জয়নাল আবেদিন,অয়ন বাংলা:-শত্রু দেশে বন্দি অবস্থায় সইতে হয়েছে হাজারো আঘাত।শারিরীক-মানসিক ভাবে এখন কতটা সুস্থ অভিনন্দন বর্তমান। আবারও কি যুদ্ধবিমান নিয়ে আকাশে ওড়ার অনুমতি পাবেন অভিনন্দন ?
দেশে ফিরলেও দিতে হচ্ছে অগ্নিপরীক্ষা। পাকিস্তান থেকে ফিরেও স্বস্তি পাননি ভারতীয় বায়ুসেনার পাইলট অভিনন্দন।পাইলটের শরীরে কি পাকিস্তানের চিপ? তা জানতে শুরু হয়েছে অভিনন্দনের ডি বাগিং টেস্ট। একাধারে চলছে ডি ব্রিফিংও। দেশবাসীর মনে একই প্রশ্ন, ফের আকাশে উড়তে পারবেন অভিনন্দন ?
এদিন যার উত্তর পাওয়া গেল খোদ বায়ুসেনা প্রধান বিএস ধানোয়ার মুখে। বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, শারীরিকভাবে ফিট হলে তবেই ফের যুদ্ধবিমান চালাতে পারবেন অভিনন্দন। এ বিষেয় কোনও পাইলটের ক্ষেত্রেই ঝুঁকি নেয় না বা য়ুসেনা। অভিনন্দনকে সুস্থ করতেও সব ধরনের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হবে।১০০ শতাংশ ফিট হলে তবেই অভিনন্দন ফের ককপিটে যাওয়ার অমুমতি পাবেন।
অভিনন্দনের ক্ষেত্রেই কি এই ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা ? বায়ুসেনা প্রধান জানিয়েছেন, একবার যুদ্ধবিমান থেকে প্যারাস্যুটে জমিতে নামলে শিরদাঁড়া ও পায়ের ওপর মারাত্মক প্রভাব পড়ে। অভিনন্দন মিগ-২১ বাইসন থেকে ইজেক্ট করায় তারও পায়ে প্রভাব পড়েছে। ভবিষ্যতে এই ধরনের ইজেক্টের ঘটনা ঘটলে সারা জীবন হুইল চেয়ারে কাটাতে হবে অভিনন্দনকে। সেকারণে পুরোপুরি সুস্থ না হলে যুদ্ধ বিমানে ওঠার ছাড়পত্র দেওয়া হবে না তাঁকে।
এমআরআই রিপোর্ট বলছে, যুদ্ধবিমান থেকে ইজেক্ট করায় শিরদাঁড়ায় চোট লেগেছে অভিনন্দনের। আগামী ১০দিন দিল্লির সেনা হাসপাতালে আরও শারীরিক পরীক্ষা হবে তাঁর। তবে অভিনন্দনের শরীরে পাকিস্তান যে কোনও চিপ বসায়নি তা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে পরীক্ষায়। সব মিলিয়ে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বায়ুসেনার এই উইং কমান্ডারের আকাশে ওড়ার স্বপ্ন।