জল, বিদ্যুৎ ও মোবাইল সব বন্ধ। ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে টানা তিনদিন ধরে বিক্ষোভ বেহালায়
পরিমল কর্মকার, কলকাতা : চার দিন আগে আমফান ঝড় হয়ে গেলেও সেইদিন থেকে বেহালার ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের বিস্তীর্ণ এলাকায় জল, বিদ্যুৎ, মোবাইল ফোন সবই এখন বন্ধ। স্থানীয় কাউন্সিলরকে এ বিষয়ে বারংবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি বলে অভিযোগ। তাই শনিবার দিনও (২৩ মে) বেহালার শ্রী সংঘ মোড়ে টানা তিন দিন ধরে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
প্রসঙ্গত: গত ২০ মে বুধবার আমফান ঝড়ের তাণ্ডবে সারা রাজ্যের মতো বেহালার বিভিন্ন এলাকাযও় বড় বড় গাছ ভেঙ্গে পড়ে। গাছের মোটা মোটা ডাল পালা ভেঙ্গে বিদ্যুতের পোস্টে তারের উপর গিয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিপদজ্জনক দেখে সেদিন থেকেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।
এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুতের তারের উপর থেকে গাছের ভাঙ্গা ডাল পালা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সরানো হয়েছে। অথচ ১২০ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকাংশ জায়গাতেই ভাঙ্গা গাছ পালা সরানো হয়নি বলে অভিযোগ। এই ওয়ার্ডের শ্রী সংঘের মোড়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিং। এখানে জেমস লঙ সরণী বাইপাসটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বড় রাস্তা। হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও লক্ষ লক্ষ মানুষের বসবাস এখানে। অথচ গত ৪ দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় লাইট, পাখা, লিফট, মোবাইল ফোন, পানীয় জল সবই বন্ধ।
ভাঙ্গা গাছ ও ডালপালা সরাবার ব্যাপারে বারংবার বলা সত্ত্বেও স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ পাত্তা দেননি তাদের কথায়, এমনই অভিযোগ ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের। তারা বলেন, যারফলে ঝড়ের পর ৪ দিন অতিক্রান্ত হলেও ভাঙ্গা গাছপালা পড়ে বেশ কিছু রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। বিদ্যুতের পোস্টেও ভাঙ্গা গাছপালা পড়ে থাকার জন্য দেওয়া হয়নি বিদ্যুৎ সংযোগ। এজন্য এলাকায় ৪ দিন ধরে নেই পানীয় জল। নেই লাইট, পাখা। অধিকাংশ বহুতলে নেই লিফট। বিদ্যুতের অভাবে বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৯৯ শতাংশ মোবাইল ফোন। বিক্ষোভরত ক্ষুব্ধ মহিলাদের বক্তব্য, “জল ও বিদ্যুৎ না আসা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে। ঘর ছেড়ে পথে যখন নেমেছি এর শেষ দেখে ছাড়বোই।”
অন্যদিকে, কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে, তিনি উত্তেজিত হয়ে এই প্রতিবেদককে (সাংবাদিককে) বলেন, “আমি কিছু বলবো না।”