ওয়েবডেস্ক: অবশেষে জল্পনার অবসান৷ টানটান নাটকের যবনিকাপাত৷ ক্যাবিনেটের অনুমোদনে সই করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ সেইসঙ্গে মহারাষ্ট্রে জারি হয়ে গেল রাষ্ট্রপতি শাসন৷ ১৯ দিনের মাথায় ৩৫৬ ধারা৷ রাজ্যপাল সন্ধে সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ডেডলাইন দিয়েছিলেন৷ কংগ্রেস ও এনসিপির সমর্থন নিয়ে শিবসেনা সরকার গড়ার জোর চেষ্টা চালায়৷ তার আগেই রাজ্যপালের সুপারিশে সিলমোহর দিলেন রাষ্ট্রপতি৷ ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে অচলাবস্থা চলছিল মহারাষ্ট্রে৷ বিজেপি সরকার গড়বে না বলার পর শিবসেনাকে সরকার করার জন্য ডাকেন রাজ্যপাল৷ এরপর এনসিপির সমর্থন পেলেও কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট করতে সময় লাগিয়ে দেয়৷ তাতেই মহারাষ্ট্রে ঘনিয়ে আসে রাষ্ট্রপতি শাসন৷
এদিন রাজ্যপালের দেওয়া ডেডলাইন শেষের আগে ক্যাবিনেটের বৈঠক হয়৷ সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের ব্যাপারে অনুমোদন দেওয়া হয়৷ ডেডলাইন শেষের আগেই সেই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷ মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করায় এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আগেই গেছে শিবসেনা৷ কারণ রাজভবনের দেওয়া ডেডলাইন শেষ হওয়ার আগেই রাজ্যপাল রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ করেন৷ শিবসেনা এনসিপি এবং কংগ্রেসের সমর্থনের চিঠি আনার জন্য রাজ্যপালের কাছে ৩ দিন সময় চেয়েছিল৷ শিবসেনার অভিযোগ, বি এস কোশিয়ারি বিজেপিকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিলএন৷ অন্যদিকে সমর্থন জোগাড় করার জন্য তাদের ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন৷ তাঁদের কথায়, রাজ্যপাল বিজেপির হয়ে কাজ করছেন৷
১৯৮০ সালের পর ফের মহারাষ্ট্রে জারি হল রাষ্ট্রপতি শাসন। সূত্রের খবর, শনিবার বিজেপি, শিবসেনা ও এনসিপি-কে সরকার গঠনের জন্য ডেকেছিলেন কোশারি। কিন্তু কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতার দাবি করতে পারেনি। ২৪ অক্টোবর থেকে মহারাষ্ট্রে অচলাবস্থা শুরু৷ বিজেপি পেয়েছে ১০৫, ৫৬ শিবসেনা, ৫৪ এনসিপি, ৪৪ কংগ্রেস৷ মহারাষ্ট্র বিধানসভা ২৮৮ আসন বিশিষ্ট৷ ম্যাজিক ফিগার ১৪৫৷ কেউ ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি৷ সংখ্যার গেরোয় যে জট পাকিয়েছে, তা আপাতত গড়াল রাষ্ট্রপতি শাসনে৷