋণ দেওয়া হচ্ছে৷ তাই কেন্দ্রীয় এই দফতর- মিডিয়াম, স্মল অ্যান্ড মাইক্রো এন্টারপ্রাইজ এ গিয়ে লগ অন করতে হবে৷ এইবার বাজেটে ক্ষুদ্র, মাজারি ও স্বল্প সঞ্চয় ঋণের ওপর জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক৷ এই দফতরের মন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের কাছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প বৃদ্ধি বিরাট চ্যালেঞ্জ৷
এই ওয়েবসাইটে লগ এন করার আগে আপনার কাছে জিএসটির তথ্য,এক্স এম এল ফরম্যাটে ইনকাম ট্যাক্ল রিটার্ন, পিডিএফ ফর্ম্যাটে গত ছয় মাসে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের স্টেটমেন্ট এবং মালিক ও ডিরেক্টারদের বিস্তারিত তথ্য৷ এবার জেনে নিন কীভাবে ঋণের জন্য আবেদন করবেন? দশটি ধাপ হল- ১.মোবাইল নাম্বার , ইমেল অ্যাড্রেস দিয়ে রেজিস্টার করলে আপনার ফোনে ওটিপি নাম্বার আসবে৷
২. আপনার ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে৷ যেমন কি ব্যবসা করছেন, কতদিন ধরে করছেন, কেমন ঋণ চান ইত্যাদি৷
৩.জিএসটির বিস্তারিত বিবরণ জানাতে হবে৷
৪.ব্যবসার আয়করের বিস্তারিত তথ্য জানাতে হবে৷
৫. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য- অ্যাকাউন্ট নাম্বার, কী ধরনের অ্যাকাউন্ট ইত্যাদি৷
৬.সংস্থা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য৷ যেমন কী ধরণের সংস্থা, তার আধিকারিক ও মালিকদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য ইত্যাদি৷
৭.কেন ঋণ নিতে চান? আর কত টাকা ঋণ নেবেন? সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য৷
৮. ব্যাঙ্ক পছন্দ করুন৷ কোন ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে চান তা আপনাকে জানাতে হবে৷
৯. এই প্রক্রিয়ার জন্য আপনাকে হাজার টাকার সঙ্গে জিএসটি দিতে হবে৷
১০. এই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে আপনাকে অ্যাপ্রুভাল লেটার বা ঋণ নেওয়ার সম্মতিপত্র দেবে৷ তা ডাউনলোড করুন৷
এইভাবে অতি সহজেই ব্যাঙ্কের ঝামেলা এড়িয়ে আপনি এক কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ পেয়ে যাবেন৷ প্রধানমন্ত্রীর আশা, এইভাবে দেশে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসার ঘটবে৷ তাছাড়া ঋণ দানের ক্ষেত্রে পুরোপুরি স্বচ্ছতা বজায় থাকবে বলে মনে করেন তিনি?
বাস্তবে এর প্রতিফলন কতটা এখন সেটাই দেখার।