১৩০ কোটির দেশে সাংসদের মত পদে অধিষ্ঠিত হতে হলে, যেখানে যুগোপযোগী অথচ মানবতা বিরোধী নয় এমন কূটকুশলী রাষ্ট্রকল্যাণমূলক সিদ্ধান্তগুলিকে দেশবাশী ও দেশের জন্য বাস্তবতায় রূপ দিতে — নিম্ন বর্ণিত বৈশিষ্ট সম্পন্ন যোগ্য প্রার্থী অতীব জরুরী—
১) মানবতাগুণ সম্পন্ন বা মিতভাষী,শান্তস্বভাবী, অ-অপরাধী, সাম্যবাদী, সর্বধর্ম সহনশীল, কপটতামুক্ত, সত্যবাদী, উপকারী প্রভৃতি৷
২) জ্ঞানী সেই জ্ঞানে যা দেশকে আগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে৷ বলা বাহুল্য, বিনোদন-জগতের স্টার যুবশক্তি ও অর্থনীতি এর জন্য কল্যাণকর নয়!
৩)সমাজ ও পার্শ্ববর্তী লোক যাকে ভয়ে নয়, বরং শ্রদ্ধা ও ব্যবহারে ভালবাসে৷ যে ধমকিয়ে নয়, ক্ষমা ও সহানুভূতি দিয়ে মানুষের মনকে জয় করতে পেরেছে৷
৪)বারমাস জনগণের পাশে ও উপকারে থাকে
৫) অর্থলোভ, ক্ষমতালোভ বিবর্জিত নিপাট ভদ্রলোক !
৬) যারা নিজের ও পরিবারের স্বার্থ ছাড়া , টাকা পয়সা ছাড়া— দেশ সমাজের বিন্দুমাত্র কল্যাণ বুঝেনা৷
৭) যার বিশেষ কোন সাব্জেক্টে ভাল জ্ঞান আছে ও ঐ বিষয়ে দখল রাখে৷
৮) যাকে দেখে মানুষ সমীহ করে অন্তর থেকে৷
৯) দেশ ও জাতির উন্নতিতে নিবেদিত প্রাণ শুধু কথায় নয়, কর্মেও৷
১০) যার দূরদর্শিতা ও ভাবনা-ক্ষমতা দেশ ও সমাজকে যাবতীয় অমঙ্গল ও অপরাধমূলক কাজ থেকে মুক্ত করতে পারবে৷ প্রভৃতি৷
জানি, এগুলি কিছুই মানা হবে না৷ ক্ষমতা ও টাকার লিপ্সা মানুষের বিবেককে অজ্ঞান করে রেখেছে৷ স্বার্থপরতা ও অকৃতঘ্নতা মানুষকে বেইমান বানিয়ে রেখেছে৷ অদূরদর্শিতা ও মূর্খতা মানুষকে বিভ্রান্ত করে রেখেছে৷ আর সবগুলিই শয়তানের এক-একটা ফাঁদ৷
এইভাবে, চলতে থাকলে সেই দিন আর বেশী দূরে নয় যেদিন মানুষ অন্ধকারের ঘন কালিমাতে এমনভাবে ডুবে যাবে যে সূর্য্য আর তর সইতে পারবেনা৷ ঘননিশির শেষলগ্নে আবার পরের দিনের প্রভাতের রবি আকাশ বিদীর্ণ করে গোটা জাতিকে আলো দেখাবে৷ শুরু হবে নতুন দিনের নতুন জীবণ , নতুন আলো!