কালচার এর পরিবর্তন, প্রত্যেক সফলতার মূল:- লিখেছেন প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাক্তার ইয়ার আলী

Spread the love

কালচার এর পরিবর্তন:: প্রত্যেক সফলতার মূল

যখন কোন একটি ধারনা (ভূল বা ঠি ক) সমাজ বা গৌষ্ঠী বা অন্চল বা দেশ এ বহুলভাবে অন্তরের গহিনে স্থান নিয়ে নেয়, তখন ধারনাটি এমনভাবে প্রথিত হয়ে যায় যে, ঐটা সংস্কৃতি বা কালচার হতে শুরু করে।

ধারণাটি যদি ভূল বা সত্যতাশুণ্য হয়, তবে ধীরে ধীরে ঐ কালচারধারী সমাজ, গৌষ্ঠী, অন্চল, দেশ – ক্ষতির সম্মুখীন হতে শুরু করে। সময়চক্রের প্রবাহ তে এমন অবস্হা হয় যে, ঐ কালচার বা ধারণা থেকে কেউই বের হয়ে আসতে পারে না অথচ চরমভাবে ক্ষতি থেকে আরও ক্ষতির দিকে দ্রুতগতিতে ধাবিত হতে থাকে!

এমনই ক্ষতির মহূর্তে , সমাজ বা গৌষ্ঠী বা অন্চল বা দেশকে ঠেলে , সংশোধন করে, মানুষের ভূল ধারনাকে সত্য ধারনা দিয়ে ভেঙ্গে ; যে আন্দোলন বা ব্যক্তি( এরাই যুগে যুগে মহৎ ব্যক্তি, ঋষি, নবী বা রসুল) উঠে আসে , তাকে বা তাদেরকে ঐ ভূল ধারণার বশবর্তী মানুষ বা সমাজ বা দেশ কখনই মেনে নিতে পারে না ।কারণ তাদের “DEEPLY IMBEDDED WRONG BELIEF SYSTEM” মেনে নিতে কঠিনভাবে বাধা দান করে। অথচ ঐ আন্দোলন বা ব্যক্তির অদম্য ইচ্ছা, সংকীর্ণ মানসিকতার উর্ধ্বে বৃহৎ কল্যাণের ভাবনা, একমাত্র প্রভুর নিকট প্রতিদান , অদম্য সাহসিকতা, মানুষের পরচর্চা বা পরনিন্দার ভ্রূক্ষেপ হীনতা প্রভৃতিকে সম্বল করে যখন ঐ ভূল ধারনাকে সত্য দিয়ে প্রতিস্থাপন করেই ফেলেন; ফলত: ক্ষতিতে নিমজ্জিত সমাজ,গৌষ্ঠী,অন্চল বা দেশ লাভবান আর উন্নত থেকে উন্নততর হতে লাগে।তখন সকলেই ঐ ব্যক্তি বা আন্দোলন কে সাদরে অভ্যর্থণা, বিভিন্ন নামে ভূষিত করতে থাকে।

এই রকম ঘটনা শিক্ষা,স্বাস্হ্য , চিকিৎসা, বিজ্ঞান গবেষণা , ধর্ম, প্রশাসন, প্রভৃতি সর্বক্ষেত্রেই ঘটে।

কতকগুলি উদাহরণ , যেমন—
১) শিক্ষিত হলেই, দেশ বা সমাজের উন্নতি।
কিন্তু বাস্তবে শিক্ষার হার যত বাড়ছে, সমাজে অন্যায়, অত্যাচার, রাহাজান, খুন খারাবা প্রভৃতি ততই বাড়ছে!
আসলে, ঠিক ধারনাটা হওয়া উচিৎ—“ সৎ বা নেক নাগরিক তৈরী করতে , সত্য শিক্ষার প্রয়োজন; সৎ নাগরিক সব সময় সমাজ বা দেশের জন্য উন্নতি”
২) রোগে আক্রান্ত হলে, ডাক্তারের কাছে গিয়ে রোগের নামটা জানব আর চিকিৎসা নিব। ব্যস!
যদি রোগের কারনটা কখনও বা জানি, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুটো উত্তর পাওয়া যাবে। AUTO IMMUNITY OR GENETIC( Family History).
রোগী সন্তুষ্টচিত্তে জিজ্ঞেস করে , ডাক্তার বাবু সারা জীবন এই ঔষধগুলি খেয়ে যাব??
রোগীও ক্ষান্ত, ডাক্তারও ক্ষান্ত।
AUTOIMMUNITY means simply you attack on yourself. GENETIC means Your gene , your code setted by GOD is wrong!!
ঘুরিয়ে ফিরিয়ে স্রষ্টার সৃষ্টির নৈপুন্যতা নিয়ে সন্দেহ। সৃষ্টির সেরা মানুষ যাকে স্রষ্টা নিজহাতে তৈরী করেছেন,সেই মানুষেরই স্রষ্টার অদক্ষতায় যত জেনেটিক ও অটো ইমিউনজিকাল রোগ হচ্ছে !!!
Simply এখন AUTOIMMUNITY & GENETICALLY টার্মগুলো স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কালচার হয়ে গেছে।

আসলে, রোগসৃষ্টিকারী বাইরের এজেন্ট টাকে এখনও মেডিকাল বিশ্ব আবিস্কার করতে পারে নি।
এইডসের জন্য যেমন HIV দায়ী, তেমনিভাবে বহু রোগ আছে কারণ হিসাবে বাইরের একটা নির্দিষ্ট এজেন্ট দায়ী।

কিন্ত বর্তমানে ডায়াবেটিস, ঊচ্চ রক্তচাপ, থাইরয়েড, আর্থ্রাইটিস এর মত এমন অনেক রোগ আছে যাদের কারন হিসাবে হয় আপনার ইমিউনিটিকে অথবা আপনার জিনকে অথবা উভয়কেই দায়ী করা হয়।
(বন্ধুদের অধৈর্য্যর কথা ভেবে আর উদাহরণ লিখলাম না)
এরকমভাবে সর্বক্ষেত্রেই কমবেশী ভুল ধারনা থেকে ভুলবিশ্বাস ; আর সেখান থেকে ভুল কালচারে মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত।
সময়ের কসম!! নিশ্চয় নিশ্চয়ই প্রত্যেক মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিমজ্জিত। তারা ব্যতিত যারা—
১) সঠিক ও সত্য বিশ্বাস করেছে,
২) সেই বিশ্বাস ও ধারণা অনুযায়ী কাজ করেছে বা কালচার তৈরী করেছে,
৩) মানুষকে সঠিক ও সত্যটা বলেছে এবং
৪) (অদম্য সাহসিকতায়) সত্য বলার জন্য যে বিরুদ্ধাচরন ভুল ধারনার বশবর্তী লোকেরা করেছে , তাতে তৎপরবর্তী কালে উন্নতি আর সফলতার দৃঢ় আশা নিয়ে সমস্ত অত্যাচারে ধৈর্য্য ধরেছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.