‘ভুলে গিয়েছেন আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, আপনি মনোনীত রাজ্যপাল’! ধনখড়কে পত্র মমতার
ডিজিটাল ডেস্ক:- করোনার বিরুদ্ধে চলছে মরণ বাঁচন লড়াই পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফেরাাা দুশ্চিন্তায় আর বাংলায় চলছে রাজ্যপাল মমতার লাড়াই।
মাননীয় পার্থ চ্যার্টজী আরো একধাপ এগিয়ে বললেন যে বাংলার রাজ্যপাল বিরোধী দলেন নেতাা তাই এ হেন আচরণ ।
আর রেখেঢেকে না, এবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে চিঠি দিয়ে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ পাঁচ পাতার চিঠি মুখ্যমন্ত্রী পাঠান রাজভবনে। সেখানে রীতিমতো চাঁচাছোলা ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আপনার বলার ভঙ্গি, শব্দচয়ন অসাংবিধানিক। আপনার নিজেকেই বিচার করা উচিত। আপনার মন্তব্য আমার অফিসকে অপমান করেছে, আমার মন্ত্রিসভাকে অপমান করেছে।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। স্পষ্টতই তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ অগ্রাহ্য করতে পারেন, কিন্তু আম্বেদকরের কথা অগ্রাহ্য করা আপনার উচিত নয়। আপনি বোধহয় ভুলে গিয়েছেন আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, আর আপনি মনোনীত রাজ্যপাল।’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘যে রাজ্যের রাজ্যপাল আপনি, সেই রাজ্যের সরকারের প্রতি আক্রমণ করাটাই আপনার কাজ হয়ে উঠেছে।’
তিনি লিখেছেন, ‘আমার ও মন্ত্রিসভার পরামর্শ অগ্রাহ্য করতে পারেন, কিন্তু আম্বেদকরের কথা অগ্রাহ্য করা আপনার উচিত নয়। আপনি বোধহয় ভুলে গিয়েছেন আমি নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী, আর আপনি মনোনীত রাজ্যপাল।’ শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘যে রাজ্যের রাজ্যপাল আপনি, সেই রাজ্যের সরকারের প্রতি আক্রমণ করাটাই আপনার কাজ হয়ে উঠেছে।’
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে মুখ্যমন্ত্রীর এই চিঠি নতুন মাত্রা যোগ করল। উল্লেখ্য, করোনা আবহে রাজ্য সরকারের ধারাবাহিক সমালোচনা করে চলেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রেশন থেকে ত্রাণ, করোনার গঠিত অডিট কমিটি নিয়ে বারবার রাজ্যের দিকে আক্রমণ শানাচ্ছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সহযোগিতা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশেও বার্তা দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় দলকে অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
বুধবারও টুইটারে তিনি কেন্দ্র-রাজ্য সম্পর্ক নিয়ে সংবিধানের মর্ম ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি লিখেছেন, ‘গণতন্ত্রের সাফল্য নির্ভর করে সংবিধান মেনে চলার উপরে। সমন্বয়ের ভিত্তিতে কেন্দ্র-রাজ্যের গঠনমূলক কাজের কথাই বলেছে সংবিধান। দু’পক্ষের ভূমিকাই গুরুত্বপূর্ণ। মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের কাছে আবেদন, রাজ্যের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করুন।’
এই পরিস্থিতিতে বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া ছিল, ‘ওঁর সম্পর্কে যত কম বলা যায় ততই ভালো। উনি খুব লম্বা মানুষ। আমরা ছোট মানুষ। উনি ৮ ফুট। আমরা ৫ ফুট। এত ছোট হয়ে অত লম্বা মানুষকে মাপাই তো যাবে না!’ কিন্তু এরপরও থেমে থাকেনি রাজ্যপালের আক্রমণ। খুব স্বাভাবিকভাবেই এবার আরও কড়া হলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাঁচ পাতার চিঠি পাঠিয়ে রীতিমতো আক্রমণ শানালেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
পাঁচ পাতার পত্রাঘাত রাজ্যপাল কে প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে ।
সৌজন্য :- এই সময়