আগামী কাল আপনিও হতে পারেন এই হেনস্থার স্বীকার। দেখুন কি বলছেন।
:::অধ্যাপিকা Afroja khatun দির কলমে :::
পাঠকের কলম,অয়ন বাংলা :-, তামান্না আমার বোনঝি গতকাল, ১৪ তারিখ বহরমপুর থেকে একা কলকাতা আসছিল সকাল ১০ টার লালগোলা প্যাসেঞ্জারে। ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজের অতিথি অধ্যাপক। ট্রেন কৃষ্ণনগর ঢোকার মুখে টিকিট চেকার আসেন। টিকিট দেখার পর আই ডি কার্ড চান। আই ডি কার্ডে চোখে বুলিয়েই চেকারবাবুর খিটখিটে মেজাজ শুরু হয়। ভোটার কার্ডে ওয়াসেফ বিশ্বাস নাম দেখেই জেরা শুরু করেন। বলেন, ওয়াসেফ বিশ্বাস তো ছেলেদের নাম। চেকারবাবু ভুল করছেন মনে করে তামান্না বলে, হ্যাঁ ওটা তো আমার বাবার নাম। দেখুন ওখানে আমার নামও আছে। এবার চেকারবাবু ওয়াসেফ বিশ্বাস নামটা কয়েকবার উচ্চারণ করার পর ওকে উত্যক্ত করার জন্য ওর বয়স নিয়ে জেরা করতে থাকেন। তামান্নাকে বলেন, তোমার অনেক বয়স। সব জায়গায় কমিয়ে রেখেছ। তামান্না বলে, কেন আপনি অকারণ বয়স নিয়ে আমাকে মেজাজ করছেন? আই ডি কার্ডে নাম দেখে আপনার সমস্যা শুরু হয়েছে? চেকারবাবু এবার প্রায় হুমকির স্বরে বলেন, একদম মেজাজ দেখাবে না। সহযাত্রীরা চেকারবাবুর আচরণের প্রতিবাদ জানালে তবেই তিনি তামান্নাকে জেরা করা বন্ধ করেন। সহযাত্রীদের পরামর্শে ও শিয়ালদা স্টেশনে নেমে অভিযোগ জানাতে যায়। শিয়ালদা স্টেশন কোন লিখিত অভিযোগ নেয়নি। কারণ যেখানে ঘটনাটা ঘটেছিল তার কাছাকাছি স্টেশনেই অভিযোগ জানাতে হয়। তামান্না তিনটেয় শিয়ালদা স্টেশনে নেমে চারটে পঞ্চাশের রাজধানী ধরে দিল্লি যাবে বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। তারপক্ষে সম্ভব হয়নি অতো ব্যাগ নিয়ে মাঝপথে ট্রেন থেকে নেমে অভিযোগ জানানো। অভিযোগ জানানোর অনলাইন ব্যবস্থার খোঁজ নিচ্ছিল। শিয়ালদা স্টেশন থেকে জানিয়েছে তেমন কোন ব্যবস্থা নেই। ১৮২ নং-এ ফোন করলে কিছু সুরাহা হবে ভেবেছিল। কিন্তু সেখান থেকেও জানিয়েছেন কিছু করতে পারবেন না। ঘটনাগুলো আমাকে ফোনে জানিয়ে ও রাজধানী ধরলো। আর আমি বসে বসে ভাবছি সত্যিই কি এতটা সংক্রমণ ছড়িয়েছে?
আসলে গেরুয়াবাদের প্রভাবে এই সব হচ্ছে।