নিউজ ডেস্ক:- গত সোমবারই উত্তরবঙ্গ উড়ে যাওয়ার আগে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘আমরা এর আগে এনআরসি এবং নাগরিকত্ব বিলের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করেছি। এখন ওই বিল আইনে পরিণত হয়েছে। তাই সেই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব আনা হবে বিধানসভায়।’ যেমন কথা তেমনি কাজ। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মতই রাজ্য বিধানসভায় পেশ হল সিএএ বিরোধী প্রস্তাব। আর পেশ হওয়া মাত্রই পাসও হয়ে গেল তা। এদিন বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিপক্ষে এই প্রস্তাবকে সমর্থন করবে বলে আগেই জানিয়েছিল কংগ্রেস ও বামেরা। ফলে সর্বসম্মত ভাবেই কেরালা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের পর দেশের চতুর্থ রাজ্য হিসেবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভাতেও সর্বসম্মতিক্রমে প্রস্তাব পাশ। আজ রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে প্রস্তাব পাশ হয়। কেরল- পাঞ্জাব ও রাজস্থানের পর দেশের চতুর্থতম রাজ্য হিসেবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব করা হলো পশ্চিমবঙ্গে।
আজ বিধানসভায় রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় দুপুর দুটো নাগাদ সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করেন। তারপরেই তা সর্বসম্মতভাবে পাসের জন্য বিরোধীদের কাছে আহবান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বিরিধিরা সংশোধনের দাবি জানালেও তা খারিজ করে দেওয়ার পরই প্রস্তাবটি বিধানসভায় গৃহীত হয়।
দেশের প্রথম রাজ্য হিসাবে সিএএ বিরোধী প্রস্তাব বিধানসভায় পাস করে বাম সরকার পরিচালিত কেরালা। সেই পথ অনুসরণ করে বাম-কংগ্রেস বিধায়করা গত ৯ই জানুয়ারি বিধানসভায় সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশের দাবি তোলে। কিন্তু, রাজ্যের দুই বিরোধী দলের সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়। সে সময় শাসকদলের পক্ষে থেকে জানানো হয় যে, আগেই এ বিষয়ে প্রস্তাব পেশ হয়েছে। ফলে নতুন করে এই প্রস্তাবের প্রয়োজনীয়তা নেই। তবে গত সোমবার তাৎপর্যপূর্ণভাবেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২৭ জানুয়ারি কেরালা, পাঞ্জাবের পথে হেঁটেই বাংলা বিধানসভাতেও সিএএ বিরোধী প্রস্তাব পেশ করা হবে। এই প্রস্তাবকে সমর্থনের জন্য কংগ্রেস ও বামেদের সমর্থন চেয়ে মমতার সরকারের তরফে চিঠি দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বাম ও প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।