পতাকা শিল্পগোষ্ঠী এবং আল আলাম মিশনের ব্যবস্থাপনায় সচেতনতা ও দুস্থ দের প্রতি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

Spread the love

পতাকা শিল্পগোষ্ঠী এবং আল আলাম মিশনের ব্যবস্থাপনায় পাড়ায় পাড়ায় চলছে সচেতনতার প্রচার এবং গরীব দুস্থ দের প্রতি খাদ্য সামগ্রী বিতরণ ।

নিজস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা,মুর্শিদাবাদ :-
গোটা দেশ জুড়ে যখন লকডাউন চলছে তখন মুর্শিদাবাদের কয়েক হাজার গরীব দুস্থ পরিবার বালিশে বুক চাপা দিয়ে দিনের পর দিন কেঁদে চলেছে । তাদের মুখের হাসি কোথায় হারিয়ে গেছে, তা বলা খুব মুশকিল । সেই পরিবারের মধ্যে থেকে কেউ না কেউ রুজি রুটির টানে ভীন রাজ্যে পড়ে আছেন । ওদের পরিবারের একটাই কথা আমরা শুধু চাই বেঁচে থাকার জন্য অর্থ । গরীব হওয়ার কারনেই বাড়িতে স্ত্রীকে রেখে স্বামী বিদেশে পড়ে আছে । শুধু ভাত চাই, বেঁচেতো থাকতে হবে এই কথাকে স্মরণ করে বৃদ্ধ বাবাকে বাড়িতে রেখে সন্তানরা আজ বিদেশে বন্দী৷ ফলে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন হওয়ার ফলে পরিযায়ী শ্রমিকেরা বাড়ি মুখি ফিরে আসতে পারেনি। এদের কষ্টের কথা শুনতে পেয়ে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে পতাকা শিল্পগোষ্ঠী এবং আল আলাম মিশন । গত ১লা এপ্রিল থেকেই শুরু হয়েছে পতাকার পক্ষ থেকে দেওয়া খাদ্য সামগ্রী বিতরণ । একটানা ১৭ দিন ধরে চলছে এই খাদ্য সামগ্রী, হ্যান্ড সানিটাইজার ও মাস্ক বিতরণ । প্রতিদিনের মতো শুক্রবার জুম্মার দিন কালীনগর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহাজীপাড়া ও পাঠানপাড়ায় খাদ্য সামগ্রী, হ্যান্ড সানিটাইজার ও মাস্ক তুলে দেওয়া হলো। তুলে দিলেন আল আলাম মিশনের ডিরেক্টর মাহবুব মুর্শিদ সাহেব।

মাহবুব মুর্শিদ বলেন, মোস্তাক হোসেনের মতো মানুষ এ বাংলায় আছে বলেই তারই দানে আমরা এই খাদ্য সামগ্রী তুলে দিতে পারছি গরীব মানুষদের হাতে। পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর দেওয়া এই খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, আলু, পেয়াজ, এবং সাবান।

পতাকা ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধার শিল্পপতি দানবীর আলহাজ্ব মোস্তাক হোসেন জানিয়েছেন সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব রেখে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে বিতরণের কাজ চলছে । মানুষকে বাড়ির মধ্যে রেখেই খাদ্য সামগ্রী এক এক করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। লকডাউন যতদিন থাকবে, ততদিন পতাকা শিল্পগোষ্ঠী যতটা সম্ভব গরীব মানুষদের কাছে খাবার পৌছে দেবে এবং তাদের পাশে দাঁড়াবে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.