সত্য ও তথ্যের উপর ভিত্তি করে বাবরি মামলায় ন্যায় বিচারের আশা প্রকাশ পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার*
নিজস্ব সবাদদাতা,অয়ন বাংলা:-পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটির এক বৈঠকে এই আশা পোষণ করা হয়েছে যে, বাবরী মসজিদের মালিকানা কেন্দ্রীক মামলার ফায়সালা সুপ্রিম কোর্ট কাহিনীর ভিত্তিতে না করে সত্য ও তথ্যের ভিত্তিতে করবে এবং সেটা হবে নিরপেক্ষ ও ন্যায় ভিত্তিক।
সাম্প্রদায়িক শক্তি সঙ্ঘ কোর্টের উপর চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে, কোর্টকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে এবং ওকিলদের হুমকি দিচ্ছে যে কথা প্রকাশ্যে এসেছে। তবুও আমাদের আশা যে এই ধরণের শয়তানী চক্রান্ত বিফল হবে এবং ন্যায় ও সত্যের জয় হবে। বাবরী মসজিদের মামলা শুধুমাত্র জমির মালিকানার মামলা নয়। এই মামলায় আসন্ন ফায়সালা এটাও প্রমাণ করবে যে, দেশের বিচার ব্যবস্থা জনগণকে ধর্ম নিরপেক্ষতা, আইনের সামনে সকলেই সমান, ধর্মের অধিকার ইত্যাদির মত সংবিধন স্বীকৃত মূল্যবোধকে নিশ্চিত বানানোর যোগ্যতা রাখে। উক্ত বৈঠকে মুসলিম পক্ষের আইনজীবী ও নেতৃবৃন্দের উৎসাহের প্রশংসা করা হয়, যারা সব ধরণের সমস্যা সত্বেও ন্যায় ও অধিকার রক্ষার সংগ্রাম দৃঢ়তার সঙ্গে করে যাচ্চেন।
অন্য একটি বিবৃতিতে পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি কেন্দ্র সরকারের নিকট কাশ্মীরে চলমান অত্যাচার বন্ধ করার আবেদন জানায়। ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা অবলুপ্তি ঘটনানোর স্বৈরাচারী পদক্ষেপের পর জম্মু ও কাশ্মীরের সমস্ত জনগণের অবস্থা বন্দিরের মত হয়ে গিয়েছে, কারণ সেখানে সসস্ত্র বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে এবং জনগণকে সমস্ত নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে, যে অধিকার দেশের অন্যান্য রাজ্যের জনগণ ভোগ করে থাকে। বিগত আড়াই মাস ধরে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে, যোগাযোগের সমস্ত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, পরিবহন ব্যবস্থাকে সংকোচিত করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক নেতা ও জনগণকে গ্রেফতার করা অব্যাহত আছে। এইগুলি সকলকে সমবেতভাবে শাস্তি দেওয়া ছাড়া কিছু নয়, যার নমুনা ইতিহাসে বিরল। সময়ের দাবি হচ্ছে যে, দেশের সমস্ত রাজনৈতিক দল ও জনগন কাশ্মীরের জনগনের জন্য তাদের আওয়াজ উঠাবে। উক্ত বৈঠকে দাবি করা হয় যে, সেখান থেকে যেন অতি সত্তর অস্ত্র ধারী বাহিনীকে উঠিয়ে নেওয়া হয়, বন্দি দশার শিকার জনগণকে মুক্তি দেওয়া হয় এবং অত্র এলাকাতে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
জাতীয় অপরাধ লিপিবদ্ধকারী বিভাগের (২০১৭) উদ্ধৃতি দিয়ে উক্ত বৈঠক শাসকদলকে ধিক্কার জানায়, কারন তারা তাদের রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জাতীয় আইনের পরিবর্তনের অপচেষ্টা করছে। গনপিটুনির মাধ্যমে হত্যা ও বিশিষ্ট জনকে হত্যা করার রিপোর্ট অপরাধের রিপোর্ট থেকে বাদ দেওয়ার প্রচেষ্টা থেকে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে, সরকার এই ধরণের অপরাধকে চিহ্নিত করতেও কাতরাচ্ছে। গণপিটুনির বিরুদ্ধে আইন তৈরী করার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ আসার পরেও এই অপরাধকে উপেক্ষা করা হচ্ছে।
ভি ডি সাবারকারকে সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান প্রদানের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করেছে ওই বৈঠক। দেশের ইতিহাসে তাকে এমন ব্যক্তি হিসাবে জানা হয় যে স্বাধীনতা সংগ্রামে ধোকা দিয়ে ছিল এবং ভারতবাসীকে ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করার ক্ষেত্রে বড় ধরণের ভূমিকা পালন করেছিল। জেল থেকে বের হওয়ার জন্য সে ইংরেজদের নিকট যে মাফি নামা লিখেছিল তার প্রতিটি অক্ষরে দেশের সঙ্গে তার শত্রুতা ও ইংরেজদের প্রতি তার অনুগতশীলতার প্রমাণ পাওয়া যায়। পপুলার ফ্রন্টের জাতীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এই ধরণের ধোঁকাবাজ ব্যক্তিকে ভারত রত্ন পুরষ্কার প্রদান করার অর্থ হল দেশের স্বাধীনতার জন্য প্রদানকারী মুজাহিদের অপমান করা বলে মনে করে।