ঝড় ঝঞ্ঝায় শেষ হয়ে যাওয়া সুন্দরবন ও রায়দিঘির মানুষের পাশে কান্তি গাঙ্গুলী
পরিমল কর্মকার (দক্ষিন ২৪ পরগনা) : আয়লা, বুলবুল, ফনী, লকডাউন বা সদ্য আসা আমফানে কার্যত: শেষ হয়ে যাওয়া সুন্দরবন ও রায়দীঘির মানুষের পাশে দাঁড়ালেন সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক তথা প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলী। বিগত দু দু’বার বিধানসভার ভোটে তাকে হারিয়ে দিয়েছে রায়দিঘির মানুষ। তবুও এই জল জঙ্গলজীবি প্রান্তিক মানুষগুলোর বিপদে আপদে খবর পেলেই ছুটে আসেন বর্ষীয়ান কান্তিবাবু। গতকালও (বৃহস্পতিবার) তার অন্যথা হলনা। বিধ্বস্ত রায়দীঘি অঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। বিপদাপন্ন মানুষের পাশে থাকার বার্তাও তার কাছ থেকে পেলেন রায়দীঘির মানুষ।
কন্তিবাবু জনান, এখন তার দল ক্ষমতায় নেই। তাই চাইলেও অঢেল সাহায্য করতে পারবেন না তিনি। বিপদে পড়া সুন্দরবনবাসীরা যেহেতু তার পরমাত্মীয়। তাই তিনি নিজের সাধ্যমত সহযোগিতা নিয়ে বিপর্যস্ত মানুষগুলোর পাশে দাঁড়াতে চান । তাই গতকাল রায়দিঘিতে পৌঁছেই গোটা এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। খোঁজ খবর নিয়ে দেখেছেন কার কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার সীমিত সাধ্যমত সাহায্য করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
রায়দীঘির বাসিন্দাদের অভিযোগ আয়লা, বুলবুল, ফনী, লকডাউনের পর আবার আমফানের তাণ্ডবে তাদের সব কিছু শেষ হয়ে গিয়েছে অনেকেই এখন অনাহার, অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছেন। অধিকাংশ প্রান্তিক মানুষই কোনও সরকারি সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ তাদের। এরপর ঝড় ঝঞ্ঝায় মাথা গোঁজার ছাউনিটাও উড়ে গেল।
রাজ্যের নেতা মন্ত্রীরা বারংবার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত সুন্দরবনের নদীবাঁধটাও মেরামত হলোনা। কি করে বাঁচবেন তারা ? কান্তিবাবুকে কাছে পেয়ে এমনই সব নানা প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন রায়দীঘির বাসিন্দারা। তাদের গুরতর অভিযোগ দেবশ্রী রায়ের বিরুদ্ধে। অধিকাংশ মানুষেরই বক্তব্য, দু দু’বার বিধানসভা নির্বাচনে মানুষের পাশে থাকার কথা বলে ভোট নিয়েছেন, অথচ কথা রাখেন নি তিনি। কোনও সমস্যায় কিংবা বিপদে দেখা মেলেনা বিধায়ক দেবশ্রী রায়ের। তাই নানা দুর্ভোগ ও নানা বিপদ মাথায় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন রায়দিঘি ও সুন্দরবনের প্রান্তিক মানুষেরা।